বেলুচিস্তানের কালাত জেলায় গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযানে (আইবিও) ভারত-সমর্থিত চার অস্ত্রধারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, ২৭ ডিসেম্বর অস্ত্রধারীদের উপস্থিতির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী কালাত জেলায় অভিযান চালায়। নিহতরা ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্তান’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়। খবর জিও নিউজের
আইএসপিআর জানায়, অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের তীব্র গোলাগুলি হয়। এতে চারজন ভারত–সমর্থিত অস্ত্রধারী নিহত হয়। অভিযানে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহত সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এছাড়া এলাকায় অন্য কোনো ভারত–সমর্থিত সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী তল্লাশি ও এলাকা পরিষ্কার (স্যানিটাইজেশন) অভিযান চালানো হচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, ‘আজম-ই-ইস্তেহকাম’ নীতির আওতায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর যৌথ ও ধারাবাহিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পূর্ণ গতিতে অব্যাহত থাকবে। বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের হুমকি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করাই এ অভিযানের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, এর একদিন আগেই বেলুচিস্তানের পাঞ্জগুর জেলায় একই ধরনের অভিযানে আরও চারজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী নিহত হয়। গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) ও বেলুচিস্তান প্রদেশে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে বলে দাবি করছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তান সরকার একাধিকবার কাবুলকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাকিস্তানে হামলা চালাতে না পারে।
এবি