কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত থাকার পর আজ মানুষজন স্বাভাবিক দিনের মতো রোদে সকালের শুরু করছে। বাড়ির গৃহিণীরা কাপড় চোপড় ধুয়ে রোদে শুকাচ্ছেন, আর বৃদ্ধরা রোদে বসে গল্প করছেন। স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই সূর্যের দেখা মিলেছে সিরাজগঞ্জে।
তাড়াশ পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে আজ সূর্যের দেখা মিলেছে। আজ সকাল ৯টায় ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে।
বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির উঠান, বাড়ির বারান্দা কিংবা ভিটাজুড়ে মানুষজন যাবতীয় কাপড় চোপড় নেড়ে দিয়েছেন৷ গৃহিণী সুখী খাতুন বলেন, সকালে উঠেই দেখি রোদ। তাই যেসব কাপড় চোপড় ব্যবহার করা হয়েছিল, সেসব ধুয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে।
স্থানী নাজমুল হোসেন বলেন, অনেকদিন পরেই রোদের দেখা পেলাম৷ সবাই রোদে বসে আড্ডা দিচ্ছি৷
সিরাজগঞ্জে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রার অবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, যা তখন চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। সেই থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা নিম্নমুখী ছিল।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, এরপর সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসব দিনে কুয়াশা ও বাতাসের কারণে সাধারণ মানুষ বাইরে বের হতে পারছিলেন না।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সাতটি জেলায় ২৬ ডিসেম্বর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছিল। সিরাজগঞ্জও তার মধ্যে ছিল। কয়েক দিনের কঠিন শীত ও কুয়াশার পর আজ থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।
এসআর