জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
বৈশাখের শুরুর থেকেই গ্রীষ্মের রুদ্ররূপ দেখছে রাজধানীসহ সারাদেশ। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝিরা। সারাদিন নৌকা চালিয়ে কতই বা আসে, তিন’শ থেকে চারশো টাকা। আর এ আয় টক্কর দিতে না পারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে। আবার সেখানে তীব্র গরমে মাঝিদের দিনযাপন এখন জটিল। তবুও জীবিকার তাগিদে সাদেক ও ইমন মাঝিরা টিকে থাকার লড়াই বুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নৌকা বাইছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিন বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটের লালকুঠি, ওয়াইজ, বাদামতলী, শ্যামপুর, সোয়ারী তৈলঘাট ও জিনজিরা ঘাট ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে বহু নৌকা বেকার পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্ন ঘাটে নৌকা চালিয়ে জীবিকা চালান প্রায় পাঁচ হাজার মাঝি। অনেকে পেশা ছেড়ে কুলি কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসা করছেন। অন্যরা যারা ‘মায়ায়’ পড়ে আছেন, আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান আগানগর ঘাটের মাঝি দিদার হোসেন। তিনি বলেন, রোদের তাপে চোখ মিলে তাকানোই যেন দায়। মোবাইল ম্যাপে ৩২ ডিগ্রি দেখালেও তাপ প্রবাহ যেনো ৪০ সমান। তবুও জীবিকার তাগিদে নৌকা হাতে বেরিয়েছি।
বাদামতলি ঘাটের মাঝি আরফত আলী বলেন, নৌকা টানতে গিয়ে কায়িক শ্রমে অনেকটা সয়ে যাওয়া শরীরও কাহিল হয়ে পড়ছে তার। ঝরে পড়া ঘামের স্রোত যেন জানান দেয় আর সইছে না এই তাপ। এমনি চিত্র দেখা যায় বুড়িগঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে মাঝিদের। হাঁসফাঁস করা গরমে কাহিল হওয়া শরীর চাঙা করতে শুধু পানি আর ঘাটের টঙের শরবত দিয়েই বারবার শুষ্ক গলা ভিজিয়ে নেওয়া চেষ্টা তাদের। এ সময় রোগ-শোকে আক্রান্ত হলে তা প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার কিংবা ওষুধ কিনতে যে পরিমাণ আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রয়োজন তা অধিকাংশ মাঝির নেই।
তৈলঘাট এলাকায় মাঝি শামসুল আলম বলেন, আগে সারাদিন কাজ করছি। এখন বেশি কাজ করতে পারছি না। এই গরমে আমাদের খুব কষ্ট হয়। আর যেটুকু পারি সেটুকু আয়ে দুবেলা ভাত খাই, ভালো খাবার কোথায় পাবো? এঘাটের শফিফুল মাঝি বলেন, জীবিকার তাগিদে সকালবেলা নৌকা নিয়ে বের হয়েছেন।
ততক্ষণে বাড়তে শুরু করেছে রোদের তীব্রতা। এ তীব্র রোদে আর এগোতে পারছেন না, তাই ক্লান্তি ভরা শরীর নিয়ে নৌকায় বসে ঝিমাচ্ছেন। গরমে কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, গরমে মাথা ঘুরাচ্ছে। একটা ভাড়া টানলেই শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে নৌকা চালাই। বড় কোনো ভাড়া টানতে পারি না। ৩০ থেকে ৬০ টাকার ভাড়া টানি। গরম না থাকলে নৌকায় আটজন নিয়েও চলতাম। এখন দুই জন যাত্রী নিয়ে চালাতে কষ্ট। বেশির ভাগ সময় এক জন নিয়ে চালাই। আগে দিনে ১২ থেকে ১৪টা ভাড়া টানতাম এখন সাত থেকে আটটার বেশি পারিনা।
এক ঘণ্টা নৌকা চালালে আবার এক ঘণ্টা রেস্ট নিতে হয়। এই মাঝি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে দূরের কোনো ভাড়া কিংবা চার জনের বেশি যাত্রী টানতে পারছেন না তিনি। গরমে বেশি ভাড়া টানতে না পারায় আগের চেয়ে আয়-রোজগার কমেছে, অন্যদিকে খরচও বেড়েছে নিত্যদিনের। জিনজিরা-কামরাঙিরচর ঘাটের ষাটোর্ধ্ব হারুন মোল্লা মাঝি বলেন, সকালবেলা রোদ ওঠার আগে ভাড়া টানা যায়। বেলা গড়িয়ে রোদ বাড়ার পর আর পারি না। খুব কষ্ট হয়। যতক্ষণ চালাই, মাথায় গামছা বেঁধে চালাই। এদিকে, গরমে মানুষও বের হচ্ছে কম। যারাই আছে, ভাড়া আছে ভালো। কিন্তু গরমে শরীর আর হাত চলে না। এসময় সদরঘাট এলাকার আবুল শেখ মাঝি জানান, এখন আর আগের দিন নেই। নৌকা আর ঘাট বেড়েছে। আগের মত যাত্রী বা মালামাল পাওয়া যায়না। আজ থেকে ১০ বছর আগেই যেখানে দৈনিক আয় হতো ৮০০-৯০০ টাকা সেই পরিমাণ এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ঘাট ভাড়া, সিরিয়াল, নৌকার রক্ষণাবেক্ষণ’সহ বিভিন্ন বাবদ প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুইশো ৫০ টাকা খরচ হয়। এই খরচটা আরও কম হলে আমাদের পোষাত কিছুটা। ৩০ বছর ধরে নৌকা চালাই। এটা আর ছাড়া সম্ভব না এখন। এগরমে যতটুকুই আয় রোজগার হয় সেটা দিয়েই চলতে অনেক কষ্ট হয়।
তীব্র এই গরমে অনিয়ন্ত্রিত পরিশ্রমের ফলে একজন মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা, মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি, হিট স্ট্রোক, চর্মরোগ, ডায়রিয়া বা বদহজম, টাইফয়েড ও হেপাটাইসিস, সর্দি-কাশিসহ নানাবিধ রোগ দেখা দিতে পারে। এবিষয়ে পুষ্টিবিদ সাফাতুন্নেসা বলেন, এই সময়ে রোগ প্রতিরোধে শরীরের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রয়োজন। এর কমতি হলে মানসিক, শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশির মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই না তীব্র গরম শ্রম অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। কমে যায় মানুষের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতাও। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের স্বল্প আয় দিয়ে নিজের কিংবা পরিবারের
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, তীব্র গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় নৌকার মাঝিদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে— দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা যেন নেহাত বাসা থেকে না বের না হয়। অন্যদিকে নৌকা নিয়ে বের হওয়ার সময় বোতলে যেন বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে পানি এবং ওরস্যালাইন প্রয়োজন মতো পান করতে হবে। গরমে আঁটসাঁট জামা কাপড় না পরে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। গরমে মানুষ অবসন্ন বোধ করে। পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, মাথা ঘোরে, বমি বমি লাগে, চোখে ঝাপসা দেখে। অনেকে অসংলগ্ন কথা বলে। তিনি বলেন, তীব্র গরমে অনেক মানুষ পথে শরবত কিনে খায়। এটা খেতে আমরা একেবারেই মানা করি কারণ শরবতে ব্যবহৃত পানি নিরাপদ বা সুপেয় পানি না। এতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে।
যে বরফ ব্যবহার করা হয়, তা মানুষের খাওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সেটাও পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
এআইরাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তীব্র তাপদাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের গোল তালাব পুকুর দিচ্ছে সব বয়সের মানুষের গোসল করার স্বস্তি।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ২০০ বছরের এই পুরনো পুকুরে গরম থেকে বাঁচতে শুধু শিশু-কিশোর নয় সব বয়সের মানুষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালা পুকুরে।
স্থানীয়ভাবে এই পুকুরকে নবাব বাড়ির পুকুর নামে পরিচিত। ১৮৩০ সালে নবাব খাজা আলিমুল্লাহ পুকুরটি খনন করেন। পারসহ ৮ বিঘা জমির পুকুরটির ঐতিহ্য এখনো জানান দেয়। প্রায় ২০০ বছর পরও এই পুকুরের পানির স্বচ্ছতা ও সৌন্দর্য অন্য যেকোনো পুকুরের থেকে আলাদা। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ আপনি এ পুকুরে করতে পারবেন গোসল।
পুকুরে গোসল করতে আসা মো.আবদুল হামিদ (৭০) বলেন, আমি গ্রামের মানুষ, গ্রাম থেকে এসেছি। ঢাকাতে তো তেমন একটা পুকুর বা নদী নেই। ৫ টাকার বিনিময়ে এখানে গোসল করতে পেরে গরমে শান্তি পাচ্ছি।
মারুফ (১৮) বলেন, আমরা এখানের স্থানীয় বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই এই পুকুরে সাঁতার শিখেছি। মাঝেমধ্যেই এখানে গোসল করতে আসা হয়। এখন প্রচন্ড গরম। পানি থেকে উঠতেই মন চায় না। তাই প্রতিদিন ২-১ ঘন্টায় এসে এখানে গোসল করি সাঁতার কাটি।
তবে পুকুর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানান, এই পুকুর ব্যবহারে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। পুকুরের পানিতে ব্যবহার করা যাবে না সাবান শ্যাম্পু। সাবান ব্যবহারের জন্য পাশেই রয়েছে গোসলখানা এবং পোশাক পরিবর্তনের স্থান। সাঁতার জানা না থাকলে নামা যাবে না পুকুরে। পুকুরে গোসল করতে আসা অতিথিদের সেবা দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত নবাব বাড়ির বংশধরেরা। নিরাপত্তার জন্য পুকুরের ভিতরে রাখা আছে নৌকা এবং জীবন্তরি।
তবে শত বছরের এই পুরাতন পুকুরেও রয়েছে সৌন্দর্য হারানোর ভয়। ভূমি খেকো দের নজর পড়ে এই পুকুরের উপর। জাল দলিল তৈরি করে পুকুর দখলের চলছে অপচেষ্টা। নবাব বংশধরদের আশা রাজধানী বা সারাদেশের মানুষের কাছে এই পুকুরের পরিচিতি পৌঁছালে টিকিয়ে রাখানো সম্ভব শত শত বছরের ঐতিহ্য। তাই তারা সকলকে এখানে ঘুরতে আসার আহ্বান জানান।
এআই
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহে রাজধানীর জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু-সাধারণ কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরইমাঝে একদিকে নতুন করে আরো ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারির খবরে শঙ্কিত রাজধানীসহ গোটা দেশবাসী।
অপরদিকে, কাঠফাটা উত্তপ্ত রোদ, ভ্যাপসা গরম ও অসহনীয় তাপমাত্রাকে পায়ে ঠেলে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা উত্তপ্ত সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কল্যানপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র অসহনীয় গরমে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
বেলা আনুমানিক ১.৩০ মিনিট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে দেখা গেল কাঠফাঁটা রোদে একটি পানির বোতল হাতে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালনকালে প্রচন্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে পড়েছেন একজন সার্জেন্ট। নাম তাঁর মো. সাইদুর রহমান টিপু। মুখ-মন্ডল বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। মুখ-মণ্ডলজুড়ে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ব্যস্ততম কয়েকমুখী সড়কের এই চত্বরে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কয়েক মিনিটের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার জোঁ নেই। পাশেই ছাতা মাথায় আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এর ফাঁকেই হাতের বোতল থেকে দু'এক ঢোক পানি গিলছেন সার্জেন্ট টিপু। অসহনীয় তাপমাত্রায় সামান্য স্বস্তির লক্ষ্যে সড়কে দাঁড়িয়েই হাতেের বোতল থেকে চোখে-মুখে কয়েক দফা পানি ছিটিয়ে ধুয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই দৃশ্যটি ধরা পড়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের ক্যামেরায়।
এসময় এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে "অস্বস্তিকর দূর্বিষহ গরম ও কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন; একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেও তো পারেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমিষেই সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে একগাল হেসে বললেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করি। দায়িত্ব পালনকালে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর থেকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তা নিয়ে ভাববার সুযোগ আমাদের নেই। মানুষকে সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। মহানগরবাসী তথা মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল কাজ। সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। বলেই অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে সিগনাল ছাড়তে ইশারা দিতে দিতে ফের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে, দূর্বিষহ তাপদাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে ভাবনার কমতি নেই পুলিশের উর্ধতন মহলেও।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোসের্র মনোবল যেমন চাঙা হচ্ছে, অপরদিকে দাবদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।
এ বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের উদ্যোগ নেন। এই তীব্রে তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। এই উপলব্ধি থেকেই ট্রাফিকের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের সর্বরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে যোগ করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত। হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিট স্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তির মরদেহ। তাঁর বয়স হবে আনুমানিক (৩০) বছর। তিনিও ভাবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এআই
রাজধানীর গুলিস্থানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, সকালে খবর পেয়ে গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মাজার সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে মাদকসেবী ছিল। মাজার এলাকাতেই থাকত। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এআই
গ্রীষ্মের তাপদাহে পুড়ছে নড়াইল। প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতীষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নদী-নালা-খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির।পানির জন্য সর্বত্র হাহাকার অবস্থা তৈরী হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর নিকট ২ রাকাত ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন নড়াইলের বিভিন্ন বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর বাগবাড়ি খেলার মাঠে কয়েকশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সমবেত হয়ে বিশেষ নামাজে অংশ গ্রহণ করেন। নামাজে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা বাইজিদ হুসাইন। মোনাজাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করেন।
জানা যায়, নড়াইলে এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ধারাবাহিক এই উচ্চ তাপমাত্রা কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
মুসল্লিদের ভাষ্য, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহে দেশের মানুষের বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টে লাঘবের জন্য আল্লাহর দরবারে পানি প্রার্থনা করে দোয়া করা সুন্নত, যা আরবিতে বলা হয় ‘ইসতিসকার’ বা পানি প্রার্থনা করা।
এ সময়ে মাওলানা বাইজিদ হুসাইন বলেন, ‘সারা দেশে অনেক দিন ধরেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। মাঠ, ঘাট ও ফসলি খেত শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এখন বৃষ্টি খুবই দরকার। রাসুল (সা.) তাঁর সময়েও বৃষ্টির জন্য এমন সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’
নামাজে উপস্থিত মুসল্লিরা জানান, টানা কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্য বাইরে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়ায় হন তারা।
এমআর
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে দুবাই পাড়ি জমিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দরিদ্র ভ্যানচালক তছের আলীর মেয়ে কাজলী খাতুন (২৫)। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার কর্মস্থলেই খুন হয়েছেন তিনি। এদিকে, কাজলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কবে লাশ দেশে ফিরবে, এখন সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন কাজলীর পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কাজলীর এক নারী সহকর্মী দুবাই থেকে মোবাইলে কাজলীর পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেন। প্রবাসে কাজলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। খবর পাওয়ার পর থেকে বারবার কাজলীর মা ও বাবার মেয়ের শোকে পাগল প্রায়। কান্না করতে করতে মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন নিহত কাজলীর মা ও বড় বোন।
নিহত কাজলীর পিতা তছের আলী বলেন, কাজলী তার মেজো মেয়ে। কাজলী ও তার ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি ৭ মাস আগে দুবাই চলে যান। একদিন কাজলী মোবাইলে জানান সে দুবাইয়ে পাড়ি জমিয়েছে। ভালো কাজও পেয়েছেন সেখানে। এরই মধ্যে ৬ মাস পর দুবাই থেকে গত ৬ রোজায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন কাজলী। কিন্তু পরিবারের সাথে ঈদ না করেই কর্মস্থলে ফিরে যান তিনি। এ মাসেও বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা ছিল।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার দুবাই থেকে কাজলীর সহকর্মী পরিচয়ে এক নারী মোবাইল ফোনে কালজীর মৃত্যুর বিষয়টি জানান। সে আমাদেরকে জানায় সুপারভাইজারের নিকট বেতনের বেশকিছু টাকা পেতেন কাজলী। টাকা চাওয়া নিয়ে সুপারভাইজারের সঙ্গে কাজলীর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সুপারভাইজার লোকমান হোসেন ওরফে সাইকো একটি কাঁচের বোতল দিয়ে কাজলীর মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
কাজলীর পিতা আরও বলেন, ওই সুপারভাইজারের শ্বশুর বাড়ি টাঙ্গাইল। কিন্তু তার বাড়ি কোথায় তা জানেন না তিনি। তিনি দাবী করেন, কাজলীকে যে সুপারভাইজার খুন করেছে, তার বিচার চাই। সরকার যতদ্রুত সম্ভব আমার মেয়ের লাশ ফিরিয়ে দিক।
এ বিষয়ে কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিণ্টু বলেন, দুবাইয়ে কর্মস্থলে কোম্পানির সুপারভাইজারের হাতে কাজলী খাতুন খুন হয়েছে বলে জেনেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তার লাশ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সকল প্রকার আবেদন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব লাশ দেশে নিয়ে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এআই
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে অহিদুজ্জামান অপু (১৮) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের ভেড়াখালী গ্রামের বান্টু মালিতার ছেলে। অপু পেশায় একজন কলেজছাত্র।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অপু তার বাবা-মায়ের নিকট একটি মোবাইল ফোন চান। ‘দিনে আয় দিনে ব্যয়’ এর মতো সংসার তাদের, এমতাবস্থায় বাবা-মা ফোন কিনে দিতে না পারায় সে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত অপুর চাচা বেল্টু মালিতা বলেন, অপু কিছুদিন পূর্বে তার বাবা-মায়ের কাছে মোবাইল ফোন চান। সংসারে অভাব-অনটন থাকায় তাকে ঈদের পর কিনে দেওয়ার প্রস্তুতি দেন তার বাবা-মা। কিছুদিন পর ফোন কিনে দেওয়ার জন্য বাড়িতে আবারো চাপ দিতে শুরু করে অপু। মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ার রাগে ও ক্ষোভে নিজ ঘরের কক্ষে কীটনাশক মার্শাল খেয়ে তার চাচাকে জানান অপু। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পক্ষ থেকে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
এআই
ঝিনাইদহের মহেশপুরে স্ত্রী রেহেনা খাতুন হত্যার দায়ে স্বামী রাশেদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মতিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার জুলুলী গ্রামের আনিচ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২১ বছর আগে রাশেদুলের সঙ্গে রেহেনা খাতুনের বিয়ে হয়। রাশেদুল দ্বিতীয় বিয়ের পর তার প্রথম স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরপর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই বাড়ির পাশের কোদলা নদীতে ডুবিয়ে রেহেনাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার পিতা মতলেব আলী বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামি রাশেদুলকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে পিপি বজলুর রশীদ জানান, আমরা এ রায়ে খুশি। বিচারক যে রায় প্রদান করেছেন তাতে সামজে থেকে এমন ঘটনা কমে আসবে বা নারী নির্যাতন কমবে।
এআই
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জেলা শহর যশোরে বইছে ৪২ বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তীব্র গরমের রেশ পড়েছে জেলার ব্যস্ততম বন্দর নগরী বেনাপোলে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনশূন্য হয়ে পড়েছে বন্দরসহ বেনাপোল এবং শার্শার রাস্তাঘাট। তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ একটু স্বস্তির জন্যে হাহাকার করছেন।
রাস্তাঘাটে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কোনো মানুষ বের হচ্ছেন না। শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা খুবই করুণ। রাস্তায় রিকশা-ইজিবাইক, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানরিকশা নিয়ে যারা বের হয়েছেন, তারা ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে উঠেছেন। রাস্তার তাপে যেনো পুড়ে যাচ্ছেন ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা। সামান্য পরিশ্রমের পরই বিশ্রাম নিতে বাধ্য হচ্ছেন এসব পেশার মানুষ। এতে তাদের রোজগারও যাচ্ছে কমে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের বেনাপোল ও শার্শায় এ দৃশ্য চোখে পড়ে। যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানা গেছে, গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
শুক্র ও শনিবার ব্যতীত প্রতিদিনই তীব্র যানজট লেগে থাকে বেনাপোল বন্দরসহ বেনাপোল শহরজুড়ে। অথচ তীব্র তাপদাহের কারনে জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। আন্তর্জাতিক এ সড়ক দিয়ে মানুষজন বিভিন্ন অফিস-আদালত, হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। ফলে মানুষের উপস্থিতি এবং যানবাহনের চলাচল সব থেকে বেশি থাকে সড়কটিতে।
এদিকে, গত এক সপ্তাহ যাবৎ বেনাপোলে প্রখর রোদ ও গরম অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় কাজে বেরিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র তাপদাহে জনশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো সড়কটি। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও নগণ্য। সড়কে নেই যানবাহনের উপস্থিতি। দু-একটা ইজিবাইক দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদেরকে।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংক মোড়, রেলস্টেশন মোড়, চেকপোস্ট সাদীপুর মোড়, চালপট্রি মোড়ের রাস্তার পাশে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইক চালকরা জানান, সকালে ২/১টি ভাড়া পাওয়া গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেনাপোল শহর পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। এতো গরমে মানুষ বের হবে কী করে ? পেটের দায়ে বের হয়ে যাত্রী পাচ্ছি না। ভাড়ায় ইজিবাইক চালাই, মহাজনকে দেওয়ার মতো টাকা এখনও ওঠেনি। নিজের জন্যে তো দূরের কথা, পরিবারের জন্য খাদ্য-খাবার কেনার টাকা এখনও জোগাড় হয়নি।
বেনাপোলের ইসলামী ব্যাংকের নীচে পথচারী ইকবাল হোসেন বলেন, বাসায় অসুস্থ রোগী আছে, তার জন্য ওষুধ কিনতে বের হয়েছি। রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে দুই মিনিটের জন্য ফার্মেসিতে এসেছি। এখন মোটরসাইকেলের ওপর বসা যাচ্ছে না। রোদে আগুন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বেনাপোলের চেকপোস্টের সড়কের একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভ্যান চালক আলতাফ হোসেন। এদিন সকাল আটটায় তিনি বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হন। কিন্তু গরমে চালাতে পারছেন না। তিনি বলেন, রোদের দাপটে বন্দর এলাকার লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। তাই আয় রোজগার কমেছে। প্রতিদিন ভ্যান মালিককে দেড়শ‘ টাকা, নিজের দুপুরের খাবার, চা নাশতার খরচ মিলিয়ে আগে ৩৫০ টাকা আয় করতে হবে। এরপর সংসার খরচের হিসাব। এই গরমে না পেরে ভ্যান নিয়ে ছায়ায় বসে আছি।
বাজারের কাঁচাবাজারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে। ভবারবেড় গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, বাজার করতে হবে এজন্য বের হয়েছি। অন্যথায় এই গরমে বাড়ি থেকে বের হতাম না। রোদে শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক লঙ্কীন্দার কুমার দে বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোক এড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ে ডায়রিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, পক্স, হিটস্ট্রোক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি হতে পারে। প্রচন্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে কেউ যেন ডিপ ফ্রিজের পানি পান না করেন। এ সময় প্রচুর পানি, ডাবের পানি, দেশি ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি, বেশি খাবার পানি পান ও পাতলা সুতি কাপর পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পিএম
লক্ষ্মীপুরে তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নামাজের ইমামিত করেন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার খাতুনে জান্নাত জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ।
এছাড়া জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ ও রামগতির বিভিন্ন স্থানে পৃথক ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য কেঁদেছেন মুসল্লীরা।
মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম পড়ছে। যা সহ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর সুন্নাত হিসেবে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে আমাদের সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়েছি। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন। আমাদের ওপর রহম করেন। আবহাওয়া অনুকূলে এনে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আমরা সবাই আল্লাহর রহমত কামনা করছি।
এমআর
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে ২৪ ঘন্টা আল্টিমেটামের পর দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তিন কার্যালয়ে তালা দিয়ে চাবি নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে তিনটি কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়।
জানা যায়, শিক্ষকদের উপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় ‘মদদদানকারী’ ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, গেস্টহাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষকরা তিন দফায় ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। যার সাথে সবশেষ যুক্ত হয় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম।
দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা উপাচার্য স্যারকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য আমাদের সাথে আলোচনায় বসেননি। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্টর, ট্রেজারার ও উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আন্দোলন চললেও নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা হবে৷ আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক। কিন্তু যেভাবে শিক্ষকদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে, অবৈধ শর্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আজকে আমাদের এই পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী উপাচার্য এই সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈননের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হুমায়ুন কবিরও এবিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এমআর
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মাসিক অপরাধ সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সিএমপি'র শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার কৃতিসন্তান মো. মোবারক হোসেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে সিএমপি'র মার্চ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাঁকে এ পুরস্কার তুলে দেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় (অ্যাডিশনাল আইজিপি), বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)সহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
সিএমপি কমিশনার তাঁর বক্তব্যে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
এতে শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী ও শ্রেষ্ঠ চোরাই গাড়ি উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ এসআই এর পুরস্কার প্রাপ্ত হন এসআই (নিঃ) মো. মোবারক হোসেন।
জানা যায়, তিনি সিএমপি'র বন্দর জোনের কর্ণফুলী থানায় কর্মরত ও শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একই থানা থেকে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হন এসআই (নি.) হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও সিএমপির আরও ছাব্বিশ জন পুলিশ সদস্যকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
তথ্য বলছে, কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক এলাকা থেকে নতুন ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও গত বছরে পুলিশ চেকপোস্টে ৯ কেজি ৬২৩ গ্রাম ওজনের সোনার বার ও পাত জব্দসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন এসআই মোবারক হোসেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মাসিক অপরাধ সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি ও পুরষ্কার প্রদান আমাদের পুলিশের নিয়মিত বিষয়। তবে ঊর্ধ্বতন স্যারদের কাছ থেকে ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে অবশ্যই ভালো লাগা কাজ করে। পাশাপাশি কাজে দায়িত্বও বেড়ে যায় বেশি।'
এআই
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস লক্ষ্মীপুরের জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। অতি গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও দ্বিগুণ রোগি। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শয্যা সংকটের কারণে হাসপতালের মেঝেতে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। তার ওপর নানান অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলা সদর হাসপাতালে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসা রোগীরা হাসপাতালে এসেও দুর্ভোগের শেষ নেই। রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের অভাব। হাসপাতালের সব জায়গায় নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। এতে করে আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
লক্ষ্মীপুর পৌর ১১নং ওয়ার্ড থেকে জ্বর, ঠান্ডা নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের গরমের কারনে জ্বর -ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আগের থেকেও এখন কিছুটা ভালোর আছি। পৌর ২নং ওয়ার্ড থেকে সন্তানকে নিয়ে আসা কাশেম বলেন, হাসপাতালে রোগির চাপ বেশি। ঠান্ডা জনিত সমস্যাই বেশিরভাগ রোগির।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরুপ পাল জানান, প্রতিদিনই জ্বর-ঠান্ডা, ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৪৫-৫০ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। সপ্তাহে গড়ে ১০০০ জন সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের ১০০ শয্যা হাসপাতাল। প্রতিদিন রোগি ভর্তি থাকে ৩৫০-৪০০জন। অপর্যাপ্ত লোকবল নিয়ে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়। তারপরও আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
তীব্র গরমে রোগ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোদে না যাওয়া, বাইরে ঘুরাফেরা না করা, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বয়স্করা শিশু, হার্টের রোগী, ডায়বেটিসের রোগীদের গরমে বাইরে যাওয়া একেবারেই নিষেধ কারণ হিটস্ট্রোক যেন না হয়। বাইরের খাবার যেন আমরা না খাই। হটাৎ বৃষ্টি এলে ভিজবো এরকমটা যেন না হয় এতে জ্বর চলে আসে। চেষ্টা করবো ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে, পানি বেশি খেতে। বাইরে যেতেই হলে ছাতা নিয়ে যাব অথবা মাথার উপরে একটা সুতি জামা কাপড় রাখবো।
সিভিল সার্জন ডা: আহমেদ কবির বলেন, হিটস্ট্রোক জনিত রোগির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া গরমের কারনে অসুস্থ হওয়া রোগিদেরও চিকিৎসা চলছে। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ঔষুধ পত্র রয়েছে। বেড সংখ্যা কম হলেও আমরা অতিরিক্ত রোগিদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।
এআইকুমিল্লায় মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীতে বিএসটিআই ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
বিএসটিআই কুমিল্লার উপপরিচালক (সিএম) কে এম হানিফ বলেন, বিসিক শিল্পনগরীর মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ নিবন্ধন সনদ ছাড়া ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক’ পণ্য বানিয়ে বাজারজাত করছিল। যা অপরাধ। যে কারণে তাদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন, বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) আরিফ উদ্দিন প্রিয় এবং ফিল্ড অফিসার (সিএম) ইকবাল আহাম্মদ।
এআইটাঙ্গাইল শহরের বটতলা বাজারে পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগে মো. নুরনবী নামে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এ সময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হীরা মিয়া, ভেটেনারি সার্জন আবু সাইম আল সালাউদ্দিনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ জানান, শহরের বটতলা বাজারের ব্যবসায়ী মো. নুরনবী পঁচা মাংস বিক্রি করায় পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর ২৪ (১) ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া তার কাছে থাকা আরও ৩৫ কেজি মাংস জব্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পঁচা মাংস বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান করা হয়।
এফএস
চেয়ারম্যান ও এক মেম্বারের দ্বন্দ্বের শালিসের মধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুড়ি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে৷ করগাঁও চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা ও পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান পানুর মধ্যে সৃষ্ট পূর্ব বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে করগাঁও হাইস্কুল মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক শালিস দরবার আয়োজন করে।
এতে কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এড. সোহরাব উদ্দিন, সাবেক সাংসদ মেজর অব. আখতারুজ্জান রঞ্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এম এ আফজল, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, এড. মাহমুদুল ইসলাম জানু, স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গসহ কয়েক হাজার ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
শালিসের এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে কটাক্ষ করে দেয়া বক্তব্য নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ার ছোড়া ছুড়ির ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাট্টা এলাকার জনৈক ব্যক্তির নিকট পাওনা টাকা আদায় ও ভিজিডি চাল বরাদ্দের বিষয় নিয়ে গত রমজান মাসে করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্টা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবুর রহমান পানুকে পরিষদ থেকে ধরে নিয়ে করগাঁও এলাকার কতক উচ্ছৃঙ্খল লোক অপমান অপদস্ত করে। কিন্তু চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ করে নাই বা এর কোন বিচারও করে নাই। বিষয়টি অন্যান্য মেম্বারসহ একাট্টা হলে করগাঁও ও ভাট্টা এলাকায় অচলাবস্থাসহ উত্তেজনা বিরাজ করে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে এমপিসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গ্রামবাসী শালিস দরবারে বসে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে লক্ষ করে আক্রমনাত্মক কথার কারণে শালিস দরবার পন্ড হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে করগাঁও এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
এমআর
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবর নামে এক সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবর (৪০) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা গ্রামের মৃত আমিনুদ্দিন মাদবরের ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একটি কল আসে মোহাম্মদ আলী মাদবরের মোবাইলে। এরপর সে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের সুজন দোয়াল গ্রামের বাড়ির পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করলে স্বজনরা মরদেহটি মোহাম্মদ আলী মাদবরের বলে শনাক্ত করেন। উদ্ধার শেষে মরদেহটির ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পালং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম শেখ বলেন, মোহাম্মদ আলী মাদবর আগে আমার ওয়ার্ডেই ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত। গতকাল সে কিস্তিতে টাকা তুলেছিল। রাতে তার মোবাইলে কল আসলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার দুইজন সন্তান রয়েছে।
পালং মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির পুকুর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
রাজধানীর মিরপুর-আশুলিয়া বেড়ীবাঁধের নবাবের বাগ এলাকায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের (৭০) মরদেহ উদ্ধার করেছে আমিনবাজার নৌ-থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা আনুমানিক তিনটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক আড়াইটা নাগাদ মিরপুরের নবাবের বাগ এলাকাধীন বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন তুরাগতীরে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে সংবাদ দেন তারা। বেলা তিনটার দিকে আমিনবাজার নৌ-থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমিনবাজার নৌ-থানা পুলিশের এস.আই আজিজুল ইসলাম বলেন,স্থানীয় মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উর্ধতন মহলের নির্দেশে বেলা আনুমানিক তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় মরদেহটি উদ্ধার করি৷
আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে কেউ তাকে চিনতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে হিট স্ট্রোকেই তার মৃত্যু হতে পারে। লাশটি ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।
এমআর
সারাদেশে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। এই তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে এবং বৃষ্টির আশায় মানিকগঞ্জে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছেন মুসল্লিরা।
২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় জেলার সদর উপজেলার মিতরা এলাকার আবু হুরায়রা মাদ্রাসা মাঠে, শিবালয় উপজেলার টেপড়া দশচিড়া মাঠে, নবগ্রাম মাঠে ও তেওতা ঈদগা মাঠে এবং সকাল ১১টায় জেলা শহরের শহীদ তিতুমির একাডেমি মাঠে পৃথক পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা পাঠ করেন ইমামরা। এরপরই বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। পৃথক এই পাঁচটি নামাজের জামায়াতে স্থানীয় শত শত মুসল্লি ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, তীব্র গরমের কারণে কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পয়েছে। ভয়ঙ্কর এই রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়ে গেছে। মুসল্লিরা আরো জানান, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। পৃথিবী রক্ষায় এখনই সচেতন হতে হবে।
শহীদ তিতুমীর দারুল আমান জামে মসাজিদের খতিব মোঃ জাকিরুল ইসলাম খান বলেন, সারা দেশে তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে মানুষ। আমাদের জেলায়ও একই অবস্থা। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে ইসতিসকার নামজ আদায় করা হয়েছে এবং মহান রবের নিকট দুহাত তোলে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
এমআর
পিরোজপুরের কাউখালীতে ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চিরাপারা পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের নিলতী হাফিজিয়া নুরানী মাদ্রাসার মাঠে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে প্রচন্ড তাপদাহ থেকে পরিত্রান পেতে খোলা আকাশের নিচে মুসল্লিরা এই বিশেষ সালাত আদায় করেছেন।
এসময় শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই নামাজে অংশ নেয়। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠ ঘাট কৃষি জমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গরমে অতিষ্ঠ হয় উঠেছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এই নামাজ আদায় করা হয়।
এ সময় মাঠে মুসল্লিদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে। তারা মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির প্রার্থনা করে নামাজ আদায় করে। নামাজের ইমামতি করেন নীলতী হাফিজিয়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নজরুল ইসলাম।
এমআর
বরগুনায় বছর পার হলেও সম্মেলনের সময় ঘোষিত ৩ সদস্যে কমিটিতেই চলছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় সংগঠনটির কার্যক্রম পিছয়ে পরেছে বলে মনে করছেন সংগঠনটির সাবেক ও পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। এদিকে মুখ থুবরে নেতৃত্বহীন হয়ে পরে আছে জেলা বিএনপির কার্যক্রম।
জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে বরগুনার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ (শম্ভু)কে সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরকে সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু কে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা করে কেন্দ্রে জমা দিতে নির্দেশ হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১বছর ৫ মাসেও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষনা করা হয়নি। দীর্ঘ ১ বছর ৫ মাসেও কমিটি ঘোষনা না হওয়ায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ক্রার্যক্রম স্থবির হয়ে পরেছে বলে মনে করছেন সাবেক ও পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জেষ্ঠ্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, বরগুনার জেলার আওয়ামী পরিবারের রাজনীতিতে চলছে দুর্বিষহ সংকট, সমন্বয় হীনতা ও শৃঙ্খলার অভাব। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিগুলো মেয়াদ উত্তির্ণের পথে, এখনও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ সহ প্রায় সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ। অচিরেই জেলা আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও সম্মেলন জরুরী বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা। এভাবে চলতে থাকলে বরগুনা আওয়ামী পরিবার চরম অস্তিত্ত্ব সংকটে নিমজ্জিত হবে।
বরগুনা জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, কিছুদিন আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। হয়তো তাদের হাতে কাগজ পৌছে গেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, জেলা কমিটি কেন পূর্ণাঙ্গ করছেন না সে বিষয়ে আমার জানা নেই। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্র দুবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে পাঠিয়েছে কি না? সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
এদিকে ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক এবং তারিকুজ্জামান টিটুকে সদস্য সচিব করে বিএনপি বরগুনা জেলা শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কার্যকরী কমিটি ঘোষনা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০২৩ সালের ৮ই জানুয়ারী সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক, অসাংগঠনিক ও অরাজনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ২০২৩ সালের ১৭ই এপ্রিল রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে বিএনপির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হককে জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ স্বাক্ষরিত চিঠি গনমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের তদন্ত করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা জানান, কমিটি না থাকায় বিগত কয়েকমাস যাবত জাতীয় প্রোগ্রামগুলোও দলের পক্ষ থেকে করা হয় না। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে কোন তালিকাও জমা দিচ্ছেন না। কোন অদৃশ্য কারনে কেন্দ্র থেকেও কমিটি দেওয়ার বিষয়ে কেন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বরগুনা জেলা কমিটি ঘোষনা করা অতিব জরুরী হয়ে পরেছে।
এমআর
ভোলার চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচন্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘন্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যাথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যাথা আরোও তীব্র শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব এ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিটস্ট্রোকেই মারা গেছেন।
এমআর
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যথতত্র পড়ে আছে ডাবের খোসা, প্লাষ্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট ও খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ সহ অসংখ্য আবর্জনা। আর ডাষ্টবিনগুলোর চারপাশ ময়লায় সয়লাব।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে সারজমিনে গিয়ে দেখা যায় সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা এখন পরিনত হয়েছে ময়লা ভাগাড়ে। সৈকতের এসব ময়লা আবর্জনার দুর্ঘন্ধে একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে আসা পর্যটকরা ফিরছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ী সহ পর্যটকদের।
ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে আসা জনি আহম্মেদ জানান , সৈকতের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ময়লা আবর্জনা। অনেক স্থানে খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে। এসব খাবার থেকে দুর্ঘন্ধ ভেসে আসছে। তিন দিনে কুয়াকাটায় আছি। এই তিন দিনে কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী চোখে পড়েনি।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা আজাদ-শিরিনা দম্পতি জানান, সৈকতের চারদিকে নোংরা আবর্জনা। বিশেষ করে পূর্ব পাশের বেঞ্চির পিছনে ডাষ্টবিনগুলো অবস্থা একেবারে খাবার। চারপাশ ময়লায় সয়লাব। দুর্ঘন্ধে বেঞ্চে বসা দায় হয়ে পড়েছে। এর আগে এতো অপিরচ্ছন্ন ছিলোনা। আমরা অন্ততপক্ষে কুয়াকাটা সৈকতটুকু সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানাচ্ছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম জানান, আমরা অচিরেই বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেবো। বর্তমানে কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা বীচের পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বীচ পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এফএস
তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর জনজীবন। আজ জেলার কলাপাড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও কর্মজীবি মানুষ। একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন গাছতলায়। ছুটছেন নদী তীরে। বেড়েছে ডাব, আখের রস, শরবত ও কাঁচা তালের চাহিদা।
প্রচন্ড খড়তাপে লোকসানে পড়েছেন বোরো ধান চাষী ও সবজি চাষীরা। আবাদির জমির অভ্যান্তরীন ছোটখাল-ডোবা-পুকুর শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে মৌসুমী সবজি চাষীদের খেতে দেখা পানি সংকট। পানির অভাবে আর রোড়ের তীব্রতায় গাছ মরে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শংকায় পড়েছেন সবজি চাষীরা।
এদিকে সবজি খেতের এমন বেহাল দশায় বাজারে আমদানী কমেছে সবজির। ফলে বাজারে বেড়ে গেছে সবজির দাম।
কলাপড়ার নীলগজ্ঞের কৃষক জাকির বলেন, তীব্র রোদের তেজ থেকে আবাদি জমির ফসল রক্ষা করা এখন দরকার। এর উপড় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। নিরূপায় কৃষক। পুড়ে যাচ্ছে গাছ। ফলন কমে গেছে।
তীব্র তাপদহকে দু:সহনীয় করে তুলেছে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং। দিনে-রাতে বারবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়া ও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সকল বয়সী মানুষকে। পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক উপস্থিত থাকলেও তীব্রতাপদহে এসব পর্যটক হয়ে পড়েছেন হোটেল বন্দী। দর্শনীয় স্থানগুলোর কার্যত পর্যটক শূন্য।
মাদারীপুর থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক সাবের আহমেদ জানান, তীব্র গরমে সী-বীচ বেশ উপ্তত্ত হয়ে আছে। জুতা পায়েও বীচে হাটা কস্টদায়ক। স্বন্ধ্যার পড়েও একই অবস্থা। তাই পরিবার নিয়ে হোটেলে অবস্থান করছি। হোটেল ফেন্ডস পার্ক ইনের ব্যবস্থাপক আল-আমিন বলেন, মোটামুটি ভাল পর্যটের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু এসব পর্যটক হোটেল থেকে বের হয়ে দ্রুতই হোটেলে ফিরে আসছেন। গরমে তারা বাহিরে টিকতে পারছেননা।
জেলার সকল হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ গরম জনিত রোগীর সংখ্যা। গত (বুধবার) ২৪ ঘন্টায় জেলার ৮ উপজেলায় ১১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭৯ জন রোগী। কলাপাড়ায় জেলার বাউফল ও কলাপাড়া হাসপাতালে স্যালইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। (২১ এপ্রিল) জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সত্তার ফারাজী নামে একজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত সত্তার ফরাজী উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক তানজিলা হাসির তৃষা জানান, সত্তার ফরাজীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ডায়রিয়া আক্রান্ত ছিলেন এবং তার কিডনি ড্যামেজ ছিলো। ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই চিকিৎসক সকলকে তেল জাতীয় খাবার পরিহার, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির না হওয়া, বেশি বেশি পানি পান করা এবং পানি জাতীয় খাবার গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন। পটুয়াখালীর বাউফলে হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) খান নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
২২শে এপ্রিল রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। মৃত শহআলম বাউফল পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন।
গতকাল রাত নয়টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আবহাওয়া আফিস সূত্র জানিয়ে, আপতত বৃস্টির কোন সম্ভাবনা নেই। এই তাপদাহ আরো কিছদিন অব্যাহত থাকবে।
এমআর
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শোয়েব আল হাসান সজলকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রলীগ। সেই সাথে কেনো তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত শাস্তিমুলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ আগামী তিনদিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে স্বহস্তে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। এই নিয়ে ২য় বারের মত অব্যাহতি পেলেন শোয়েব আল হাসান সজল।
জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে ১৬ আগস্ট শোয়েব আল হাসান সজলকে প্রথমবার সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর তার অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেয় জেলা ছাত্রলীগ। প্রত্যাহার পত্রে ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সতর্ক করা হয় তাকে। এই নিয়ে দুইবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা।
শোয়েব আল হাসান সজলের ভাষ্য, তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বা দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত না। কি কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা জানেননা তিনি। এরপরেও জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত মেনে লিখিত ভাবে জবাব দিবেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এআই
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে নেত্রকোনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলার পৌর শহরের ঐতিহাতিক মোক্তারপাড়া ঈদ গা মাঠে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা।
নামাজের ইমামতি করেন মুফতি তাহের কাছেমি। পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন এবং খুতবা শেষে দোয়া করেন। দোয়ার মধ্যে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়।
নামাজ আদায় শেষে আলহুদা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আহমুদ বিন আব্দুল খালেক বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এছাড়া উপস্থিত স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ইসতিসকার নামাজ আমাদের বিশ্ব নবীর সুন্নত। তীব্র গরমে বৃষ্টির আশায় আমরা নেত্রকোনাবাসী বিশ্ব নবীর সুন্নত দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এই নামাজে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চারাও এসে উপস্থিত হয়েছে। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে যেন সারা দেশে আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হয়। যে বৃষ্টি মানুষ পশুপাখি গাছপালাসহ সকলের জন্য উপকার হবে।
পিএম
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঐদিন সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুগার্পুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচানঁ ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজ্বী জামাল উদ্দিন মাস্টার। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকা থেকে হাজ্বী জামাল উদ্দিন মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে ওইদিন বিকেলে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মাঝিয়াইল মোড় থেকে আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচানঁকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরবর্তিতে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি তদন্ত মাহফুজ আলম জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার মামলায় তাদের দুই জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
এআই
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুস ছালাম তালুকদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের উত্তর চারিগাঁও পাড়া গ্রামে একটি গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুস ছালাম পাশ্ববর্তী উপজেলা পূর্বধলার জারিয়া গ্রামের মৃত ওহয়ােদ আলী তালুকদারের ছেলে। তবে তিনি বাকলজোড়া ইউনিয়নের উত্তর চারিগাঁও পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত কয়েকদিন আগেও দুইপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে গতকাল প্রতিপক্ষের লোকজন ছালামের বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলে ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর আজ ভোরে নামাজ পড়ে বাসায় আর ফিরেনি ছালাম। পরিবারের লোকজন খোঁজাখোঁজি করে একপর্যায়ে সকালে বাড়ির পাশেই জংগলের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাঁরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত বৃদ্ধের ছেলে মোশারফ মিয়া বলেন, কাল থেকে আমার আব্বা ঘরো বন্দি। হাকিম, মাওলা, আইনল, কালাম, সাকিবরা মাইরা ফেলবো ভয়ে নামাজে যেতে পারে না আব্বা। কাইল রাতে আরেক বাড়িত রইছে। সকালে নামাজ পইরা আইছে না আব্বা। আব্বারে খুঁইজা পাইনা পরে গিয়ে দেহি আব্বা ঝুইলা আছে গাছে। মাইরা ফালছে ওরা আমার আব্বারে।"
এব্যাপারে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মোঃ আক্কাস আলী স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এআইনেত্রকোনায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক জনাব শাহেদ পারভেজ, নেত্রকোনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার জনাব শিবলি সাদিক,পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব নজরুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব আবু সাঈদ, রাজুরবাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি জনাব বজলুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেকটর জহিরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন, জেলা সিভিল সার্জন, বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব মো.অহিদুর রহমান, অক্সিজেন যুবসংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও অটো সিএনজি মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ ১০০ শতাধিক লোকজন ।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য: উচ্চস্বরে শব্দ ও সঙ্গীত শ্রবণশক্তি হ্রাসের বিপদ সংকেত। শব্দদূষণ নীরব ঘাতক নয়, শব্দদূষণ মানুষের জন্য সরব ঘাতক ও শব্দসন্ত্রান।
আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালন করা হয়। আমাদের দেশে ২০০৩ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, কানের ভিতর ঝিঁঝিঁ শব্দ, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মনোযোগ কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামান্দ্য, গ্যাস্টি্রক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া।
আলোচনায় ট্রাফিক ইন্সপেকটর জহিরুল ইসলাম বলেন, ''আমরা সারাদিন শব্দের মাঝেই থাকি, আমাদের রাস্তার শব্দ দূষণে আামদের জীবনে শেষ''।
প্রধান অতিথির জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, আমরা যারা যানবাহন ব্যবহার করি,আতশবাজি করি, সারাশহরে মাইক ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করি এগুলো প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হবে। আমরা মানুষ, আমার শব্দের কারণে অন্যের ক্ষতিহবে তা হতে পারেনা। আমাদের সচেতনতায় এগুলো কমিয়ে আনতে পারি। আগামী প্রজন্মকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আসুন সকলে শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতন হই, পরস্পরর্কে সচেতন করি, নিজেদের কানকে সুরক্ষা করি এবং নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করি। মানুষসহ সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ আবাস গড়ে তোলার কাজে একজন অংশিদার হই।
এআইতীব্র তাপদাহে জনজীবন যখনে অতিষ্ঠ তখন জনজীবন ও ফসলসহ কীটপতঙ্গ রক্ষায় বৃষ্টি কামনা করে রংপুর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, বদরগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ মাঠসহ, রংপুর নগরীর আল হেরা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গন সহ অন্যান্য উপজেলায় নামাজ আদায় করেন শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী।
এসময় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালা'র কাছে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লীরা। বৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেন তারা ।
এমআর
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২০২৫) কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে সাধারণ সভা শেষে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে ২০২১-২০২২ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ক্লাবের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে কণ্ঠভোটে পুনরায় হরিশ চন্দ্র রায়কে (সমকাল এবং অবজারভার) সভাপতি এবং নাজমুস সাকিব মুনকে ( সময়ের কণ্ঠস্বর ও মানবজমিন) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য হলেন- সহ-সভাপতি মাসুদ পারভেজ (দৈনিক নাগরিক ভাবনা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সবুজ ইসলাম (দৈনিক নাগরিক ভাবনা) ও সিরাতুল মোস্তাকিম (কালবেলা), সাংগঠনিক সম্পাদক অবিনাশ রায় (এই আমার দেশ ও কান্ট্রি টুডে), কোষাধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান (গড়ব বাংলাদেশ), দপ্তর সম্পাদক বিমল রায় (গণ বার্তা), স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সুশীল সরকার (নব অভিযান)।
এছাড়া, কার্যকরী সদস্য জামিল হাসান (দেবীগঞ্জ সংবাদ), সজীব উদ্দীন (দৈনিক নীলকথা), রাশিনুর রহমান (মিরর অব বাংলাদেশ) ও আসাদুর রহমান (রংপুর প্রতিদিন)।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৩ আগষ্ট আনুষ্ঠানিকভাবে মূল ধারার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব।
এআইকুড়িগ্রামের ফু্লবাড়ীতে হিট স্ট্রোকে ফাতেমা বেগম (৫৭) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ১১টায় রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার ও স্থানী সুত্রে জানা গেছে। এর আগে বুধবার দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল কৃষ্ণানন্দবকসী গ্রামে নিজ বাড়ীতে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহত নারী ওই ওয়ার্ডের কপুর উদ্দিনের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডল ও নিহতের স্বজন জাহের আলী।
ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে হাইপার টেনশনে ভুকছেন। প্রচন্ড তাপদাহে তিনি হিট স্ট্রোক করেছেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এআই
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসখার নামাজ আদায় করা হয়েছে।পুরো বাংলাদেশে প্রচন্ড তাপদাহ ও অনবৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ জীবজন্তু সহ কষ্ট পাচ্ছে দেশবাসী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ মোতাবেক বৃষ্টি প্রার্থনা করে নামাজ আদায় করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে ফুলবাড়ীর মুসল্লিবৃন্দ একত্রিত হয়ে এই নামাজ আদায় করে। এসময় ইমামতি করেন ইউসুফ হজ্জ কাফেলার পরিচালক মাওলানা ইউসুফ।
নামাজ শেষে বৃষ্টি কামনা করে মোনাজাত করেন মুসল্লি বৃন্দরা বৃষ্টির কামনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত সকলে।
এআইঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷
নামাজে ইমামতি ও খুৎবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারনে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ি রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠি হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায়না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।
সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তিস্কা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।
এআই
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাবদাহ ও খরা। তীব্র তাবদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছেন। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোট কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে।
এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।
পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।
সাপাহার উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওই মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক। পোরশা উপজেলার নিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাপানিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা হযরত আলী।
ধামইরহাট উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা আস-আদুল্লাহ। রানীনগর উপজেলার শেরে বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা মোস্তফা আলামিন।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।
নামাজে অংশ নেয়া আশরাফুল ইসলাম ও বেল্লাল হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাবদাহ বইয়ে চলছে। অসহ্য গরমে জনজীবন হাসফাস অবস্থা। কোথায় গিয়ে স্বস্থি মিলছে না। শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকা নামাজে অংশ নিয়েছে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ জমিন শীতল করে দিবেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।
এআই
চাকুরীর দায়িত্ব পালন করতে যান বাবা। আর বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান মা। সে সময় বাড়িতে একা থাকায় রিয়া এবং তার ভাই গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল।
খেলার এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায়। বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে পাবনার ঈশ্বরদীতে। গত রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
মৃত রিয়া খাতুন (১0) উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পাঠশালা মোড়ের পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রিয়া খাতুনের ফুফাতো ভাই সৌরভ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রিয়া খাতুনের বাবা পিন্টু বিশ্বাস রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। তিনি সেখানে ডিউটি করতে যান। তার স্ত্রী বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান। সেসময় রিয়া এবং তার ৫ বছর বয়সী ভাই গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সময় শুধু রিয়া এবং তার ছোট ভাই বাড়িতে ছিল। বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়।
তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাবরিনা রহমান বলেন, আগুনে শিশু রিয়ার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল৷
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
পিএম
অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগে আটক পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তারা আদালতে জামিন আবেদন করলেও বিচারক নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটক দুইজন হলেন, মাসুদ রানা (২৯) ও মোশাররফ হোসেন (৪২)। এদের মধ্যে মাসুদ রানার বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের বড় দিকশাইল গ্রামে। তিনি ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। আর অপরজন মোশারফ হোসেনের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানার শিবনগর এলাকায়। তিনি একই কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাদের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। ওই সময় ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
পরে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সদর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির আইনের ৫৪ ধারায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। জিডি নাম্বার ১৯১৮। এরপর ৫৪ ধারায় আটক দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মোরশেদুল আলম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি রওশন আরো জানান, ঘটনাটি দুদকের সিডিউল ভিত্তিক অপরাধ হওয়ায় তারা মামলা দায়ের করবে। সে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসাথে ঘটনাটি আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দুদক পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খাইরুল হক জানান, 'তাদের বিরুদ্ধে জিডি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পাউবো পাবনা'র নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, 'বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। তদন্তে দু’প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অনুসন্ধানের কাজে যান কয়েকজন সাংবাদিক। সেখানে প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে দুই ঠিকাদার রাজিব ও কনকসহ আরেক প্রকৌশলীকে দেখতে পান তারা। এ সময় টেবিলে বিপুল পরিমাণ টাকার বান্ডিল ছিল।
বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশকে জানান ওই সাংবাদিকরা। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যান দুই ঠিকাদার রাজিব ও কনক। পরে পুলিশ এসে দুই প্রকৌশলীকে আটক করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে খবর দেয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুদক ও পুলিশ। সন্ধ্যার পর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে সচেতন মহলের প্রশ্ন, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে যদি দুই প্রকৌশলী দোষী হন, তাহলে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে দুই ঠিকাদার রাজিব ও কনকও দোষী। তাদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার আসল কারণ উদঘাটনের দাবি সচেতন মানুষের।
ঘটনার পর থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে চলছেন দুই ঠিকাদার। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই কল কেটে দিচ্ছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিবের সাথে। কেন তিনি প্রকৌশলীকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন, আর পালালেন কেন জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস বৈশাখী মেলায় জাদু খেলার নাম করে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনকালে ৫ জনকে আটক করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে তাড়াশ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে মেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মো. সালামের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৩), তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (১৯), বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে মো. মিনারুল (২৪), শেরপুর উপজেলার হাটগাড়ী গ্রামের করিম হাসানের স্ত্রী মোছা. লাবলী আক্তার (২৩) ও শিবগঞ্জ উপজেলার জামুরহাট দক্ষিণবেলাই গ্রামের মো. সোলেমানের মেয়ে মোছা. শিমু আকতার (১৯)।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাৎসরিক গ্রামীণ বৈশাখী মেলাটি শুরু হয়। আর মেলার শুরু থেকে সেখানে জাদু খেলার নামে অশ্লীল নৃত্যর আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা বারবার প্রতিবাদ করলেও অশ্লীল নৃত্য বন্ধ হয়নি। এতে সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ গিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে আসেন।
তাড়াশ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আটককৃত ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এআই
সারাদেশের মতো জয়পুরহাটেও অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার কড়ই নূরুল হুদা কামিল মাদ্রাসার মাঠে এই নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজে ইমামতি করেন কড়ই নূরুল হুদা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রহমান সরকার। নামাজের পর খুৎবা পাঠ শেষে দোয়া পরিচালনা করেন তিনি। মহান আল্লাহর কাছে দীর্ঘ মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
এআই
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাড়ির গোয়াল ঘরের মলমূত্র চলাচলে নালা নিয়ে ঝগড়ার সময় আব্দুল হাকিম (৬৫) নামে এক ব্যাক্তি মারা গেছেন। তিনি চৌমুহনী ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ভাতিজা মাহাবুব ইসলাম (৩২), ভাতিজি সুলেমা বেগম (৩৫) ভাবী সুন্দর বানু (৫৫) কে আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাকিমের গোয়ালঘরের মলমূত্র ভাতিজা মাহাবুব ইসলামের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে চা ভাতিজার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার নালা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
কাসিমনগর ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক জানান, ঝগড়ার সময় আব্দুল হাকিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আব্দুল হাকিমকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এআইশায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় দেড় হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করেছেন টানা চতুর্থবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সার গুদাম মাঠে উপজেলার প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই প্রণোদনা বিতরণ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার মিতা এতে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি প্রমুখ।
উপকারভোগী কৃষকদের মাঝে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে ৫৫০, নুরপুর ইউনিয়নে ৩৫০ জন, ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়নের ৪০০ জন ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা আরও ২০০ জন। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ কেজি আউশ ধানের বীজ ও ২০ কেজি করে রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়।
এআই
মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর করেছে কতিপয় শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর রাজনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। গত ২১ এপ্রিল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জিডি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ২১ এপ্রিল দুপুরে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ চলাকালিন সময়ে কতিপয় যুবক ফরম পূরণের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বেতন কমানোর দাবি তোলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মানায় কলেজের সম্পদ ভাঙচুর করে।
অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর বলেন, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে বেতন কমানোর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য কলেজের পক্ষ থেকে একটি কমিটি ঘটন করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ২টায় ওই কমিটির সদস্যরা এসব শিক্ষার্থীদের সাথে বসার কথা ছিল। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও শিক্ষার্থীরা না আসায় ওই দিন বসা হয়নি।
পরবর্তীতে ঘটনার দিন বসার আগেই কতিপয় যুবক আমার কক্ষে হামলা করে গ্লাস, চেয়ার, বোর্ড সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এমআর
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের হাছননগর এলাকার বুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুরেশ রবি দাস (৪০)নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি সিএনজি অটো রিকশার যাত্রী ছিলেন ও ওয়েজখালী এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে হাছননগর এলাকার ভুবির পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,শহরের হাছননগর এলাকার সিএনজি চালক জীবন মিয়া(২০) ও ইব্রাহীমপুরের কৃষ্ণ রবি দাস (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভবন নির্মাণের সাটারিংয়ের মালপত্র নিয়ে মাহিন্দ্র ট্যাকটি বুড়ির স্থল এলাকার দিকে যাচ্ছিল, একেই সময় বুড়িস্থল থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসার পথে ভুবির পয়েন্টে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুরেশ রবি দাস (৪০) মারা যায়। গুরুত্বর আহত সিএনজি চালক ও অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী বলেন,ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমআর
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আত্তার ইয়াছিন (১০) ও নেত্রকাণার বারহাট্রা থানার নৈহাটি গ্রামের ইউসুফ রুহান (১১)। সম্পর্কে তারা ফুফাতো ও মামাতো ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার।
ইয়াছিন ও রুহান দুজনেই বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ইউসুফ রুহানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ময়নুলের বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সদরের তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে ইয়াছিন ও রুহান পড়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তাদের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এআই