এইমাত্র
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজও ৯ ঘন্টা কারফিউ শিথিল থাকবে
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত পেল পরিবার

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২২ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২২ পিএম

    বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত পেল পরিবার

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২২ পিএম

    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক জহুরুল ইসলামের (২৭) লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতের গোয়ালপুর থানার পুলিশ বাংলাদেশের হরিপুর থানা-পুলিশের হাতে লাশটি হস্তান্তর করে। এর পরপরই নিহত জহুরুল ইসলামের ভাই আবদুল বারেকসহ স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

    বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হরিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া। লাশ হস্তান্তরের সময় সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাঁঠালডাঙ্গী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ইন্তাজুল ইসলাম, বিএসএফের নারগাঁও কোম্পানি কমান্ডার ইন্স.এল সালু ও ভারতের গোয়ালপুর থানার এসআই নরেন চন্দ্র সাহা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত জহুরুল ইসলামের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

    জহুরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আবদুল বাসেদের ছেলে।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাতে জহুরুল একই গ্রামের মকলেছ রহমানসহ কয়েকজন যুবক ভারত থেকে চোরাইপথে ফেনসিডিল আনতে কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্ত এলাকায় যান। সোমবার ভোরে নারগাঁও ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে জহুরুল ও মকলেছ গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর বিএসএফ সদস্যরা আহত জহুরুলকে ভারতের ভেতর নিয়ে যান। সেখানে একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

    মকলেছ কোনোমতে বাংলাদেশের ভেতর চলে আসেন। পরের দিন সকালে নাগর নদে তাঁর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

    এদিন বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান বলেন, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সেদিন বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়।

    আইনিপ্রক্রিয়া শেষে আজ জহুরুলের লাশ কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০ নম্বর মূল পিলারের ৬ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে বিজিবির মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের পর জহুরুলের লাশ ফেরত দিয়েছে। মরদেহে গুলিবিদ্ধের চিহ্ন ছিল। হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, লাশ বুঝে পাওয়ার পরপরই নিহত জহুরুলকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…