বছর ঘুরে অফুরন্ত রহমত নিয়ে ফিরে এসেছে মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। রমজান আসে আমাদের অন্তর জগৎ প্রস্তুত করতে। যেন সেখানে খোদাভীতি জায়গা করে নিতে পারে। বান্দার মনে যদি একবার খোদার প্রেম বসে যায়, তবেই সে সফল জীবনের চাবিকাঠি হাতে পাবে।
রোজাদারের জন্য সেহরি খাওয়া ও ইফতার করা সুন্নাত। বিশেষ কিছু না পেলে সামান্য খাদ্য বা কেবল পানি পান করলেও ইফতারের সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। ইফতার খুরমা কিংবা খেজুর দ্বারা করা সুন্নাত। তা না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। ইফতার আয়োজনে অপচয় বা লোক দেখানো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের আগে, ইফতার করার সময়, এবং ইফতারের পর দোয়া পাঠের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করতে হয়।
ইফতারের আগে যে দোয়া পড়তে হয়
উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।’
বাংলা অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)
ইফতারের সময় যে দোয়া পড়তে হয়
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।’
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।
ইফতারের পর যে দোয়া পড়তে হয়
উচ্চারণ: ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
বাংলা অর্থ: ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
ইফতারের সময় যে যে কাজগুলো করতে হয়
১. ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
২. অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতারে মনোযোগ দেওয়া।
৩. বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৪. খেজুর কিংবা সাদা পানি দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ আদায় করা।
৫. ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া। মাগরিবের নামাজ আদায় করে তারপরে তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়া। তাতে শরীর সুস্থ ও সবল থাকে।