দেশের সবচেয়ে বড় নভোথিয়েটার নির্মাণ করা হচ্ছে বরিশালে। সদর উপজেলার দক্ষিণ চরআইচা গ্রামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেরিন একাডেমির পাশেই নির্মিত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেরিন একাডেমির ঠিক পাশেই নভোথিয়েটারটি নির্মাণ করায় এটি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনষ্ক উন্নত শিক্ষায় সহায়ক ভুমিকা পালন করবে বলে জানান বরিশালের সচেতন মহল।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিম ও সানজিদা প্রীতি বলেন, দেরিতে হলেও বিভাগীয় শহর বরিশালে নভোথিয়েটার হচ্ছে এটাই আসলে খুশির বিষয়। এখন বরিশাল থেকেই মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা যাবে।
সূত্রে জানা যায়, ৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল নভোথিয়েটার’ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নমূলক তহবিলের (জিওবি) অর্থায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তর।
বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফ-উল আলম বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট ‘বরিশাল নভোথিয়েটার’ প্রকল্পের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু টাইলস ও ফিটিংয়ের কাজ চলছে। প্রকল্পটিতে নির্মাণ করা হবে ৩৪০ আসনের গ্যালারি, অফিস ব্লক, প্ল্যানেটরিয়াম ব্লকসহ প্লাজা, পার্ক, শিশুদের জন্য আলাদা খেলার স্থান ও ডরমেটরি ভবন। এছাড়াও এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে একসঙ্গে ১৭৫টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
এ বিষয়ে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আলম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষায় শিক্ষিত করতেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বরিশাল নভোথিয়েটার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বরিশালে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার প্রকল্পটি নির্মাণ হলে এখানকার শিক্ষার্থীরা নভোথিয়েটারের মাধ্যমে মহাকাশ বিষয়ক প্রদর্শনী, ৫-ডি এডুটেইনমেন্ট সিমুলেটর, ডিজিটাল এক্সিবিউস গ্যালারী ও ৫-ডি মুভি থিয়েটার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। এতে মহাকাশ গবেষণার জন্য স্থাপন করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক টেলিস্কোপ। জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় কিছুটা দেরি হলেও আগামী বছর এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এআই