এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আপনার স্বাস্থ্য

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সঠিক সময়ে খাওয়া ও ব্যালেন্সড ডায়েট

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৬ পিএম

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সঠিক সময়ে খাওয়া ও ব্যালেন্সড ডায়েট

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৬ পিএম

    ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, কখন খাচ্ছেন সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিয়মিত খাবারের সময়সূচি শরীরের মেটাবলিজমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ব্যালেন্সড ডায়েটের সাথে সময়মতো খাবার খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা বলে দিলেন বড় সমাধান। আপনি যদি ওজন কমিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করতে চান, তাহলে এইভাবে আপনার ডায়েট চার্ট পাল্টে দেখুন। হাতেনাতে মিলবে ফল।

    সময়মতো খাবার খাওয়ার গুরুত্ব: পুষ্টিবিদ মতে সময় মত খাবার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে,

    মেটাবলিজম বৃদ্ধি: নিয়মিত সময়ে খাবার খেলে শরীরের মেটাবলিজম সঠিকভাবে কাজ করে এবং ক্যালোরি দ্রুত পোড়ায়, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।

    হরমোন নিয়ন্ত্রণ: খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকলে ইনসুলিন ও গ্রেলিন (ক্ষুধার হরমোন) নিয়ন্ত্রিত থাকে, ফলে অযথা ক্ষুধা ও ওভারইটিংয়ের প্রবণতা কমে।

    পেশি সংরক্ষণ: দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শরীর শক্তির জন্য পেশি ভাঙতে শুরু করে, যা বিপাকক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। সময়মতো খাবার খেলে এটি প্রতিরোধ করা যায়।

    হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: নিয়মিত খাবারের সময় হজম তন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, ব্লোটিং-এর মতো সমস্যা এড়ানো যায়।

    অনিয়ন্ত্রিত ক্ষুধা প্রতিরোধ: যদি দীর্ঘ সময় না খাওয়া হয়, তাহলে একবারে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের কারণ হতে পারে।

    ওজন কমানোর জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট: ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবলে আপনাকে ব্যালেন্সড ডায়েট করতে হবে। এটা আপনার শরীরে পুষ্টি যোগাবে সেই সঙ্গে ওজনও কমাত সাহায্য করবে। ব্যালেন্সড ডায়েটে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে থাকে। ব্যালেন্সড ডায়েট প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে, ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রতিদিনের ডায়েটে ডাল, মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, বাদাম ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন, যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেশি গঠনে সাহায্য করে।

    কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট: পরিশোধিত চিনি ও ফাস্টফুড এড়িয়ে লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার যেমন— লাল চাল, ওটস, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত।

    ভিটামিন ও মিনারেল: শরীরের প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহের জন্য টাটকা ফল, শাকসবজি ও বাদাম খেতে হবে।

    ভালো ফ্যাট: ওজন কমাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমিয়ে অলিভ অয়েল, বাদাম, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা দরকার।

    পর্যাপ্ত পানি পান: ডিটক্সিফিকেশন, বিপাকক্রিয়া এবং হাইড্রেশন বজায় রাখতে দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।

    কখন খাবার খাওয়া উচিত: খাবার খাওয়ার সঠিক সময় প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ ইসরাত কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। বেলা ভেদে খাবার খাওয়ার সময় যেমন হবে:

    সকাল: ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যে নাস্তা করুন। প্রোটিন, ভালো ফ্যাট ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হবে।

    দুপুর: দুপুর ১-২ টার মধ্যে লাঞ্চ করুন, যাতে পর্যাপ্ত ফাইবার, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে।

    বিকেল: বিকেলে হালকা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস (বাদাম, ফল, গ্রিক দই) খেতে পারেন।

    রাত: রাত ৮টার মধ্যে ডিনার শেষ করুন, যা হজমে সহায়ক এবং ক্যালোরি ব্যালেন্স রাখে।

    ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যা করবেন আর যেসব এড়িয়ে যাবেন:

    করণীয়

    ছোট ছোট বিরতিতে খাবার খান (প্রতিদিন ৫-৬ বেলা)

    প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে প্রাকৃতিক খাবারের ওপর নির্ভর করুন

    প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন

    পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

    বর্জনীয়

    লম্বা সময় না খেয়ে থাকা

    রাতের খাবার দেরিতে খাওয়া

    উচ্চ চিনি ও ফাস্টফুড খাওয়া

    ক্যালোরি কাউন্ট না করে অপ্রয়োজনীয় ডায়েট করা

    ওজন কমানোর জন্য ব্যালান্সড ডায়েটের পাশাপাশি খাবারের সময়মতো গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণই করে না, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবনযাত্রার গুণগত মান উন্নত করে। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে সুস্থভাবে ওজন কমানো সম্ভব।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…