এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সেবা ব্যর্থ হলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল বন্ধের হুঁশিয়ারি

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

    সেবা ব্যর্থ হলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল বন্ধের হুঁশিয়ারি

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

    শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত না হলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির।

    বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় চরম অব্যবস্থাপনা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, অনেক চিকিৎসক নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত হন না। বেশিরভাগ চিকিৎসকের তাদের রুম তালাবদ্ধ থাকে।

    শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বেশিরভাগ চিকিৎসক স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে সরকারি চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত ক্লিনিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকায় সরকারি হাসপাতালে কাকিত সেবা পাচ্ছে না। তবে স্থানীয় ক্লিনিক গুলোতে অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

    হাসপাতালটিতে রয়েছে বিভিন্ন সেবা সংকট। বিশেষ করে এক্স-রে সেবা বন্ধ এবং ভ্যাকসিন দীর্ঘদিন ধরে সরবরাহ না থাকায় রোগীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

    আসমা আক্তার, এক রোগী, বলেন আমার বাচ্চাকে বিড়ালে আঁচড় দিয়েছে। এখানে এসে জানতে পারি, ভ্যাকসিন নেই। ৫৭০ টাকা দিয়ে কিনে ভ্যাকসিন দিতে হলো। সরকারি হাসপাতালে এসে যদি নিজের টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব?

    মোকলেছুর আকন বলেন চিকিৎসকরা সময়মতো আসেন না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে। আমরা চাই, চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, আমরা পরিদর্শনে গিয়ে দেখি, চিকিৎসকদের কক্ষ তালাবদ্ধ। ডাক্তারদের ফোন করে হাসপাতালে আনতে হয়। তারা প্রাইভেট ক্লিনিকে ব্যস্ত থাকেন। জনগণ যদি সদর হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা না পায়, তাহলে এটি রেখে লাভ কী? প্রয়োজনে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

    তিনি আরও জানান, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বারবার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে তার পদত্যাগের দাবিও তোলা হবে।

    হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করলে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা যাবে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…