ঢাকায় ছেলের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কথা বলে অভিনব কায়দায় কিশোরগঞ্জের এক অভিভাবকের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক চক্র।
এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে প্রতারণার স্বীকার এক ভুক্তভোগী অভিভাবক কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতারণার স্বীকার কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্রি এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ কামরুজ্জামান লস্কর।
ভুক্তভোগী মো. কামরুজ্জামান লস্কর জানান, তাঁর ছেলে আবিদ ইয়াসার সাদমান ঢাকায় ডিওএইচএস এর বাসায় থেকে মীরপুর ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল এ লেখাপড়া করে। গত (০৬ মার্চ) বিকাল ৫ টার দিকে তাঁর মোবাইলে অপরপ্রান্ত থেকে একব্যক্তি নম্বর থেকে জানায় যে, তাঁর ছেলে সাদমান তার বন্ধুসহ উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। ফলে সেখানে একটি জুয়েলারি দোকানের ডেকোরেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছেলে ও তার বন্ধুও কিছুটা আহত হয়েছে এবং তাদেরকে পাশের ফার্মেসিতে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে বলে জানায় প্রতারক চক্রটি।
পরে ছেলে শাদমানের কান্না জড়িত হুবহু নকল কন্ঠে ভুক্তভোগীর সাথে কথাও বলায় প্রতারকচক্র। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত জুয়েলারি দোকানের মালিককে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথায় ছেলেদের ছাড়বে না বলে জানায়। ওই প্রতারক আরও জানায়, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এলাকার নান্দাইল উপজেলায় এবং শশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জে। ছেলের এমন বিপদের কথা শুনে প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করে তাৎক্ষণিক প্রতারকের দেয়া বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানতে ছেলে শাদমানকে মোবাইল করে জানতে চাইলে সে জানায়, সে ডিওএইচএস এর বাসায় ঘুমুচ্ছিল।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে খুব দ্রুত প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এমআর