এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    পশ্চিমবঙ্গে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, মমতার পদত্যাগ দাবি

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

    পশ্চিমবঙ্গে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, মমতার পদত্যাগ দাবি

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

    ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক সঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অশান্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, দাবি উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগেরও। কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই এ নিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। আজ ন্যায়বিচার চেয়ে কলকাতায় এক বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এদিকে, এক সঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ায় সংকটেও পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা।

    বিশেষ করে, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এমন অনেক নতুন বিষয় পড়ানো হয়, যেগুলি মাধ্যমিকে পড়ানো হয় না। সেই সব বিষয়ের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এক জন করে শিক্ষকই সাধারণত নিযুক্ত থাকেন। অনেক স্কুলেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের এক জন মাত্র শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সে সব স্কুলে পড়ুয়াদের ওই বিষয়গুলি কী ভাবে পড়ানো হবে, এখন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার মাঝে বেতনপ্রাপক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তালিকা তৈরি করতে গিয়েও বিপাকে পড়ছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষকেরা।

    এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরিকে অবৈধ ঘোষণা করে চাকরি বাতিলের আদেশ দেন। এ রায় ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সামনে শুরু হয় চাকরিহারাদের অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন।

    এ সময় তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে চাকরির নিয়োগে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করে যোগ্যদের চাকরি নিশ্চিত করার দাবিও তোলেন তাঁরা। ধর্মঘটে বসা শিক্ষকেরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘুষ–বাণিজ্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন। এ সময় তাঁরা ১৮ হাজার যোগ্য প্রার্থীর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

    আন্দোলনকারীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, মমতার দলের অতিলোভের কারণেই ঘুষের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের খাতা ঘষামাজা করে চাকরি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও করেছেন চাকরিহারা এসব শিক্ষক।

    এসব দুর্নীতির অভিযোগের দায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড়ে চাপাচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকবেন তিনি।

    এদিকে চাকরিহারা ও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ’ নামে একটি নতুন সংগঠন গঠন করেছেন। গত শনিবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা জানান, চাকরি বাতিলের সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিতে হবে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী চাকরির নামে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।


    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…