এইমাত্র
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    জুমার দিন মুসলমানদের কাছে শ্রেষ্ঠ যেসব কারণে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৫ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৫ এএম

    জুমার দিন মুসলমানদের কাছে শ্রেষ্ঠ যেসব কারণে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৫ এএম

    জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। ইসলামে এ দিনটির মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক। ফজিলতের কারণে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়ে থাকে। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থগুলোতে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

    জুমার তাৎপর্য

    তাফসিরবিদেরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে।

    সুরা জুমার পরের সুরা হলো মুনাফিকুন। এই সুরায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে জুমার নামাজ না পড়া কপটতার লক্ষণ। জুমার নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা জুমার ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মুনাফিকুন পড়া সুন্নত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা কারণে জুমা পরিত্যাগ করল, তাকে মুনাফিক হিসেবে তালিকাভুক্ত ও লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (মিশকাত)।

    হজরত উমর (রা.) ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘আমরা শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সা.) মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলেছেন, যারা কয়েকটি জুমা ধারাবাহিকভাবে পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তাদের অন্তরে সিলমোহর করে দেবেন। এরপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (মুসলিম)।

    হজরত আবু জাআদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অবজ্ঞা বা অবহেলা করে তিন জুমার পরিত্যাগ করল, আল্লাহ তার অন্তরে সিলমোহর করে দেবেন।’ (তিরমিজি)।

    জুমার গুরুত্ব

    হজরত তারেক ইবনে শিহাব (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার জামাতের সঙ্গে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ফরজ কর্তব্য; চার প্রকার লোক ছাড়া। ক্রীতদাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ)।

    হজরত সালমান (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনে যে গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করল, তেল ব্যবহার করল, সুগন্ধি ব্যবহার করল এবং মসজিদে গিয়ে কাউকে না ডিঙিয়ে বসল, নীরবে ইমামের খুতবা শুনল, এরপর নামাজ আদায় করল; আল্লাহ তার দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি)।

    হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালোভাবে অজু করল, অতঃপর জুমায় এল, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল ও চুপচাপ থাকল, তার এক জুমার থেকে আরেক জুমার পর্যন্ত গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে।’ (মুসলিম)।

    প্রতি কদমে সওয়াব

    হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন জামাকাপড় ধুয়ে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে গেল, হেঁটে মসজিদে গেল, কোনো বাহনে গেল না, ইমামের কাছে বসল, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, অযথা কোনো কাজ করল না, তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছরের রোজা ও এক বছরের নামাজের সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (তিরমিজি)।

    জুমার খুতবা

    জুমার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো খুতবা বা ভাষণ। হাদিস শরিফে আছে, হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দিতেন, দুই খুতবার মাঝে বসতেন; খুতবা ও নামাজ উভয়ই হতো সমান। (মুসলিম)। প্রথম যুগে জুমার নামাজের পরে খুতবা দেওয়া হতো।

    একবার নবীজি (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় বাণিজ্য কাফেলা এলে অনেকে উঠে চলে যান। ৭ জন নারীসহ ১৯ জন বসে থাকেন। এই ১৯ জনের মধ্যে বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন ছিলেন। তখন সুরা জুমার শেষ আয়াত নাজিল হয়। ‘ব্যবসায়ের সুযোগ বা তামাশা দেখলে তোমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ওরা সেদিকে ছুটে যায়। বলো, আল্লাহর কাছে যা আছে, তা তামাশা ও ব্যবসার চেয়ে অনেক ভালো। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১১)। এরপর থেকে নবীজি (সা.) খুতবা আগেই প্রদান করেন। (হাশিয়ায়ে জালালাইন ও মাআরিফুল কুরআন)।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…