পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ ও একাধিক আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামের আকাত মাঝির ছেলে মো. জিল্লু (২৬), একই গ্রামের হাবিবুল ইসলামের ছেলে সুবাইল ইসলাম (২৭), আতিয়ার প্রামানিকের ছেলে আসিফ (২৫) ও রাজ্জাক ফকিরের ছেলে শফিকুল (২৮)।
জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলা থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামের ডিগ্রির চরের (সরকারি খাস জমি) ইজারা পেয়েছেন ওই ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপি নেতা সাইদুল প্রামানিক। আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সাইদুল প্রামানিকের সেজো ভাই বিএনপি নেতা ইয়াসিন প্রামানিক ও মক্কেলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ইজারাপ্রাপ্ত চরের জমি দখল নিতে যান। এসময় চরে প্রবেশ করতেই কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সন্ত্রাসী মুকুল বাহিনীর লোকজন অতর্কিত তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করলে ইয়াসিন বাহিনীর সমর্থিত লোকজনও পাল্টা গোলাগুলি শুরু করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ইয়াসিন বাহিনীর চারজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়াই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ জিল্লুর বাবা মো. আকাত মাঝি বলেন, ইজারাপ্রাপ্ত জমি দখল নিতে গিয়ে মুকুল সন্ত্রাসীর লোকজন আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। আমরা কোনো অবৈধভাবে চর দখল করতে যাইনি। তারা আগে থেকেই অবস্থান করছিল আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করার জন্য। আমার ছেলেসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল শহিদ বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও চর দখল নিয়ে অনেক আগে থেকেই তাদের বিরোধ চলে আসছিল। আজ গোলাগুলির খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। গুলিবিদ্ধদের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসকে/আরআই