এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    দুই কিডনি অকেজো, বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে লিমার লড়াই

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ০৭:২০ পিএম

    দুই কিডনি অকেজো, বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে লিমার লড়াই

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ০৭:২০ পিএম

    অন্যান্য মেয়েদের মতো স্বাভাবিক জীবন ছিল লিমা আক্তারের (১৮)। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে দরিদ্র বাবার দুঃখ ঘোচানোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন বিষাদে ছেয়ে গেছে। লিমা আক্তারের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে পরিবারটি।

    লিমার বাবা আব্দুল লতিফ (৪৫), পেশায় একজন দিনমজুর, মা মাছুমা বেগম গৃহিণী। ১১ বছর আগে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মধ্য সাদুল্যা ফকিরপাড়া গ্রামে। সহায় সম্বল বলতে তিন শতক বসতভিটা।

    জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে লিমার শুধু জ্বর আসতো। প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসা করালেও তা কাজে আসেনি। এরপর জ্বরের সঙ্গে বমি হতো। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এবিএম মোবাশ্বের আলমের স্মরণাপন্ন হলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, মেয়েটার দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দ্রুত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন না করা গেলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না বলেও জানান চিকিৎসক।

    লিমার মা মাছুমা বেগম বলেন, মেয়েটা কিছু খায় না, সারাদিন কান্নাকাটি করে থাকে। পেটের ভেতর জ্বালাপোড়া করে। প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। একবার ডায়ালাইসিসের খরচ ১০ হাজার টাকা। আমরা গরীব মানুষ, ঠিকমতো খেতে পারি না। এতো টাকা কিভাবে জোগাড় করি।

    আব্দুল লতিফ জানান, একদিন কাজে না গেলে পেটে খাবার জোটে না। এর মধ্যে মেয়েটার এত বড় অসুখ হয়েছে। কাজ কাম সব বন্ধ করে হাসপাতালে ঘুরছি। ডাক্তার বলছে, একটা কিডনি জোগাড় করতে পারলে মেয়েটাকে বাঁচানো যেত। ধার-দেনা আর এলাকাবাসীর সহায়তায় কোনোভাবে চিকিৎসা চলছে। একটা কিডনির অনেক খরচ, এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।

    স্থানীয় শাহীন আলম জানান, মেয়েটা (লিমা) অত্যন্ত মেধাবী। এলাকাবাসীর সহায়তায় ও ধার-দেনার মাধ্যমে তার কোনোভাবে চিকিৎসা চলছে। এই মুহূর্তে সমাজের হৃদয়বান এবং মানবিক মানুষদের সাহায্য ছাড়া লিমার জীবন বাঁচানো অসম্ভব।

    লিমার পরিবার সকলের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

    নাম: মোছা. লিমা আক্তার

    ব্যাংক: অগ্রণী ব্যাংক, উলিপুর শাখা, কুড়িগ্রাম

    হিসাব নম্বর: ০২০০০২৩৭৫০৯৪৪

    বিকাশ/নগদ: ০১৯৫১৪৮৩৯৫২

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…