এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভৈরবে দেহব্যবসায় বাধা দেয়ায় ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি

    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

    ভৈরবে দেহব্যবসায় বাধা দেয়ায় ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি

    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দেহব্যবসায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দন্ডিত করা হয়।

    মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ৩য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এর বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ আদেশ দেন। প্রদত্ত সাজা ফাঁসির মাধ্যমে কার্যকর করার নির্দেশ দেন বিচারক।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মো. কাইয়ুম সরকারের স্ত্রী মোছাঃ সেলিনা বেগম ওরফে শিউলী (২৫) একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে শোভা প্রকাশ মেঘলা (২০) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মৃত সাহিল উদ্দিন এর ছেলে মো. সুমন (২২) ।

    মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শফিউজ্জমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২০০৮ সালের (০৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ধারালো অস্ত্রের উপুর্যপরি আঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত মোহাম্মদ আলীর পিতা শামসউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসমীদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার এসআই আব্দুল আজিজ ২০০৮ সালের ৩০ মে মো. সুমন মিয়া, সেলিনা বেগম, শোভা প্রকাশ ও মহরম আলী এ চারজনকে আসামী করে অভিযোগ পত্র প্রদান করেন।

    স্বীকারোক্তিতে তারা জানান সেলিনা বেগম ও শোভা প্রকাশ দেহ ব্যবসায় জড়িত ছিল। নিহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী তাদের অনৈতিক কাজে বাধা দিত সেলিনা বেগম ও শোভা প্রকাশ তার ও মহরম আলীর শরনাপন্ন হয়। এর জের ধরে (০৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত নয়টার দিকে হাজী আসমত কলেজের ভিতর আটকে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদকে ধারালো অস্ত্রের উপুর্যপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এর ফলে হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত মুরাদকে ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

    এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া।

    পিএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…