এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আন্দামান সাগরে মৃত্যুর মিছিল, নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ৪২৭ রোহিঙ্গার

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

    আন্দামান সাগরে মৃত্যুর মিছিল, নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ৪২৭ রোহিঙ্গার

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

    নিরাপদ জীবনের আশায় প্রাণপণ সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে সলিল সমাধি হলো আরও ৪২৭ রোহিঙ্গার। চলতি মে মাসের শুরুতে মিয়ানমার উপকূলে পৃথক দুটি ভয়াবহ নৌকাডুবিতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

    শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার অফিসের যোগাযোগ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমুদ্রপথে এ ধরনের বিপজ্জনক যাত্রায় প্রতি পাঁচজন রোহিঙ্গার মধ্যে একজন নিখোঁজ কিংবা মারা যাচ্ছেন। ফলে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্রপথে পরিণত হয়েছে।

    প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ মে, যেখানে ২৬৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। যাত্রীদের বেশিরভাগই কক্সবাজারের ক্যাম্প এবং কিছু রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা করেছিলেন। এই ট্র্যাজেডি থেকে মাত্র ৬৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

    পরদিন ১০ মে, দ্বিতীয় নৌকাডুবিতে ২৪৭ জন রোহিঙ্গা আরোহী ছিলেন। সেখান থেকেও মাত্র ২১ জন বেঁচে ফেরেন। অর্থাৎ, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছে ৪২৭ জন রোহিঙ্গার।

    এছাড়া, ১৪ মে আরও একটি নৌকাকে মিয়ানমার উপকূলে আটকানোর খবরও জানিয়েছে সংস্থাটি, যাতে ছিলেন ১৮৮ জন রোহিঙ্গা। এসব মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পথে নেমেছিলেন, কিন্তু অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই হারিয়ে গেলেন গভীর সমুদ্রে।

    এ বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক হাই কিয়ং জুন বলেন, “সহায়তা তহবিলের ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিরাপত্তা ও সম্মানজনক জীবনের আশায় তারা বিপজ্জনক পথ বেছে নিচ্ছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়- আশ্রয়দাতা দেশগুলোতে সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সমুদ্রপথে সম্মিলিত মানবিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।”

    তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সংস্থাটির ৩৮৩.১ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ।

    এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মো. জোয়ের বলেন, “রোহিঙ্গারা যখন রাখাইনে প্রত্যাবাসনের আশা করে, তখনই দালালরা তাদের বিভ্রান্ত করে সাগরপথে পাঠিয়ে দেয়। অর্থের বিনিময়ে দালালচক্র এই মানবপাচার চালিয়ে যাচ্ছে, যার পরিণতিতে আমরা বারবার এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছি। দালালদের দমন ছাড়া এই প্রাণহানি বন্ধ করা সম্ভব নয়।”

    এই ভয়াবহ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউএনএইচসিআর ও সংশ্লিষ্টরা দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…