এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কক্সবাজারে ঘুষের টাকাসহ বিএনপি নেতাকে আটক করল দুদক

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

    কক্সবাজারে ঘুষের টাকাসহ বিএনপি নেতাকে আটক করল দুদক

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

    কক্সবাজার জেলা পরিষদের একটি ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় বিএনপির এক নেতাকে হাতে–নাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার (২৮ মে) বিকেলে জেলা সদর থেকে আটক হন কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    দুদক ও অভিযোগকারী সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজুল হক জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে পতিত জায়গায় ছয়টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। দোকান নির্মাণের পর জেলা পরিষদের কর্মচারী রেজাউল করিম দোকান রাখার অনুমতি বাবদ তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে দোকান উচ্ছেদের হুমকিও দেন তিনি।

    ঘটনার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে আজিজুল হক রেজাউলের কক্ষে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা রেজাউলের ভাইয়ের হাতে কুতুবদিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এই সময় দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের একটি দল সেখানে হানা দেয়।

    তবে রেজাউল করিম ঘটনার টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। তবে রেজাউলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং ঘুষ লেনদেনে সহযোগী ভূমিকা রাখা বিএনপি নেতা কামরুল হাসান তখন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। দুদক কর্মকর্তারা তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেন।

    দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই ঘটনায় জেলা পরিষদের কর্মচারী রেজাউল করিম এবং বিএনপি নেতা কামরুল হাসানকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়েছে। রেজাউল এখনও পলাতক। তিনি বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবার বিরুদ্ধেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

    ভুক্তভোগী আজিজুল হক বলেন, 'প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম নিয়ে রেজাউল ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে দোকান উচ্ছেদের হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে টাকা দিচ্ছিলাম, তখনই ধরা পড়ে যান কামরুল।'

    জেলা পরিষদের কর্মচারী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আগে থেকেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, অদৃশ্য প্রভাব খাটিয়ে এতদিন তিনি পার পেয়ে গেছেন।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…