পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মেয়াদেই নতুন বেতন কাঠামো গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যেতে চায় বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, নতুন পে-স্কেল (নবম জাতীয় বেতন স্কেল) ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
বাজেট সংশোধন শুরু হবে ডিসেম্বরে, সেখানে নতুন পে স্কেল কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়ন শুরু করার জন্য কোনো রাজনৈতিক সরকারের অপেক্ষা করতে হবে না।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকারি কর্মচারীর বেতন সমন্বয় করতে গত ২৭ জুলাই ২৩ সদস্যের ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে সরকার। বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এ কমিশন। কর্মচারীর পরিবারের সদস্য ছয় জন ধরে আর্থিক ব্যয় হিসাব করতে বলা হয়েছে। কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কমিশনের এক সদস্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে সর্বোচ্চ পদ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন পদ (গ্রেড-২০)-এর বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১। নতুন কাঠামোতেও এ অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে থাকবে। চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।
জানা যায়, এ কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে। তবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিষয়টি জাতীয় বেতন কমিশনের বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০টি বেতন গ্রেড রয়েছে। প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এ পে স্কেল অনুসারে বেতন-ভাতা পান।
এসএম