এইমাত্র
  • ৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
  • ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে কী সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
  • দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
  • খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নরমাল: মেডিকেল বোর্ড
  • আজ সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভাঙ্গুড়ায় কৃত্রিম সংকটে সবজির দাম উর্ধ্বমুখী, দায় নিচ্ছে না কেউ

    সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
    সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

    ভাঙ্গুড়ায় কৃত্রিম সংকটে সবজির দাম উর্ধ্বমুখী, দায় নিচ্ছে না কেউ

    সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

    কয়েকদিনের বৃষ্টিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাড়িয়েছে কাঁচা মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কয়েকদিনের ব্যবধানে সবজির কেজিপ্রতি দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু খুচরা বাজারে সবজির কোনো সংকট নেই।

    বাজারগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়। গত এক মাস ধরে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা।

    শনিবার (০৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে শাকসবজি, মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়া এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে দাম বৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন কৃষক ও বিক্রেতারা।

    উপজেলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণ এবং শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে বর্ডার বন্ধ থাকায় সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যার ফলে সবজির মূল্যে প্রভাব পড়েছে। তবে পূজার ছুটি শেষে বর্ডার খুললে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে।

    বেশকিছু বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় প্রতি কেজি ফুলকপি ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও জালি প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    এছাড়া করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও কচুর মুখি প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকায়।

    উপজেলার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাট শরৎনগরে সবজি কিনতে আসা ভ্যানচালক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'বৃষ্টির কারণে আয় নেই, বাজারে সবকিছুর দাম আবার আকাশছোঁয়া। এ সময়ে পরিবার নিয়ে চলা দুঃসহ হয়ে গেছে। বাজারে যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে, যে যার মতো করে সবজি বিক্রি করে-তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খাবে? যেকোনো অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেয়।'

    উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির সরদার বলেন, 'তারা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়াননি। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির এখন মৌসুম শেষ হয়েছে, নতুন করে সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই। আবার যে সবজি ক্ষেতে রয়েছে, সেগুলো গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে সেই প্রভাব পড়েছে বাজারে।'

    এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি জানান, 'টানা বৃষ্টির কারণে মাঠে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাজারে দাম বেড়েছে। এ সুযোগে যাতে অতিরিক্ত বাড়াতে না পারেন, সেজন্য আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা-সব পর্যায়ে বাজার তদারকি করা হচ্ছে।'

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…