এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আপনার স্বাস্থ্য

    পেঁয়াজ-রসুনে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পিএম
    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পিএম

    পেঁয়াজ-রসুনে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি

    স্বাস্থ্য ডেস্ক প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পিএম

    রান্নায় পেঁয়াজ ও রসুনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ পেঁয়াজ ও রসুন ছাড়া রান্না করার কল্পনাই করা যায় না। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্যই নয়, পেঁয়াজ ও রসুন শরীরের জন্যও নানা উপকার করে থাকে। তাই অনেকেই ভাতের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খেতেও ভালোবাসেন। আবার চাটনি-আচারেও নিয়মিত কাঁচা রসুন ব্যবহার করে থাকেন। আর এই পেঁয়াজ ও রসুনের মাধ্যমে আপনার শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে।

    আর রসুনের উপকার পেতে সঠিকভাবে খাওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রসুনের কোয়া কেটে বা থেঁতলে সঙ্গে সঙ্গে রান্না করলে অ্যালিসিন পুরোপুরি সক্রিয় হয় না। তাই রসুন কাটার পর কিংবা থেঁতলে পরে অন্তত ১০ মিনিট রেখে দিলে ভেতরের অ্যালিসিন সক্রিয় হয় এবং তখন খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এককথায়, পেঁয়াজ ও রসুন খাওয়া মোটেও খারাপ নয়। বরং সঠিকভাবে প্রস্তুত করে নিয়মিত খেলে শরীরের ডিটক্স ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়, কোষের সুরক্ষা বাড়ে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।

    এ বিষয়ে এমস ও হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত চিকিৎসক সৌরভ শেঠি একটি বিশ্লেষণধর্মী গবেষণার মাধ্যমে তথ্যের ধারণা দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেছেন, পেঁয়াজ ও রসুন— দুটোই অ্যালিয়াম পরিবারের সদস্য, যা শরীরে গিয়ে লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। অর্থাৎ এমন এনজাইম তৈরি করে, যা শরীরের ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করে।

    তিনি বলেন, পেঁয়াজ ও রসুন অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে খাদ্য জোগায় এবং অন্ত্রের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়। এ ছাড়া পেঁয়াজ ও রসুনে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের ভেতর থেকে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

    ডা. সৌরভ শেঠি বলেন, পেঁয়াজ ও রসুনের সবচেয়ে মূল্যবান উপাদান হলো— অর্গানোসালফার যৌগ, যার মধ্যে অ্যালিসিন, ডায়ালিল সালফাইড ও ডায়ালিল ডিসালফাইড উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সম্ভাবনাময় ভূমিকা রাখতে পারে।

    তিনি বলেন, অ্যালিসিনকে টিউমার নাশক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। আর নিয়মিত পেঁয়াজ ও রসুন খেলে ক্যানসার সৃষ্টি বা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কমানোর সম্ভাবনা থাকে। এ খাবারগুলো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। বিশেষ করে ক্যানসারের ওপর এদের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।

    এদিকে আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যানসার রিসার্চ ২০১৬ সালে রসুনকে ‘ফুড দ্যাট ফাইট ক্যানসার’ তালিকায় যুক্ত করেছে। শুধু রসুনই নয়, সেই সঙ্গে লাল পেঁয়াজ, ছোট পেঁয়াজ, পেঁয়াজকলি, পেঁয়াজ শাক—সবই ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ, যা টিউমার বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

    ব্রিটিশ জার্নাল অব ক্যানসারে প্রকাশিত এক তথ্যানুযায়ী, পেঁয়াজ ও রসুন প্রস্টেট, পাকস্থলী, বৃহদন্ত্র, খাদ্যনালি— এমনকি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও বড় ভূমিকা রাখে।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…