এইমাত্র
  • বিশ্বকাপের আগে নেইমারের বড় ঘোষণা
  • 'রুপবান’ জাতের শিমে লাভবান কৃষক
  • নেত্রকোণা ট্র্যাজেডি দিবস পালিত
  • যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত ঢাবি অধ্যাপক
  • মুসল্লী সেজে কৃষকের শতাধিক গাছ কর্তন
  • একটা দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে: সালাহউদ্দিন
  • ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের লজ্জার হার
  • ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল
  • হাসিমুখে ট্রাইব্যুনালে হাজির শাজাহান খান, বিষণ্ণ পলক
  • ফুলবাড়ীতে কৃষকদের বীজ ও সার প্রদান
  • আজ সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আইন-আদালত

    হাসিমুখে ট্রাইব্যুনালে হাজির শাজাহান খান, বিষণ্ণ পলক

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

    হাসিমুখে ট্রাইব্যুনালে হাজির শাজাহান খান, বিষণ্ণ পলক

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    শীতের সকালে বাড়তি নিরাপত্তা ট্রাইব্যুনাল চত্বরে নীল রঙের প্রিজনভ্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জনকে। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে তাদের হাজির করা হয়েছে।

    একসময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেটে কেউ মাথা নিচু করে আবার কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে ঢুকছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। তবে হাসিমুখেই হেঁটে গেলেন তৎকালীন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। যেন কোনো ভারই নেই তার কাঁধে। কিন্তু রঙিন চশমা পরা জুনায়েদ আহম্মেদ পলককে কিছুটা বিষণ্ণ দেখা গেছে।

    চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ বেশ কয়েকজনের হাজিরার দিন নির্ধারণ সোমবার (৮ ডিসেম্বর)।

    এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।

    এরপর তাদের হাজতখানায় নেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

    ট্রাইব্যুনালে আনা আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প-বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তবে অসুস্থ থাকায় আনা হয়নি সাবেক এমপি ফারুক খানকে।

    এর মধ্যে সালমান, আনিসুল, ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ফরমাল চার্জ দিয়েছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এছাড়া জুলাই গঅভ্যুত্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আর আনিসুল ও সালমানের ফরমাল চার্জে আনা হয় কারফিউ দিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।

    এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুবলীগের সভাপতিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন সূত্র। শিগগিরই ফরমাল চার্জ দেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।

    এর আগে, ১৫ অক্টোবর পৃথক মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। ওই দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে দুই মাস সময় চাইলে এ আদেশ দেওয়া হয়। ২০ জুলাইও তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় আবেদন করে প্রসিকিউশন। তবে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় নতুন করে সময় দেন ট্রাইব্যুনাল।

    এদিকে, আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সবাইকেই তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দিতে দেখা যায়।

    চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। ওই দিন এ ঘটনায় তদন্তে আরও তিন মাস সময় চান প্রসিকিউশন। পরে ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ তাদের আনা হয়। সবমিলিয়ে একসময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জ জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…