এইমাত্র
  • জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট আবেদন খারিজ
  • মা-মেয়ে খুন: গৃহকর্মীকে ঘিরে সন্দেহ, বোরকা পরে ঢুকে বের হন স্কুল ড্রেসে
  • খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে মঙ্গলবার আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • যে শর্ত পূরণ না হলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ
  • অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন দেওয়ার শর্ত ছিল না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
  • ভালুকায় হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত
  • আনোয়ারায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চুরি
  • বন্দর থেকে প্রতিদিন ২-৩ কোটি টাকার চাঁদা তোলা হয়: শ্রম উপদেষ্টা
  • সখিপুরে গানের আসরের কথা বলে মহিলা শিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
  • বাংলাদেশে উপেক্ষিত আরহাম ডাক পেলেন অস্ট্রেলিয়া দলে
  • আজ সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    কৃষি ও প্রকৃতি

    'রুপবান’ জাতের শিমে লাভবান কৃষক

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম

    'রুপবান’ জাতের শিমে লাভবান কৃষক

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম

    ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সর্জন পদ্ধতিতে 'রুপবান' জাতের শিম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। যা, চলতি মৌসুমে ৪০৫ হেক্টর জমির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪২৫ হেক্টরে শিম চাষ করেছেন কৃষকেরা। এসব তথ্য জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা।

    কৃষকদের ভাষায়, এই মৌসুমে আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে লাভবান হবেন তারা। শীতের শুরুতে কৃষকরা প্রতি কেজি শিম ১৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতি কেজি শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন। তবে দেশি জাতের শিমের কদর স্থানীয়দের কাছে বেশি রয়েছে।

    অধিক মুনাফা পাওয়ায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সর্জন পদ্ধতিতে 'রুপবান' জাতের শিম চাষ। চারদিকে নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলে বর্ষা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক সময় আবাদি জমিতে দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকে। ফলে মৌসুমি চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সর্জন অর্থাৎ উঁচু বেড বা উঁচু কুপ তৈরি করে সবজি উৎপাদন পদ্ধতিটি কৃষকদের কাছে যেন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে এই জাতের শিম চাষে এ পদ্ধতি এখন বেশ লাভজনক এক চাষাবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

    শিম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকরা প্রচলিত চাষ পদ্ধতির তুলনায় সর্জন পদ্ধতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ এই পদ্ধতিতে পানি নিষ্কাশন সহজ, মাটির উর্বরতা ধরে রাখা সম্ভব, পাশাপাশি গাছের শিকড়ও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। ফলে গাছ দ্রুত বড় হয় এবং আগাম সময়ে ফলন পাওয়া যায়। বাজারে আগাম শিমের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি হওয়ায় কৃষকরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগের বিপরীতে লাভও তুলনামূলক বেশি।

    উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার আসলামপুর, ওমরপুর, চর মাদ্রাজ, আমিনাবাদ, এওয়াজপুর, জিন্নাগড়, হাজারীঞ্জ ইউনিয়নে কৃষকরা 'রুপবান' জাতের আগাম শিম চাষাবাদ করছেন। এ উপজেলায় ৮০০ কৃষক এই শিম চাষাবাদের যুক্ত রয়েছেন।

    আসলামপুর এলাকার কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এক সময়ে সর্জন পদ্ধতি ছাড়া সবজি চাষাবাদ করেছিলাম, কখনো লোকসান, কখনো লাভবান হয়েছি। তবে এখন পুরো বছরেই সর্জন পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষাবাদ করছি। এ বছরেই আমি ২৪০ শতাংশ জমিতে রুপবান জাতের আগাম শিম চাষ করছি। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রায় ১০ লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো৷'

    কৃষক ইউছুফ বলেন, 'দুই মাস আগে সর্জন পদ্ধতিতে শিম চাষ শুরু করেছি। আগাম তোলায় ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। আমি চলতি মৌসুমে ২ একর ৫০ শতাংশ জমিতে শিমের আবাদ করছি। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ ও ফলন ভালো হলে শেষ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা শিম বিক্রি করতে পারবো। সর্জন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদনের কারনে তেমন ঝুঁকি থাকে না।'

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা বলেন, 'দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলাটি সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। সর্জন পদ্ধতিতে বছরব্যাপি প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করছে কৃষকরা। তবে শীতকালীন সবজির মধ্যে কৃষকরা রুপবান জাতের শিম চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কৃষকদের কাছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।'

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…