পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিএনপির রাজনীতি। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধের মতন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির একাংশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সারে ১১টার দিকে বিএনপির সহশ্রাধিক নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি দলীও কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মী বিএনপির মনোনীতি প্রার্থী শহিদুল আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়।
এর আগে গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাউফল পৌরশহরের হাচোন দালাল মার্কেটের উপজেলা বিএনপি কার্যালয় এক জরুরি সভা ডাকে উপজেলা বিএনপি। সভায় নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল জব্বার মৃধা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা, পৌরসভা, ১৫ টি ইউনিয়ন ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির কয়েকশ নেতা-কর্মী।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, যিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে যিনি প্রকাশ্যে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরোধতা করেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন সেই শহিদুল আলাম তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিগত ১৭ বছর তিনি কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেননি। তার মত একজন ব্যক্তিকে তারা কোনোভাবেই মেনে নিবেন না।
গতবৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। এই ৩৬ আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের নামও ঘোষণা করা হয়।
শহিদুল আলম জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং বিএনপির মনোনয়নে ১৯৯৬ সালে ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ২৪ ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ২০০১ সালে ফের বিএনপির মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিনি অংশ নিতে পারেননি।