দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম জেলা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। উপজেলার ডাংধরা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ, চিকাজানি, চুকাইবাড়ি, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা ও দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে সকাল ও বিকেলে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের বেলাতেও শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ ও নিত্যদিনের শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ—বিশেষ করে দিনমজুর, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহে সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
তীব্র শীতের কারণে গবাদিপশুগুলোও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক পশু।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “তীব্র শীতের কারণে গবাদিপশুর নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিচ্ছে। এ সময় রাতে গবাদিপশুর গায়ে চট বা ছালা দিতে হবে, শুকনো ও গরম স্থানে রাখতে হবে এবং কুসুম গরম পানি খাওয়াতে হবে।”
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব বলেন, “শীতের কারণে সর্দি-জ্বর বাড়ছে। এছাড়া ঠান্ডা বাসি খাবার খেলে আমাশয়সহ পাতলা পায়খানা হতে পারে। হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।”
এনআই