এইমাত্র
  • বরিশালে শীতের পোশাকের দোকানে উপচেপড়া ভিড়
  • চুয়াডাঙ্গায় ১৪ ভারতীয় নাগরিককে পুশইন
  • অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
  • চকরিয়ায় যানজটের ভোগান্তি
  • শার্শায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরিষা আবাদ, ভালো ফলনের আশা
  • আলফাডাঙ্গায় বিএনপি নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
  • সিরাজগঞ্জে ৫টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা
  • চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সোহেল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ
  • চট্টগ্রাম-৪ আসনে বাদ পড়লেন ঘোষিত প্রার্থী, চূড়ান্ত লায়ন আসলাম
  • আজ শনিবার, ১৩ পৌষ, ১৪৩২ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    চট্টগ্রাম-৪ আসনে বাদ পড়লেন ঘোষিত প্রার্থী, চূড়ান্ত লায়ন আসলাম

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

    চট্টগ্রাম-৪ আসনে বাদ পড়লেন ঘোষিত প্রার্থী, চূড়ান্ত লায়ন আসলাম

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

    আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড (আকবরশাহ ও পাহাড়তলী আংশিক) আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম দফায় ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনকে সরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন আর কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না, এমন ইঙ্গিতই মিলছে দলটির সাম্প্রতিক প্রার্থী পুনর্গঠনে। ঘোষিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরও দলীয় হাইকমান্ড একাধিক আসনে পুনর্মূল্যায়নের পথে হাঁটছে। সাংগঠনিক শক্তি, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা, ভোটার মনস্তত্ত্ব ও নির্বাচনী কৌশল, সবকিছু নতুন করে পরখ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দল।

    এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ও তাৎপর্যপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড (আকবরশাহ ও পাহাড়তলী আংশিক) আসন। যেখানে প্রথম দফায় ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনকে সরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    মনোনয়নপত্র প্রকাশের আগেই চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছিল, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। কিছুদিন আগে বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র সময়ের কন্ঠস্বর-কে জানিয়েছিল, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত কার্যত চূড়ান্ত হলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    দলীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, “এবার প্রার্থী নির্ধারণে শুধু কাগুজে তালিকা নয়, মাঠের রিপোর্টই মূল বিবেচ্য। কোথায় কে গ্রহণযোগ্য, কে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে এবং কে নির্বাচনী লড়াইয়ে বাস্তবসম্মত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবে, এই প্রশ্নগুলোই মুখ্য হয়ে উঠেছে।”

    সূত্র মতে, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ভেতরে সাংগঠনিক সমন্বয় ঘাটতির অভিযোগ ছিল। তৃণমূলের একটি বড় অংশ মনে করছিল, এই আসনে নির্বাচনী লড়াই জেতার জন্য প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থাভাজন হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতির জটিল সমীকরণও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।

    এই প্রেক্ষাপটে লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর নাম সামনে আসে। সীতাকুণ্ড (আকবরশাহ ও পাহাড়তলী আংশিক) অঞ্চলে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক প্রভাব এবং কেন্দ্র ও মাঠ, দুই স্তরেই গ্রহণযোগ্যতা তাকে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখে বলে মূল্যায়ন করে হাইকমান্ড।

    বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নয়। এখানে দলের জয়ের সম্ভাবনাই মুখ্য। আসলাম চৌধুরী সেই জায়গায় সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পছন্দ।”

    সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড, আকবরশাহ–পাহাড়তলী (আংশিক) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র প্রকাশ পায়।

    দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন চিঠি হাতে পাওয়ার পরও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রকাশ করেননি। বরং স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যেন কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, সে কারণেই সময় নিয়ে এগিয়েছেন।

    মনোনয়ন বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী সময়ের কন্ঠস্বর-কে বলেন, “দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, সেটা কোনো হঠাৎ পাওয়া অর্জন নয়। এটা এই এলাকার জনগণ এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিশ্বাসের প্রতিফলন।”

    তিনি আরও বলেন, “আমি ইচ্ছে করেই মনোনয়নপত্র সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করিনি। সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহনশীল থাকার বার্তা দিতে চেয়েছি। রাজনীতিতে দায়িত্বশীল আচরণ খুব জরুরি। জনগণের এই আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”

    মনোনয়ন ঘোষণার পর স্থানীয় বিএনপির একটি বড় অংশ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। নেতাকর্মীদের মতে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দলীয় বিভাজন কমবে এবং নির্বাচনী মাঠে বিএনপি আরও সংগঠিতভাবে এগোতে পারবে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এই প্রার্থী পরিবর্তন কেবল একটি আসনের সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি বিএনপির সামগ্রিক নির্বাচনী কৌশলের প্রতিফলন। দল এবার ‘পরীক্ষিত মুখ’ ও ‘মাঠের শক্তি’কে অগ্রাধিকার দিয়ে এগোচ্ছে।

    তাদের মতে, চট্টগ্রামে বিএনপির ভবিষ্যৎ অবস্থান অনেকটাই নির্ভর করবে এই ধরনের কৌশলগত সিদ্ধান্তের ওপর।

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই সামনে আসছে, চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ততই স্পষ্ট হচ্ছে, বিএনপি এবার শুধু অংশগ্রহণ নয়, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…