ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে সাইফুল সর্দার ওরফে সাইফেল (৪৯) নামে এক বিএনপি নেতাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নিহত সাইফুল সর্দারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনকে এজাহারভুক্ত ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি আইয়ুব মিয়া (৫৬) ও শফিকুল মিয়াকে (৩৪) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ জাটিগ্রামের নিজ বাড়িতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিএনপি নেতা সাইফুল সর্দার। তিনি ওই গ্রামের হবি সর্দারের ছেলে এবং আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে ‘শুটার জুয়েল’ নামে পরিচিত ওই এলাকার জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে সবুজ মিয়া, হাসিব মিয়া, সৈয়দ রাজিব আলী, আইয়ুব মিয়া, নুরু মিয়া, শুভ মিয়া, শাহা সুলতান প্রিন্সসহ একদল সশস্ত্র লোক গভীর রাতে এলাকায় তান্ডব চালায়। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে সাইফুল সর্দারের ঘরে প্রবেশ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী ইসমাইল মোল্যার বাড়িতে গিয়ে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হামলার পর আসামিরা এলাকার অন্তত ৭-৮টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাইফুল সর্দারকে গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে গুরুতর আহত ইসমাইল মোল্যা ফরিদপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, 'পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।'
ইখা