যানজটের ভোগান্তি থেকে কোনোমতেই রেহাই পাচ্ছেন না কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের মানুষ। ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার দুই পাশের ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা, ভাসমান দোকান ও অভ্যন্তরীণ সড়কের গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া হল পেকুয়া ও মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলার সংযোগস্থল। দক্ষিণ চট্টগ্রামের পর বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হলো চকরিয়া পৌর শহর। চকরিয়া পৌরশহরে এসে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তীব্র যানজটের শিকার হচ্ছে চকরিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার মানুষ। পেকুয়া উপজেলা হলেও ওই উপজেলার অধিকাংশ মানুষের কেনাকাটা হয় চকরিয়া থেকে নতুবা চট্টগ্রাম শহর থেকে।
এ ছাড়া মাতামুহুরি উপজেলার মানুষের বাণিজ্যের মূল জায়গা হলো চকরিয়া। এসব কারণে চকরিয়া পৌরশহরে যানবাহনের আধিক্যে প্রতিনিয়ত যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
যানজটের এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ দিতে কিছুদিন পর পর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান করতে দেখা গেলেও তা কাজে আসছে না। অভিযানের পর পরই নতুন করে ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান গড়ে ওঠে। এতে ভেস্তে যাচ্ছে প্রশাসনের উদ্যোগ।
প্রায় ১৫ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জুড়ে চলাচল করছে বৈধ-অবৈধ কয়েক হাজার টমটম, মিশুক, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মিনিবাস ও মোটরসাইকেল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া টমটমের লাগামহীন দৌরাত্ম্য, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চকরিয়া পৌর শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি মূলত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশেই অবস্থিত। মার্কেটগুলোও গড়ে উঠেছে মহাসড়ক ঘেঁষেই। রয়েছে প্রধান প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অলক বিশ্বাস বলেন, ‘যানজট নিরসনে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অবৈধ যানবাহন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান জোরদার করা হবে।’
ইখা