চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খামারির হাত-পা বেঁধে ১২টি গরু নিয়ে গেছে ডাকাতের দল।
সোমবার দিবাগত রাত (৩০ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হক মঞ্জিল বাড়ি এলাকায় মোহাম্মদ ইসমাইল ও নজরুল নামে দুই ব্যক্তির গরুর খামারে এ লুটের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১২ দিন আগেও ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারী এলাকা থেকে গরুবোঝাই একটি ট্রাক থামিয়ে চালক ও সহকারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২৮টি গরু নিয়ে যায় ডাকাতের দল। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ডাকাতদের মাথায় মানকি টুপি ছিল এবং তারা বিশেষ ইশারায় কথা বলছিল। এ ঘটনায় গরুর মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন। গরুগুলো উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ২০–২৫ জনের একটি ডাকাত দল চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এন আই ডেইরি ফার্মে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে খামারিকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় খামারের পাশের এক দোকানদার ডাকাতির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বাইরে এলে ডাকাতরা তাকেও হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তিনি কোনোভাবে সাঁতরে অন্য পাড়ে উঠে প্রাণে বেঁচে যান।
এদিকে এলাকায় বারবার চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খামারের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘বেকারত্ব ঘোচাতে জমি বিক্রি ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমরা দুজন মিলে খামারটি দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ ডাকাতের হানায় আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়ে গেছে। এখন সংসার চলবে কীভাবে, ব্যাংকের ঋণই বা কীভাবে শোধ করব?’ তিনি আরও বলেন, নাম্বারবিহীন একটি ট্রাকে গরুগুলো তুলে ডাকাতরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঢাকামুখী চলে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়েছে। মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গরুগুলো উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে তদন্তসহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এনআই