এইমাত্র
  • ঝিনাইদহে হাসপাতালের ভেতরেই মাদকের রমরমা কারবার!
  • আইএসের বিরুদ্ধে তুরস্কজুড়ে অভিযান, গ্রেপ্তার ৩৫৭
  • সৌদির নেতৃত্বে ইয়েমেনি বন্দরে বিমান হামলা
  • যে রুটে জানাজাস্থলে নেওয়া হবে খালেদা জিয়ার মরদেহ
  • জেন্ডার সংবেদনশীল জলবায়ু অবকাঠামো গঠনে এলজিইডির প্রশিক্ষণ
  • কানাডার নৌবাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠনের ঘোষণা দিলো ইরান
  • দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর জবাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া
  • ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত
  • সিলিন্ডারে গ্যাসের বদলে পানি!
  • এবার এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন আরিফ সোহেল
  • আজ মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ, ১৪৩২ | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর জবাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

    দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর জবাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

    বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধিতায় খালেদা জিয়ার অবদানগুলোও তুলা ধরা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।

    মূলত বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার পরিচয় শুধু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ-বিরোধী রাজনীতির এক মুখ হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন আলোচিত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক বহুবার টানাপোড়েনে গেলেও ভারতে এক সফরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে দেয়া তার জবাবটা আজও যেন আলোচনায় থাকে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছোটবেলায় তাকে আদর করে ‘পুতুল’ বলে ডাকা হতো। তার বাবা ইস্কান্দার মজুমদার তখন চা-ব্যবসায়ী, মূল বাড়ি ছিল ফেনীতে। আর মা তায়্যেবা ছিলেন বর্তমান ভারতের উত্তর দিনাজপুরের চাঁদবাড়ির সন্তান। দেশভাগের পর তার পরিবার চলে আসে দিনাজপুরে এবং এটি পরে স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ হয়।

    ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতে জন্ম হলেও খালেদা জিয়ার রাজনীতির ভিত্তি দাঁড়ায় ‘ভারতবিরোধী’ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করার পর তার নামের সঙ্গে ‘জিয়া’ নাম যুক্ত হয়। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হলে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার হত্যাকাণ্ড তার জীবনে বড় মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি বিএনপিকে সংগঠিত করে জাতীয় রাজনীতিতে প্রধান শক্তি হিসেবে দাঁড় করান।

    তিন দফায় খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন— ১৯৯১ সালে প্রথমবার, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বল্প সময়ের জন্য দ্বিতীয়বার, আর ২০০১–২০০৬ পর্যন্ত তৃতীয় মেয়াদে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ও শক্তিশালী সময় কাটান। তার শাসনামলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বারবার উত্তপ্ত হয়েছে, কারণ তিনি পাকিস্তান ও চীন এবং মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

    ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে খালেদা জিয়া ‘লুক ইস্ট’ নীতিতে চীন ও ইসলামি দেশগুলোর দিকে ঝুঁকেন। ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গার ন্যায্য পানি না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিষয়টি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলেছিলেন খালেদা জিয়া।

    এই সময়েই ঘটে ভারত সফরের সেই বহুল আলোচিত ঘটনা। ১৯৯২ সালের মে মাসে নয়াদিল্লি সফরে তখনকার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে মুখের ওপরই কড়া জবাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

    খালেদা জিয়ার সেই সফরের সময় নরসিমা রাও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীরা ভারতে ঢুকছে। জবাবে খালেদা জিয়া স্পষ্টভাবে বলেন, ভারতের বাঙালিরা বাংলা বোঝেন, (বাংলায়) কথা বলেন— এতে তাদের সবাইকে বাংলাদেশি ভাবা যায় না।

    ভারতীয় লেখক পুনম পান্ডের ‘ইন্ডিয়া–বাংলাদেশ ডোমেস্টিক পলিটিক্স’ বইয়ে খালেদা জিয়া ও নরসিমা রাওয়ের এই কথোপকথন নথিভুক্ত আছে।

    ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…