জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নে মেয়ে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ায় হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে পোরজনা ইউনিয়নের বাচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নবজাতককে গলা কেটে হত্যার পর টয়লেটে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড মায়ের বিরুদ্ধে। পরে নবজাতকের লাশ বাড়ির পেছনে মাটিচাপা দেওয়ার জন্য গর্ত খুঁড়লে। দ্রুত এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে টয়লেটে নবজাতকের লাশ রেখে পালিয়ে যায় পাষণ্ড মা ও তার স্বজনরা।
সরেজমিনে আরও জানা যায় দেলোয়ারের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসের প্রায় ১ বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের নবী মণ্ডলের পুত্র করীম মণ্ডলের সাথে। ৬ মাস সংসারের পর বনিবনা না হওয়ায় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে জান্নাতুল ফেরদৌস।
এর মাঝে করীম মণ্ডল দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই স্ত্রীও পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে গত ২৭ অক্টোবর করিম মন্ডলকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করে।
ডিভোর্সী জান্নাতুল ফেরদৌসের গর্ভে করীমের সন্তান আস্তে আস্তে বেড়ে উঠলেও বিষয়টি গোপন রাখে জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবার। মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কন্যা সন্তান প্রসব করলে জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার মা মিলে নবজাতকের গলা কেটে টয়লেটে রেখে দেয়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভোরে নবজাতকের লাশ মাটিচাপা দেওয়ার জন্য বাড়ির পেছনে গর্ত খুঁড়লে প্রতিবেশিরা টের পায়। ঘটনা দ্রুত এলাকায় জানাজানি হলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বজনরা।
বিষয়টি নিয়ে করীম মণ্ডলের মা নাজমা বেগম, বাবা নবী মণ্ডল এবং বোনজামাই মোঃ রমজান আলী জানান, করীমের সাথে জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ের ৬ মাস পরেই ডিভোর্স হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার করীমকে বিয়ে করালেও দ্বিতীয় স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে হত্যা করে। এখন করীমের একমাত্র স্মৃতি ছিল জান্নাতুল ফেরদৌসের গর্ভের সন্তান। সেই সন্তানকেও ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে গলা কেটে হত্যা করে করীমের স্মৃতিটুকুও শেষ করে দিলো।
এ বিষয় শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বর কে জানান, আমি বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে শুনেছি ঘটনাটি সততা যাচাইয়ের জন্য এসনআই শাহ আলম কে ঘটনাস্তলে পাঠাচ্ছি।
এসআর