সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নবজাতক সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও নানীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া ভুতের দিয়ার গ্রামে। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জান্নাতুল ফেরদৌস একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে নবজাতককে হত্যা করে বাড়ির টয়লেটে লুকিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ভোরের দিকে শিশুটির মরদেহ গোপনে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রতিবেশীদের নজরে আসে।
স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারার পর এলাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে অভিযুক্ত মা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের নবী মণ্ডলের পুত্র করীম মণ্ডলের সাথে ১ বছর আগে বিয়ে হয় বাচড়া ভুতের দিয়ার গ্রামের দেলোয়ারের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসের। ৬ মাস সংসারের পর বনিবনা না হওয়ায় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে জান্নাতুল ফেরদৌস ।এ সময় তার গর্ভে করীম মণ্ডলের সন্তান থাকলেও বিষয়টি পরিবার গোপন রাখে বলে অভিযোগ আছে।
এদিকে বিচ্ছেদের পর করীম মণ্ডল দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে গত ২৭ অক্টোবর করিম মন্ডলকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচার প্রত্যাশা করে করীম মণ্ডলের মা নাজমা বেগম জানান, এখন করীমের একমাত্র স্মৃতি ছিল জান্নাতুল ফেরদৌসের গর্ভের সন্তান। সেই সন্তানকেও ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে গলা কেটে হত্যা করে করীমের স্মৃতিটুকুও শেষ করে দিলো।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাঠিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুটির মা জান্নাতুল ফেরদৌস শহরের নুরজাহান হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরডি