বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুগিয়া খালের সেতুটির মাঝ বরাবর ঢালাই ধসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে ১০ গ্রামের চলাচল করছে হাজারো মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুগিয়া খালের ওপর ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে সেতুটির কোনো সংস্কার করা হয়নি।এতে এর রেলিং এবং পাটাতনের ঢালাই ধসে পড়তে শুরু করেছে। সেতুর রেলিং না থাকায় একাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সেতু থেকে খালে পড়ে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রীসহ চালক আহত হয়েছেন।
ঘোপখালী গ্রামের ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক মো. ইউসুফ জানান, যাত্রী নিয়ে সেতুর ওপর উঠলে সেতটিু কাঁপতে থাকে। ভয়ে আমরা যাত্রী নামিয়ে মোটরসাইকেল পার করি।
তারিকাটা গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক সোলায়মান জানান, সেতুতে রেলিং না থাকায় এখন পর্যন্ত একাধিক অটোরিকশা পানিতে পড়ে যাত্রীসহ অনেক চালক আহত হয়েছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, ২৩ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর পশ্চিম পারে ইউনিয়ন পরিষদসহ রয়েছে চারটি গ্রাম। পূর্ব পারে রয়েছে ছয়টি গ্রাম। সেতুটি নির্মাণের পর কোনো ধরনের সংস্কার না করায় এটি এখন নড়বড়ে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।