লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ। ফলে কাঠ ফাঁটা রোদ-গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে, যার প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপরও। এতে করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে বাড়ছে ডায়রিয়ার রোগীর প্রভাব। এ রোগে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি অসুস্থ হচ্ছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে গরমের প্রভাবে হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশরাই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী বেশি হওয়ায় অনেককে দেখা গেছে বেড না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লামনিরহাটের সারপুকুর ইউনিয়নের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সেবা নিতে আসা শিশুর তাওহিদ (২) এর মা জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে গত দুদিন থেকে ডায়রিয়া বমিতে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এখন কিছুটা সুস্থ।
ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুর রহিম ( ৫৫) জানান, অতিরিক্ত গরমের দুদিন আগে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই আমি এখন কিছুটা সুস্থ।
গত কয়েক দিনের তুলনায় ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসরিন সুলতানা জানান, আগের তুলনায় রুগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ, রোগীর বেড সংকট হওয়ায় ফ্লোরে, বারান্দাতেই, মেঝেতে রোগী সেবা নিতে হচ্ছে। এতে করে আমাদেরও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালর আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। তিনি বলেন অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিশুসহ নানাবয়সী মানুষদের। তাই প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না বের হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এআই