ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে যানজট। এমন একটি নিউজ প্রকাশের পরে গৌরনদী উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযানে প্রায় ভূরঘাটা লোকাল বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বরিশালের প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়কের রাস্তার পাশে থাকা যানবাহনসহ হাট-বাজারের ফুটপাথের দোকানপাট সরিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। যাতে করে ঘরমুখো মানুষের মহাসড়কে বাড়িতে ঈদ করতে পারেন, তাই অভিযানে অংশ নেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা।
২৬ মার্চ দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাস্তার দুপাশে দখলমুক্ত অভিযানের পরিচালনা করেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আব্দুল্লাহ খান। এ সময় আরও সাথে ছিলেন গৌরনদী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. রাজীব হোসেন, হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাজিদ, গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেনসহ আনসার সদস্যরা।
দক্ষিণ অঞ্চলে প্রবেশদ্বার বলা হয় গৌরনদী উপজেলাকে। যে সব স্থানে যানজট দেখা দেয়, এর মধ্যে বার্থী, নীলখোলা, টরকী বাসস্ট্যান্ড, গৌরনদী, আশোকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে, মাহিলাড়া, কাশেমাবাদ, বাটাজোরসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার উপর ও পাশে হাট-বাজার থাকার কারণে এই ব্যস্ততম সড়কে প্রায় সময়ই ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আব্দুল্লাহ খান বলেন, 'এখন থেকে আর মহাসড়কে কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হতে পারবে না। আমাদের প্রশাসনের লোকজন সব সময় রাস্তার পাশে থাকবে।'
এছাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের হাইওয়ে পুলিশ দিন রাত মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে।'
এফএস