এইমাত্র
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে: তাসনিম জারা
  • হাদির চিকিৎসা ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন জুবাইদা রহমান
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    রাজধানী

    বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা-মারধর, গ্রেফতার ৩

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

    বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা-মারধর, গ্রেফতার ৩

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    ঢাকার বনশ্রী এলাকায় এক নারী সাংবাদিককে যৌন হয়রানি, হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশান (২৫), মো. রাইসুল ইসলাম (২১), মো. কাউসার হোসেন (২১)।

    সনদ বড়ুয়া জানান, বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় যৌন হয়রানি সংক্রান্ত একটি ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লিখিত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের গ্রেফতারে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে।

    তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশানকে (২৫), বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) গভীর রাতে রাজধানীর রামপুরা থানার মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর রমনা থানার বেইলি রোড এলাকা থেকে মো. রাইসুল ইসলামকে (২১) এবং শ্যামপুর থানার গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে মো. কাউসার হোসেনকে (২১), আজ সকালে গ্রেফতার করা হয়।

    আসামিদের রামপুরা থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

    এর আগে গতকাল, বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বনশ্রীর ই-ব্লকের তিন নম্বর সড়কের একটি জুসের দোকানের সামনে এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠে। এ সময় নারী সাংবাদিক ও তার ছোট ভাই রিশাদকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রামপুরা থানায় সোয়েব রহমান জিসানের (২৫) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

    ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক জানান, ছোট ভাই রিশাদকে নিয়ে বনশ্রী ই-ব্লকের তিন নম্বর রোডের মুখে একটি জুসের দোকানে ছিলাম। এ সময় কয়েকজন স্থানীয় যুবক আমাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। আমার ভাই প্রতিবাদ করলে তারা প্রথমে তাকে মারধর করে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও শ্লীলতাহানি করে এবং কিল-ঘুষি মারে।

    তিনি বলেন, আমরা নিজেদের বাসার সামনেই নিরাপদ নই। ছেলেগুলো এমনভাবে আচরণ করছিল যেন তারা যা করছে, সেটাই তাদের অধিকার। আমার ভাই যখন প্রতিবাদ করলো, তখন তারা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এমনকি তারা আমাকে হেনস্তা করার পরও অকপটে বলে, হ্যাঁ, আমরা রেপ করেছি, কী করবে?

    পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক নিজের ফেসবুকে অভিযুক্তদের ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেন।

    সেখানে তিনি লিখেন, ‘নিজের বাসার সামনে নিরাপদ না? আমাকে এক দোকানের (বনশ্রী- ই ব্লক ৩ নং রোডের শেশে, ফরাজী এভিনিউ) ভেতর থেকে টিজ করে পাশে এসে দাঁড়ানোয় আমার ভাই ছেলেগুলোর সামনে এসে দাঁড়ায়। আমাকে টিজ করা তাদের অধিকার ধরনের ভাব নিয়ে উল্টা আমার ভাইকেই বলতে থাকে ওদের সামনে এসে কেন দাঁড়াল, কেন তাকাচ্ছে। আমার ভাই বললো আমার বোনকে উত্যক্ত করল দাঁড়ায় দেখব না কি, এরপর আমার ভাইকে বাড়ি কই বাড়ি যাই বলে এগ্রেসিভ অঙ্গভঙ্গি শুরু করে, সম্ভবত এলাকার মাস্তানদের পালিত মাস্তান এরা। এরপর আমার ভাইকে মারা শুরু করে, আমি ওদের টান দিয়ে আমার ভাইকে উঠাইতে যাই, এরমধ্যে সবুজ জামা পরা ছেলেটা এসে পেছন থেকে আমার চুল টান দিয়ে বুকে হাত দিয়ে হ্যাচকা টান দেয়, কালো গেঞ্জির ছেলেটা লাথি দেয়, এরপর আমি যা হয় কাঁদতে কাঁদতে চিল্লাতে থাকি সবাই দেখতেসেন কীভাবে আমার গায়ে বারবার হাত দিচ্ছে। এর মধ্যে সবুজ গেঞ্জির ছেলে এসে বলে আমি সাংবাদিক কাকে ডাকবি কোন পুলিশ ডাকবি ডাক, আমার নাম বল। আমার সাথে থাকা মাশফিক ব্যস্ত ছিল আমাকে ধরে রাখতেই, এরমধ্যে ও বলে আপনি কোথাকার সাংবাদিক, আমি ডেইলি স্টারের, ওকেও লাথি দেয় ছেলেটা। আমার গায়ে ব্যথা। তবে আমার ভাইয়েরটা জানি না, বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদেরই বাসার সামনের গলিতে এসব দুই টাকার মাস্তানদের ইচ্ছামত মার খেল। সবার দাঁড়ায় থাকা দেখে পালটা দুই একটা আমিও দেই, আফসোস বেশি দিতে পারিনাই।’

    ‘আমি যখন কাঁদতে কাঁদতে চিল্লাতে চিল্লাতে অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছিল, এই ছেলে দুইটা বারবার মুখ কুচকে বলেই যাচ্ছিল, ‘হ রেপ করসি আমরা’।

    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…