এইমাত্র
  • ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • ‘ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিদেশ গমনে দুর্নীতি-ভোগান্তি অনেক কমেছে’
  • আইপিএলে ১০ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড
  • ১১ বছরে বাংলাদেশ সীমান্তে ২১ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে ভারত
  • সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রাথমিকের শতভাগ পাঠ্যবইয়ের কাজ শেষ
  • এবার অং সান সু চি’র মৃত্যুর খবর, যা বলছে মিয়ানমার জান্তা
  • ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
  • গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ঠান্ডায় মারা গেল নবজাতক
  • আজ বুধবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সহায়তায় পাউবো ও ফায়ার সার্ভিস

    বক্স কালভার্টে ২৭ বছরের ময়লা সরাতে চসিকের উদ্যোগ

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

    বক্স কালভার্টে ২৭ বছরের ময়লা সরাতে চসিকের উদ্যোগ

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

    দীর্ঘ ২৭ বছর পর চট্টগ্রামের শেখ মুজিব রোডের দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং-বন্দর রোডে অবস্থিত বক্স কালভার্টটি পূর্ণাঙ্গভাবে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ১৯৯৮ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত এ কালভার্টটি এত দিন ধরে অপরিষ্কার থাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। চসিকের তত্ত্বাবধানে এবার এ অবকাঠামোটি আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিষ্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সহায়তা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও ফায়ার সার্ভিস।

    শেখ মুজিব রোডের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে শুরু হয়ে বারিক বিল্ডিং হয়ে এটি কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে। প্রায় ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩.৫ মিটার চওড়া কালভার্টটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২৯ কোটি টাকা। এটি নগরের আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, গোসাইলডাঙ্গা, দেওয়ানহাট, চৌমুহনীসহ আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পথ। তবে কালভার্টটির বড় অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাত্র ১৬ ইঞ্চি পানির প্রবাহ বিদ্যমান।

    চসিক সূত্র জানায়, বক্স কালভার্টটির উপরের স্তর স্থানভেদে মূল সড়ক থেকে ৪–৬ ফুট নিচে এবং এর গভীরতা প্রায় ১০ ফুট। ম্যানহোলে প্রবেশ করে দেখা গেছে, ভেতরে ৪–৫ ফুট পর্যন্ত আবর্জনা ও মাটি জমে রয়েছে। এতে পানি দ্রুত নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

    ২০১৭ সালে সিডিএ ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের’ আওতায় কালভার্টটি পরিষ্কারের ঘোষণা দেয়। একাধিক বৈঠক ও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কালভার্টটি পরিষ্কারের কথা বলা হলেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মঈনুদ্দিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

    চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সময়ের কন্ঠস্বর-কে বলেন, “বক্স কালভার্টটির অভ্যন্তরে বিষাক্ত গ্যাস জমে আছে। সেফটি গিয়ার ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া কেউ ভেতরে প্রবেশ করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় সেফটি অ্যানালাইসিস করে আমরা কাজটি শুরু করব। পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “সঠিকভাবে কাজটি শুরু করা গেলে ১৫–২০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিষ্কার সম্পন্ন হবে।”

    চসিকের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ বলেন, “আমরা একটি ম্যানহোল খুলে দেখি ভেতরে কয়েক ফুট পর্যন্ত আবর্জনা জমে আছে। কালভার্টের মুখে পর্যন্ত ময়লা জমে রয়েছে, ফলে পানি সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারছে না।”

    চসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের মেয়াদকালে একবার কালভার্টটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নির্মাণ ত্রুটির কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ম্যানহোলগুলোর দূরত্ব ৩০০ ফুট হওয়ায় যন্ত্রপাতি প্রবেশ করানো সম্ভব হয়নি। ভেতরে পর্যাপ্ত আলো না যাওয়ায় কাজ ব্যাহত হয়। সেই সময় জমে থাকা মিথেন গ্যাসও বড় প্রতিবন্ধক ছিল।

    সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ বলেন, “আমরা একবার ১৫০ ফুট পরপর ঢাকনা খুলে কিছু অংশ পরিষ্কার করেছিলাম। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া পুরোটা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। এখন এটি অবশ্যই আধুনিক ও নিরাপদ পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা উচিত।”

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…