এইমাত্র
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে: তাসনিম জারা
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    থানা থেকে পালালেন আ.লীগ নেতা, তড়িঘড়ি করে ধরে আনা হলো বড় ভাইকে!

    মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:১৮ এএম
    মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:১৮ এএম

    থানা থেকে পালালেন আ.লীগ নেতা, তড়িঘড়ি করে ধরে আনা হলো বড় ভাইকে!

    মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:১৮ এএম

    আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর থানা থেকে তার পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে ওই নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাপ দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তার বড় ভাইকে।

    সোমবার (১২ মে) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায়।

    পালিয়ে যাওয়া ওই নেতার নাম মো. নাসির উদ্দিন (৪৮)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল মহল্লার বাসিন্দা মৃত সালাম মিয়ার ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করেন ওই ব্যক্তি।

    এদিকে নাসির উদ্দিন থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে থানায় নিয়ে আসা হয় তার বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫)। এলাকায় তিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলী।

    এলাকাবাসী ও ওই আওয়ামী লীগ নেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে নিজের টিন বিক্রির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আওয়ামী লীগের ওই নেতা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে থানার পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে পুলিশ মেসের প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যান।

    পরে এ ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ মো. নাসির উদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকে থানায় নিয়ে আসে। নবাব আলীকে থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ নবাব আলীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ফোন করে মো. নাসির উদ্দিনকে থানায় হাজির করার তাগিদ দেয়। থানা থেকে বলা হয়, নাসির উদ্দিনকে পেলে নবাব আলীকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসির উদ্দিনকে আলফাডাঙ্গা থানায় হওয়া একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-ও করেন।

    নাসির ও নবাব আলীর ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমি আলফাডাঙ্গা ছিলাম না। তবে আমি শুনতে পেরেছি আমার মেজ ভাই পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেজ ভাইকে সারেন্ডার করানো হলে বড় ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

    তবে থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার খবরটি সঠিক নয় বলে দাবি করে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। থানায় তার নামে কোন মামলা নেই বিধায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নাসির উদ্দিনের বড় ভাইকে থানায় নিয়ে আসার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘ভাই, এই বিষয়টি আমরা দেখতেছি, দেখি কী করা যায়।’


    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…