এইমাত্র
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমুখী সংবিধানের দাবি মানজুর আল মতিনের

    তানজিদ শাহ জালাল ইমন, ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১২:২৫ এএম
    তানজিদ শাহ জালাল ইমন, ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১২:২৫ এএম

    জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমুখী সংবিধানের দাবি মানজুর আল মতিনের

    তানজিদ শাহ জালাল ইমন, ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১২:২৫ এএম

    গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেছেন, “সংবিধান হবে গণ মানুষের, যেখানে জনতার মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।”

    তিনি বলেন, “সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার রক্ষায় সংসদে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধিকে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।”

    শুক্রবার বিকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গ্রাউন্ড ফ্লোরে “অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রূপরেখা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে ‘একাত্মতার দেয়াল’ ও ‘গণতান্ত্রিক আইন ছাত্র পরিষদ’। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    মানজুর আল মতিন আরও বলেন, “শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদের সবসময় জনগণের চাহিদা সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। যেমনভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, তেমনভাবেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন করা উচিত।”

    তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সচেতন নাগরিকদের সংবিধান সংস্কার বিষয়ে মতামত প্রদানের আহ্বান জানান।

    নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিম্নকক্ষ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়া উচিত, আর উচ্চকক্ষ হতে পারে সংখ্যানুপাতের ভিত্তিতে। তবে সেখানে নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানকে জনবান্ধব করতে জননিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিতে হবে।”

    মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সংগীত প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “কখনো কখনো মূল আলোচনাকে পাশ কাটিয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয় সামনে আনা হয়।”

    আলোচনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান বলেন, “শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করা না গেলে জনগণ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে—এমন নিশ্চয়তা সংবিধানে থাকা উচিত। স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন, শিক্ষা প্রশাসনের স্বাধীনতা এবং জিডিপির ৭ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করার দাবি তোলেন তিনি।”

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সংবিধান শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাকস্বাধীনতা ও একাডেমিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে গবেষণাকে উন্মুক্ত করতে হবে। সর্বস্তরের মানুষের শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করুক সংবিধান—এই আমাদের প্রত্যাশা।”

    আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ, গণতান্ত্রিক আইন ছাত্র পরিষদের সংগঠক সুদীপ্ত হালদার, শওকত ওসমান স্বাক্ষর, আব্দুর রহমান, স্বর্ণক মণ্ডল, আরিফুল আরিফিন এবং ববি শাখার সংগঠক ভূমিকা সরকার, নিশাত মালিহা ঐশী প্রমুখ।


    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…