ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছিল পিএসজি। এ ঐতিহাসিক জয়ের পর এবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিককে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
রোববার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা। এদিন দলের সেরা ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলের অনুপস্থিতি বুঝতেই দিলেন না তার সতীর্থরা।
এদিন শুরু থেকে অবশ্য কিছুটা ধীরস্থীর শুরু করে করে লুই এনরিকের শিষ্যরা। শুরু থেকেই বল দখলের দিকেই বেশি নজর ছিল তাদের।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে কাভারাৎসখেলিয়ার বাড়ানো বল থেকে দলকে এগিয়ে নেন রুইস। এরপর অবশ্য কিছুটা উন্নতি করে আতলেটিকো। যদিও প্রতিপক্ষের চাপে নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না তারা। ৪৫তম মিনিটে লক্ষ্যে একমাত্র শটটি নিতে পারে দলটি, তবে রদ্রিগো দে পলের সোজাসুজি শট সহজেই গ্লাভসে নেন দোন্নারুম্মা।
এরপর পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। কাভারাৎসখেলিয়ার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও অবশ্য ভালো হয় পিএসজির। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে আগের দুই গোলে অবদান রাখা কাভারাৎসখেলিয়ার জোরাল শট ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য পিএসজির জালে বল পাঠান অ্যাতলেটিকো ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ।
তবে পজেশন নেওয়ার সময় দিজিরে দুয়েকে আতলেতিকোর কোকে ফাউল করায়, ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে রেফারির একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন দলটির ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলেট। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটি।
এর পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে পিএসজিকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন সেনি মায়ুলু। প্রতিপক্ষের ভুলে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে নিচু শটে গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী ফরাসি মিডফিল্ডার। আর যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে সফল স্পট কিকে আতলেতিকোর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার কাং-ইন।
আরডি