এইমাত্র
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ‘দা’ হাতে পাঁচ রাজাকার হত্যাকারী সখিনা বেগম প্রয়াত

    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

    ‘দা’ হাতে পাঁচ রাজাকার হত্যাকারী সখিনা বেগম প্রয়াত

    সাব্বির হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
    বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম

    ‘দা’ দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ রাজাকার হত্যা করা কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাহসী নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯২) মারা গেছেন।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম। বাবা সোনাফর মিয়া এবং মা দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান স্বামী কিতাব আলী। তাঁর প্রকৃত নাম সখিনা বেগম হলেও এলাকায় খটকি নামেই তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন।

    জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব নারী বীরত্বের সঙ্গে রণাঙ্গনে লড়াই করে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সখিনা বেগম। তাঁর সাহসিকতার কথা এখনো স্থানীয়দের মুখে মুখে। ১৯৭১ সালে সখিনার ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হন।

    যুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় ‘বসু বাহিনীর’ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। তবে একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।

    পাক বাহিনীর ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় সেখান থেকে তিনি একটি ধারালো দা নিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে নিজ হাতে পাঁচজন কুখ্যাত রাজাকারকে হত্যা করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন এই নারী মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পান।

    কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ের লেখক জাহাঙ্গীর আলম জাহান বলেন, ‘আমার বইয়ে সখিনা বেগমের সাহসিকতার কাহিনী রয়েছে। সখিনার ভাগনে মতিউর রহমানকে যে রাজাকাররা হত্যা করেছিল, তাঁদের মধ্যে নিকলী উপজেলার আলাপ্পা গ্রামের নাম আশ্রব আলী হাজী। সে ছিল নিকলীর শীর্ষ দালালদের অন্যতম। বসু বাহিনী ধরে নিয়ে সখিনার হাতে তুলে দেয়। সখিনা তাঁকে বঁটি ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমার এবং পিন্স রফিক খানের লেখা লেখির কারণেই ৭১ এর অঙ্গাত নারী মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের নাম প্রশাসনের দৃষ্টি গোছর হয়। এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন।’

    এ বিষয়ে নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার ‘সময়ের কণ্ঠস্বরকে’ জানান, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

    আরডি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…