মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পরকীয়া প্রেমিকার বসতঘর থেকে এক প্রেমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হলেন কাউছার হোসেন (২৭)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল ৮টার দিকে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের প্রেমিকা আয়েশা বেগমের বসতঘর থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, বুধবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় প্রেমিকার বসতঘরের ভেতর আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে প্রেমিক কাউছার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। প্রেমিকা আয়েশা ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. লিটনের স্ত্রী। প্রেমিক কাউছার একই গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আয়েশার স্বামী লিটন দীর্ঘদিন ধরে কুয়েত প্রবাসে রয়েছেন। এই সুযোগে লিটনের বন্ধু একই গ্রামের কাউছারের সঙ্গে আয়েশার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সুবাধে প্রায়ই আয়েশার বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো প্রেমিক কাউছার।
শেখরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মালেক খোকন বলেন, 'দু’জনের মধ্যেই পরকীয়া প্রেম ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কু-প্রস্তাবে প্রেমিকা রাজি না হওয়ায় প্রেমিক কাউছার আত্মহত্যা করেছে।'
শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম জানান, প্রেমিকার বাড়ি থেকে খবর পেয়ে প্রেমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রেমিকা আয়েশা বেগমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এতে জানা যায়, দু’জনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে প্রেমিক কাউছার আয়েশা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় প্রেমিকা আয়েশার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় প্রেমিক কাউছার। এতে আয়েশা বেগম রাজি না হওয়ায় পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
এআই