জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'মাফিয়া দুর্নীতিবাজ সিস্টেমের বদল করতে হবে। কিন্তু দু:খের বিষয়, এই সিস্টেমকে পাহারা দিতে নতুন দলের অর্বিভাব ঘটেছে। সেই সিস্টেম, সেই দুর্নীতি, সেই চাঁদাবাজিকে আগে আরেকটি দল পাহাড়া দিত। এখন নতুন আরেকটি দল পাহাড়া দিচ্ছে, টিকিয়ে রাখছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে শুধু হাসিনার পতন নয়, সেই দুর্নীতি, মাফিয়া সিস্টেমের পতন চেয়েছি। আমরা স্পষ্ট বলেছিলাম, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলুপ্তি এবং নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই নতুন বন্দোবস্তের লড়াইয়ে এখন আমরা নেমেছি।'
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর পৌনে দুইটায় পটুয়াখালী পৌর শহরের শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্তরে 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' শেষে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, 'অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণ ছাত্র নেতৃত্ব সেই সিস্টেমের পতন ঘটাতে চাইলেও সেই সিস্টেম কখনও চায় না নতুন নেতৃত্ব কোনভাবে দাঁড়াক, রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকুক। সেই অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা সরকার আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, গণঅভ্যুত্থানের পর সেই দুর্নীতি মাফিয়াদের সিস্টেম, সেই সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। ডিজিএফআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্টাবলিশমেন্টগুলো অভ্যুত্থানের শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে এবং বিভাজন তৈরি করেছে।'
সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমকে ইঙ্গিত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মূলধারার গণমাধ্যমেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের নেতাদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা এর জবাব দেবো জনসমর্থনের শক্তিতে।'
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাহিদ বলেন, 'বিএনপি মুজিববাদী ৭২’র সংবিধানকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। অথচ এখন তারাই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে মুজিববাদের নতুন পাহারাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে রূপ নিয়েছে, সন্ত্রাসের দলে পরিণত হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে গণ-জাগরণকে থামানো যাবে না।'
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সার্জিস আলম, তাসনিম জারা, শামান্তা শারমিন, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও মুজাহিদ শাহীনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গন থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ তরুয়া চত্তরে এসে শেষ হয়। পদযাত্রায় হাজারো ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করে।
এসআর