বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা নামল সম্প্রতি। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। ফাইনালে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি) ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ট্রফি তুলে নেয় ব্লুজরা।

নতুন ফরম্যাটে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার আগে ফিফা জানিয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন দল পাবে কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার চেয়েও বেশি অর্থ। বাস্তবেও সেটাই ঘটেছে। যেখানে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতে পেয়েছিল ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড, সেখানে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে চেলসির ঘরে গেছে প্রায় তিন গুণ বেশি—৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,৩৭৫ কোটি টাকা।

চেলসি অংশগ্রহণ ফি হিসেবে পেয়েছে ২১.৩ মিলিয়ন পাউন্ড, পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে আরও ৬২.৭ মিলিয়ন পাউন্ড। সব মিলিয়ে তাদের মোট আয় ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা।

চেলসির পাশাপাশি বড় অঙ্কের প্রাইজমানি পেয়েছে অন্যান্য সেরা দলগুলোও। রানার্সআপ পিএসজির মোট আয় ৭৮.৪ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ২৮৯ কোটি)। সেমিফাইনালে পৌঁছে রিয়াল মাদ্রিদ আয় করেছে ৬৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, আর ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স পেয়েছে ৫০.৪ মিলিয়ন পাউন্ড।

কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা ক্লাবগুলোর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ পেয়েছে ৪২.৭, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৩৮.৪, ম্যানচেস্টার সিটি ৩৭.৮ এবং পালমেইরাস ২৯.১ মিলিয়ন পাউন্ড।

টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া অন্যান্য ক্লাবগুলোর আয় ছিল এমন:

ইন্টার মিলান: ২৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ড, আল হিলাল: ২৫ মিলিয়ন, বেনফিকা: ২৩ মিলিয়ন, ফ্লামেঙ্গো: ২০.৩ মিলিয়ন, বোটাফোগো ও জুভেন্টাস: ১৯.৬ মিলিয়ন, পোর্তো: ১৭.৬ মিলিয়ন, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ: ১৭.৪ মিলিয়ন, মন্টেরে ও ইন্টার মায়ামি: ১৫.৫ মিলিয়ন, রিভার প্লেট: ১৩.৩ মিলিয়ন, বোকা জুনিয়র্স: ১২.৬ মিলিয়ন আরবি সালসবুর্গ: ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড।

সবচেয়ে কম অর্থ পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি। কোনো ম্যাচ না জিতেও এবং একটি মাত্র গোল করেও তারা আয় করেছে ৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ড।

আরডি