জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
দুই বছর আগে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আমবাগিচা ভাড়া বাসায় নিজের ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক শাহ্ রিয়ার কবিবের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিন রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে যানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।
বৈশাখের শুরুর থেকেই গ্রীষ্মের রুদ্ররূপ দেখছে রাজধানীসহ সারাদেশ। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝিরা। সারাদিন নৌকা চালিয়ে কতই বা আসে, তিন’শ থেকে চারশো টাকা। আর এ আয় টক্কর দিতে না পারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে। আবার সেখানে তীব্র গরমে মাঝিদের দিনযাপন এখন জটিল। তবুও জীবিকার তাগিদে সাদেক ও ইমন মাঝিরা টিকে থাকার লড়াই বুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নৌকা বাইছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিন বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটের লালকুঠি, ওয়াইজ, বাদামতলী, শ্যামপুর, সোয়ারী তৈলঘাট ও জিনজিরা ঘাট ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে বহু নৌকা বেকার পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্ন ঘাটে নৌকা চালিয়ে জীবিকা চালান প্রায় পাঁচ হাজার মাঝি। অনেকে পেশা ছেড়ে কুলি কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসা করছেন। অন্যরা যারা ‘মায়ায়’ পড়ে আছেন, আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান আগানগর ঘাটের মাঝি দিদার হোসেন। তিনি বলেন, রোদের তাপে চোখ মিলে তাকানোই যেন দায়। মোবাইল ম্যাপে ৩২ ডিগ্রি দেখালেও তাপ প্রবাহ যেনো ৪০ সমান। তবুও জীবিকার তাগিদে নৌকা হাতে বেরিয়েছি।
বাদামতলি ঘাটের মাঝি আরফত আলী বলেন, নৌকা টানতে গিয়ে কায়িক শ্রমে অনেকটা সয়ে যাওয়া শরীরও কাহিল হয়ে পড়ছে তার। ঝরে পড়া ঘামের স্রোত যেন জানান দেয় আর সইছে না এই তাপ। এমনি চিত্র দেখা যায় বুড়িগঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে মাঝিদের। হাঁসফাঁস করা গরমে কাহিল হওয়া শরীর চাঙা করতে শুধু পানি আর ঘাটের টঙের শরবত দিয়েই বারবার শুষ্ক গলা ভিজিয়ে নেওয়া চেষ্টা তাদের। এ সময় রোগ-শোকে আক্রান্ত হলে তা প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার কিংবা ওষুধ কিনতে যে পরিমাণ আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রয়োজন তা অধিকাংশ মাঝির নেই।
তৈলঘাট এলাকায় মাঝি শামসুল আলম বলেন, আগে সারাদিন কাজ করছি। এখন বেশি কাজ করতে পারছি না। এই গরমে আমাদের খুব কষ্ট হয়। আর যেটুকু পারি সেটুকু আয়ে দুবেলা ভাত খাই, ভালো খাবার কোথায় পাবো? এঘাটের শফিফুল মাঝি বলেন, জীবিকার তাগিদে সকালবেলা নৌকা নিয়ে বের হয়েছেন।
ততক্ষণে বাড়তে শুরু করেছে রোদের তীব্রতা। এ তীব্র রোদে আর এগোতে পারছেন না, তাই ক্লান্তি ভরা শরীর নিয়ে নৌকায় বসে ঝিমাচ্ছেন। গরমে কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, গরমে মাথা ঘুরাচ্ছে। একটা ভাড়া টানলেই শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে নৌকা চালাই। বড় কোনো ভাড়া টানতে পারি না। ৩০ থেকে ৬০ টাকার ভাড়া টানি। গরম না থাকলে নৌকায় আটজন নিয়েও চলতাম। এখন দুই জন যাত্রী নিয়ে চালাতে কষ্ট। বেশির ভাগ সময় এক জন নিয়ে চালাই। আগে দিনে ১২ থেকে ১৪টা ভাড়া টানতাম এখন সাত থেকে আটটার বেশি পারিনা।
এক ঘণ্টা নৌকা চালালে আবার এক ঘণ্টা রেস্ট নিতে হয়। এই মাঝি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে দূরের কোনো ভাড়া কিংবা চার জনের বেশি যাত্রী টানতে পারছেন না তিনি। গরমে বেশি ভাড়া টানতে না পারায় আগের চেয়ে আয়-রোজগার কমেছে, অন্যদিকে খরচও বেড়েছে নিত্যদিনের। জিনজিরা-কামরাঙিরচর ঘাটের ষাটোর্ধ্ব হারুন মোল্লা মাঝি বলেন, সকালবেলা রোদ ওঠার আগে ভাড়া টানা যায়। বেলা গড়িয়ে রোদ বাড়ার পর আর পারি না। খুব কষ্ট হয়। যতক্ষণ চালাই, মাথায় গামছা বেঁধে চালাই। এদিকে, গরমে মানুষও বের হচ্ছে কম। যারাই আছে, ভাড়া আছে ভালো। কিন্তু গরমে শরীর আর হাত চলে না। এসময় সদরঘাট এলাকার আবুল শেখ মাঝি জানান, এখন আর আগের দিন নেই। নৌকা আর ঘাট বেড়েছে। আগের মত যাত্রী বা মালামাল পাওয়া যায়না। আজ থেকে ১০ বছর আগেই যেখানে দৈনিক আয় হতো ৮০০-৯০০ টাকা সেই পরিমাণ এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ঘাট ভাড়া, সিরিয়াল, নৌকার রক্ষণাবেক্ষণ’সহ বিভিন্ন বাবদ প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুইশো ৫০ টাকা খরচ হয়। এই খরচটা আরও কম হলে আমাদের পোষাত কিছুটা। ৩০ বছর ধরে নৌকা চালাই। এটা আর ছাড়া সম্ভব না এখন। এগরমে যতটুকুই আয় রোজগার হয় সেটা দিয়েই চলতে অনেক কষ্ট হয়।
তীব্র এই গরমে অনিয়ন্ত্রিত পরিশ্রমের ফলে একজন মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা, মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি, হিট স্ট্রোক, চর্মরোগ, ডায়রিয়া বা বদহজম, টাইফয়েড ও হেপাটাইসিস, সর্দি-কাশিসহ নানাবিধ রোগ দেখা দিতে পারে। এবিষয়ে পুষ্টিবিদ সাফাতুন্নেসা বলেন, এই সময়ে রোগ প্রতিরোধে শরীরের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রয়োজন। এর কমতি হলে মানসিক, শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশির মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই না তীব্র গরম শ্রম অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। কমে যায় মানুষের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতাও। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের স্বল্প আয় দিয়ে নিজের কিংবা পরিবারের
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, তীব্র গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় নৌকার মাঝিদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে— দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা যেন নেহাত বাসা থেকে না বের না হয়। অন্যদিকে নৌকা নিয়ে বের হওয়ার সময় বোতলে যেন বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে পানি এবং ওরস্যালাইন প্রয়োজন মতো পান করতে হবে। গরমে আঁটসাঁট জামা কাপড় না পরে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। গরমে মানুষ অবসন্ন বোধ করে। পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, মাথা ঘোরে, বমি বমি লাগে, চোখে ঝাপসা দেখে। অনেকে অসংলগ্ন কথা বলে। তিনি বলেন, তীব্র গরমে অনেক মানুষ পথে শরবত কিনে খায়। এটা খেতে আমরা একেবারেই মানা করি কারণ শরবতে ব্যবহৃত পানি নিরাপদ বা সুপেয় পানি না। এতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে।
যে বরফ ব্যবহার করা হয়, তা মানুষের খাওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সেটাও পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
এআইরাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তীব্র তাপদাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের গোল তালাব পুকুর দিচ্ছে সব বয়সের মানুষের গোসল করার স্বস্তি।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ২০০ বছরের এই পুরনো পুকুরে গরম থেকে বাঁচতে শুধু শিশু-কিশোর নয় সব বয়সের মানুষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালা পুকুরে।
স্থানীয়ভাবে এই পুকুরকে নবাব বাড়ির পুকুর নামে পরিচিত। ১৮৩০ সালে নবাব খাজা আলিমুল্লাহ পুকুরটি খনন করেন। পারসহ ৮ বিঘা জমির পুকুরটির ঐতিহ্য এখনো জানান দেয়। প্রায় ২০০ বছর পরও এই পুকুরের পানির স্বচ্ছতা ও সৌন্দর্য অন্য যেকোনো পুকুরের থেকে আলাদা। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ আপনি এ পুকুরে করতে পারবেন গোসল।
পুকুরে গোসল করতে আসা মো.আবদুল হামিদ (৭০) বলেন, আমি গ্রামের মানুষ, গ্রাম থেকে এসেছি। ঢাকাতে তো তেমন একটা পুকুর বা নদী নেই। ৫ টাকার বিনিময়ে এখানে গোসল করতে পেরে গরমে শান্তি পাচ্ছি।
মারুফ (১৮) বলেন, আমরা এখানের স্থানীয় বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই এই পুকুরে সাঁতার শিখেছি। মাঝেমধ্যেই এখানে গোসল করতে আসা হয়। এখন প্রচন্ড গরম। পানি থেকে উঠতেই মন চায় না। তাই প্রতিদিন ২-১ ঘন্টায় এসে এখানে গোসল করি সাঁতার কাটি।
তবে পুকুর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানান, এই পুকুর ব্যবহারে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। পুকুরের পানিতে ব্যবহার করা যাবে না সাবান শ্যাম্পু। সাবান ব্যবহারের জন্য পাশেই রয়েছে গোসলখানা এবং পোশাক পরিবর্তনের স্থান। সাঁতার জানা না থাকলে নামা যাবে না পুকুরে। পুকুরে গোসল করতে আসা অতিথিদের সেবা দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত নবাব বাড়ির বংশধরেরা। নিরাপত্তার জন্য পুকুরের ভিতরে রাখা আছে নৌকা এবং জীবন্তরি।
তবে শত বছরের এই পুরাতন পুকুরেও রয়েছে সৌন্দর্য হারানোর ভয়। ভূমি খেকো দের নজর পড়ে এই পুকুরের উপর। জাল দলিল তৈরি করে পুকুর দখলের চলছে অপচেষ্টা। নবাব বংশধরদের আশা রাজধানী বা সারাদেশের মানুষের কাছে এই পুকুরের পরিচিতি পৌঁছালে টিকিয়ে রাখানো সম্ভব শত শত বছরের ঐতিহ্য। তাই তারা সকলকে এখানে ঘুরতে আসার আহ্বান জানান।
এআই
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহে রাজধানীর জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু-সাধারণ কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরইমাঝে একদিকে নতুন করে আরো ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারির খবরে শঙ্কিত রাজধানীসহ গোটা দেশবাসী।
অপরদিকে, কাঠফাটা উত্তপ্ত রোদ, ভ্যাপসা গরম ও অসহনীয় তাপমাত্রাকে পায়ে ঠেলে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা উত্তপ্ত সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কল্যানপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র অসহনীয় গরমে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
বেলা আনুমানিক ১.৩০ মিনিট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে দেখা গেল কাঠফাঁটা রোদে একটি পানির বোতল হাতে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালনকালে প্রচন্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে পড়েছেন একজন সার্জেন্ট। নাম তাঁর মো. সাইদুর রহমান টিপু। মুখ-মন্ডল বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। মুখ-মণ্ডলজুড়ে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ব্যস্ততম কয়েকমুখী সড়কের এই চত্বরে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কয়েক মিনিটের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার জোঁ নেই। পাশেই ছাতা মাথায় আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এর ফাঁকেই হাতের বোতল থেকে দু'এক ঢোক পানি গিলছেন সার্জেন্ট টিপু। অসহনীয় তাপমাত্রায় সামান্য স্বস্তির লক্ষ্যে সড়কে দাঁড়িয়েই হাতেের বোতল থেকে চোখে-মুখে কয়েক দফা পানি ছিটিয়ে ধুয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই দৃশ্যটি ধরা পড়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের ক্যামেরায়।
এসময় এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে "অস্বস্তিকর দূর্বিষহ গরম ও কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন; একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেও তো পারেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমিষেই সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে একগাল হেসে বললেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করি। দায়িত্ব পালনকালে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর থেকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তা নিয়ে ভাববার সুযোগ আমাদের নেই। মানুষকে সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। মহানগরবাসী তথা মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল কাজ। সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। বলেই অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে সিগনাল ছাড়তে ইশারা দিতে দিতে ফের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে, দূর্বিষহ তাপদাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে ভাবনার কমতি নেই পুলিশের উর্ধতন মহলেও।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোসের্র মনোবল যেমন চাঙা হচ্ছে, অপরদিকে দাবদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।
এ বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের উদ্যোগ নেন। এই তীব্রে তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। এই উপলব্ধি থেকেই ট্রাফিকের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের সর্বরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে যোগ করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত। হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিট স্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তির মরদেহ। তাঁর বয়স হবে আনুমানিক (৩০) বছর। তিনিও ভাবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এআই
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী গ্রামের ৮ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী রুমি খাতুনকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রুমির বাবা ফজর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধিত (অপহরণ ও অপহরণের সহায়তা) ধারায় মামলটি রুজু করেছে সাতক্ষীরা থানা।
এরআগে, বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ৯৯৯ এর কল পেয়ে দক্ষিণ ফিংড়ি এলাকা থেকে অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার আসামীরা হলেন, দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে শাহরিয়ার হোসেন রাজ, মৃত আব্বাজ ঢালীর ছেলে আব্দুর রশিদ ঢালী, রশিদ ঢালীর স্ত্রী রাফিজা খাতুন ও মৃত আব্বাজ ঢালীর ছেলে শহিদ ঢালী অরফে ছোট খোকন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১নং আসামী শাহরিয়ার রাজ বিগত অনুমান পাঁচ মাস আগে ভুক্তভোগীর বাড়িতে টাইলস্ এর কাজ করতে এসে সু-কৌসলে মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয়। মোবাইল বাড়িতে থাকার কারনে শাহরিয়ার হোসেন রাজ প্রায় সময় নাবালিকা মেয়ে রুমি খাতুন (১৫) এর কাছে ফোন করে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমান ১টার দিকে শাহরিয়ার হোসেন রাজ ফুসলিয়ে রুমি খাতুনকে বাড়ি থেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত দেঢ়টার দিকে রুমির বাবা মা ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজ খবর নেন।
আসামীগণের বিরুদ্ধে সন্দেহ হওয়ায় আসামীদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে খোঁজার এক পর্যায় দেখতে পাই যে, নাবালিকা মেয়ে ছোট খোকনের বসত ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তখন মেয়েকে নিজ বাড়িতে আনতে চাইলে রুমির বাবা মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ মেয়েকে না দিয়ে অপহরন কাজে সহযোগিতা করে এবং মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। উপায়ন্তর না দেখে রুমির পরিবার ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাই। অতঃপর ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স আসামীগণের বাড়িতে গিয়ে আসামীর বসত ঘর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে রুমি খাতুনকে উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা থানার মহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বামী-স্ত্রী নিয়ে কত খবরই না পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি বা চুলোচুলির খবরও বাদ পড়েনি। তবে ঝিনাইদহে এক অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ৬ষ্ঠ স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর দখল নিয়ে কাড়াকাড়ির ঘটনা শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটী গ্রামে।
প্রতিবেশি জাহিদুল ইসলাম জানান, ৮ম শ্রেণী পাশ আনসার সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কর্মরত আছেন ঢাকার সুত্রাপুর থানায়। ৩৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন ৭ টি। তিনি যেখানেই যান সেখানেই বিয়ে করেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামে। বর্তমানে তিন নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে আর ৬ষ্ঠ স্ত্রী থাকেন যশোরের বেনাপোল। দুই স্ত্রীর দুইটি করে মোট চারটি সন্তান রয়েছে।
স্বামীর খোজ পেয়ে ৬ষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কণ্যাকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে ঝিনাইদহের পবহাটি গ্রামে আসেন সপ্তম স্ত্রীর বাড়িতে। কিন্তু বিধি বাম! ওই বাড়িতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। দুই স্ত্রীর মধ্যে চুলোচুলি ধস্তাধস্তি থেকে মারামারি বেধে যায়। এ সময় দুই স্ত্রীই স্বামীর দুই হাত ধরে টানতে থাকেন। কোন উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।
৬ষ্ট স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় তরিকুল তাদের গ্রামে যেতেন। নিজেকে এতিম অসহায় পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তার মিষ্টি কথায় ভুলে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেখানেই ছিল তরিকুল। ২০২২ সালে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তাকে খোজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। স্ত্রী ও সন্তানদের কোন খচর দিত না। আনসার তরিকুল ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি গ্রামের সেজুতির সঙ্গে। প্রেম করে ২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করে তরিকুল। সেজুতিকে বিয়ের পর ৬ষ্ঠ স্ত্রীকে একেবারেই ভুলে যায় এবং সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
হোসনে আরা আক্তার সাথী আরও জানায়, গত ঈদে সে হঠাৎ আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিলো এবং ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তারপর আবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সাথীর আড়াই বছরের মেয়েটি পিতার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করতে থাকায় স্বামীর সন্ধান করতে থাকেন সাথী। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে তিনি পবহাটী গ্রামের ওই বাড়ি যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ৭ম স্ত্রী সেজুতি ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে তরিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার হলে তিনি জানান, “আমি এখন ব্যস্ত, পরে কথা হবে”।
এফএস
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার বেলা ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ।
সারাদেশের তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
এর আগে, শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড। তবে আজকের চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সেই রেকর্ডও ভাঙলো।
এদিকে, অতি তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ। পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অধিকাংশ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এছাড়া পানি দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না মাঠের সবজি আবাদ। শুকিয়ে যাচ্ছে সড়কের ধারের বিভিন্ন ফলজ ও বোনজ গাছসহ গাছের পাতা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও চিকিৎসক রয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের অর্ধেক। সামান্য এই জনবল নিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা। গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক রোগী। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
তিনি আরো জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। সবাইকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হিট অ্যালার্ট মেনে চলতে। যেহেতু হিটস্ট্রোক হচ্ছে। তাই সাবধান ধাকতে হবে।
এফএস
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম শরিফ (৪২) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।শরিফ মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মৃত নাদের আলী মণ্ডলের ছেলে।
শরিফ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়াও তিনি মিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
পথে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের তাঁতিবন্ধ এলাকায় জেটিআইয়ের সামনে পাখিভ্যানের (তিন চাকার গাড়ি) সঙ্গে সংর্ঘষ তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে শরিফ গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
উক্ত ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ কামারুল আরেফিন।
এফএস
পাঁচদিন পর সিঙ্গাপুরে বহুতল ভবনে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে ফেরত এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের বান্ডিলের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন রাকিব। এরপর দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান।
নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পরই তাকে রডের নিচ থেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহত রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে সিঙ্গাপুরে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। একপর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের ওপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে সে রডের নিচে চাপা পড়ে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকর্মী এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থেকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে রাকিব মারা যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি তিনি সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছেন। তার মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।’
পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ী সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া ডাকাতী,অপহরণ কাজে জড়িত অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য শীর্ষ ডাকাত দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে অবশেষে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
আটক দেলু গত এক মাস আগে হোয়াইক্যং ইউপির পাহাড়ী এলাকা থেকে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামী বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত দেলু ডাকাত হচ্ছে-টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন প্রকাশ পেটুর পুত্র।
তাকে আটক করার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতের দিকে গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা শীলখালী পাহাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতী, অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা দেলোয়ার হোসেন (২৬) প্রকাশ দেলু ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দেলু জানিয়েছে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া সংঘটিত অপহরণের সাথে সে সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছে। সে কিভাবে অপহরণ করে তার লোমহর্ষক কিছু ঘটনার বর্ণনা উপস্থাপন করেছে।
পাশাপাশি উক্ত এলাকায় সংঘটিত অপহরণ চক্রের পিছনে জড়িত বেশ কয়েকজন আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের এবং অপহরণে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। ধৃত ডাকাত দেলুর বিরুদ্ধে ডাকাতি,অপহরণসহ ৪টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এমআর
লক্ষ্মীপুরে তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নামাজের ইমামিত করেন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার খাতুনে জান্নাত জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ।
এছাড়া জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ ও রামগতির বিভিন্ন স্থানে পৃথক ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য কেঁদেছেন মুসল্লীরা।
মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম পড়ছে। যা সহ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর সুন্নাত হিসেবে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে আমাদের সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়েছি। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন। আমাদের ওপর রহম করেন। আবহাওয়া অনুকূলে এনে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আমরা সবাই আল্লাহর রহমত কামনা করছি।
এমআর
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে ২৪ ঘন্টা আল্টিমেটামের পর দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তিন কার্যালয়ে তালা দিয়ে চাবি নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে তিনটি কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়।
জানা যায়, শিক্ষকদের উপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় ‘মদদদানকারী’ ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, গেস্টহাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষকরা তিন দফায় ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। যার সাথে সবশেষ যুক্ত হয় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম।
দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা উপাচার্য স্যারকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য আমাদের সাথে আলোচনায় বসেননি। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্টর, ট্রেজারার ও উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আন্দোলন চললেও নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা হবে৷ আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক। কিন্তু যেভাবে শিক্ষকদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে, অবৈধ শর্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আজকে আমাদের এই পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী উপাচার্য এই সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈননের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হুমায়ুন কবিরও এবিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এমআর
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মাসিক অপরাধ সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সিএমপি'র শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার কৃতিসন্তান মো. মোবারক হোসেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে সিএমপি'র মার্চ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাঁকে এ পুরস্কার তুলে দেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় (অ্যাডিশনাল আইজিপি), বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)সহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
সিএমপি কমিশনার তাঁর বক্তব্যে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
এতে শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী ও শ্রেষ্ঠ চোরাই গাড়ি উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ এসআই এর পুরস্কার প্রাপ্ত হন এসআই (নিঃ) মো. মোবারক হোসেন।
জানা যায়, তিনি সিএমপি'র বন্দর জোনের কর্ণফুলী থানায় কর্মরত ও শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একই থানা থেকে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হন এসআই (নি.) হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও সিএমপির আরও ছাব্বিশ জন পুলিশ সদস্যকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
তথ্য বলছে, কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক এলাকা থেকে নতুন ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও গত বছরে পুলিশ চেকপোস্টে ৯ কেজি ৬২৩ গ্রাম ওজনের সোনার বার ও পাত জব্দসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন এসআই মোবারক হোসেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মাসিক অপরাধ সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি ও পুরষ্কার প্রদান আমাদের পুলিশের নিয়মিত বিষয়। তবে ঊর্ধ্বতন স্যারদের কাছ থেকে ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে অবশ্যই ভালো লাগা কাজ করে। পাশাপাশি কাজে দায়িত্বও বেড়ে যায় বেশি।'
এআই
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস লক্ষ্মীপুরের জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। অতি গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও দ্বিগুণ রোগি। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শয্যা সংকটের কারণে হাসপতালের মেঝেতে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। তার ওপর নানান অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলা সদর হাসপাতালে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসা রোগীরা হাসপাতালে এসেও দুর্ভোগের শেষ নেই। রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের অভাব। হাসপাতালের সব জায়গায় নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। এতে করে আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
লক্ষ্মীপুর পৌর ১১নং ওয়ার্ড থেকে জ্বর, ঠান্ডা নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের গরমের কারনে জ্বর -ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আগের থেকেও এখন কিছুটা ভালোর আছি। পৌর ২নং ওয়ার্ড থেকে সন্তানকে নিয়ে আসা কাশেম বলেন, হাসপাতালে রোগির চাপ বেশি। ঠান্ডা জনিত সমস্যাই বেশিরভাগ রোগির।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরুপ পাল জানান, প্রতিদিনই জ্বর-ঠান্ডা, ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৪৫-৫০ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। সপ্তাহে গড়ে ১০০০ জন সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের ১০০ শয্যা হাসপাতাল। প্রতিদিন রোগি ভর্তি থাকে ৩৫০-৪০০জন। অপর্যাপ্ত লোকবল নিয়ে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়। তারপরও আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
তীব্র গরমে রোগ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোদে না যাওয়া, বাইরে ঘুরাফেরা না করা, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বয়স্করা শিশু, হার্টের রোগী, ডায়বেটিসের রোগীদের গরমে বাইরে যাওয়া একেবারেই নিষেধ কারণ হিটস্ট্রোক যেন না হয়। বাইরের খাবার যেন আমরা না খাই। হটাৎ বৃষ্টি এলে ভিজবো এরকমটা যেন না হয় এতে জ্বর চলে আসে। চেষ্টা করবো ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে, পানি বেশি খেতে। বাইরে যেতেই হলে ছাতা নিয়ে যাব অথবা মাথার উপরে একটা সুতি জামা কাপড় রাখবো।
সিভিল সার্জন ডা: আহমেদ কবির বলেন, হিটস্ট্রোক জনিত রোগির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া গরমের কারনে অসুস্থ হওয়া রোগিদেরও চিকিৎসা চলছে। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ঔষুধ পত্র রয়েছে। বেড সংখ্যা কম হলেও আমরা অতিরিক্ত রোগিদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।
এআইফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আসাদুজ্জামান তপন এবং সদস্য অজিত বিশ্বাসের সম্পৃক্ততার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ধরিয়ে দিলে বা গ্রেফতারে কেউ যদি সহায়তা করলে উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনাপরবর্তী সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এ ঘোষণা দেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন একজন হেভিচ্যুয়াল অফেন্ডার স্বভাবগত অপরাধী। কোথায় কখন কীভাবে লুকিয়ে থাকতে হয় সেটি তিনি ভালো জানেন। তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন রেখে গেছেন। এর আগে মাগুরায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেখানে অভিযান পরিচালনার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পালিয়ে যান। চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের দ্বৈত ভূমিকার কারণে তাকে প্রথমদিকে সেভাবে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। তবে যখন ভিডিও ফুটেজে তার সম্পৃক্ততা দেখা যায় তারপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক। জড়িতদের অবস্থান বা ধরিয়ে দিতে বা গ্রেফতারে সহযোগিতা করলে তাদের উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হবে।
কামরুল আহসান বলেন, চেয়ারম্যান তপন এবং দুই মেম্বারকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করার জন্য এয়ারপোর্ট-বন্দর এবং বর্ডারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ইতিপূর্বে একাধিক অন্যায় করেছে। ইউএনও’র ওপর হামলা ও টিসিবি কার্ড আত্মসাতের দায়ে তাকে দুই বার বরখাস্তও করা হয়। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে পদে ফেরেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসিন কবির, রামানন্দ পাল প্রমুখ।
গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মন্দিরের প্রতিমায় আগুনের খবর পেয়ে জড়ো হন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পঞ্চপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণে কাজ করা ৭ শ্রমিককে সন্দেহ করেন তারা। পরে স্কুলে গিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হলেও শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন।
পরে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের অতিরিক্ত সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আশরাফুল ও এরশাদুল নামে দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত আশরাফুল ও এরশাদুল মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে।
গত ২১ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৫ ও ৪৩ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে স্কুলকক্ষের মেঝেতে ফেলে পেটানো হচ্ছে। এ সময় ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাস মারপিট করছিলেন।
এদিকে ওই ভিডিও প্রকাশের পর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও মেম্বার অজিত বিশ্বাস গা ঢাকা দিয়েছেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, হামলার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এফএস
দীর্ঘ সময় ধরে বাক প্রতিবন্ধী রানা ফকিরের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। চারদিকে খোঁজা-খুঁজি করেও তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করে সে নদীতে গোসল করতে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদী থেকে রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের চর পালং গ্রামের কীর্তিনাশা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাক প্রতিবন্ধী রানা ফকির (২৩) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনী গ্রামের জাকির হোসেন ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার চান্দনী গ্রামের রানা ফকির শরীয়তপুর পৌরসভার রুপনগর এলাকার সৃজনশীল বিদ্যা পীঠ স্কুলের পাশে দুলাল সরদারের বাড়িতে ভাড়া ফুফুর কাছে থাকতেন। জন্মগত ভাবে রানা বাক প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে রানাকে তার আত্মীয়-স্বজনরা দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারা ধারণা করে সে কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে গেছে। এরপর স্বজনরা বিষয়টি শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল চল পালং গ্রামের কীর্তিনাশা নদী থেকে সন্ধ্যা শোয়া ৬ টার দিকে রানা ফকিরকে উদ্ধার করে। পরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম খান বলেন, খবর পেয়ে মাদারীপুর থেকে ডুবুরি দল এনে রানা ফকির নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএস
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার পালিয়ে গিয়েছিল স্ত্রী। এরপরেও সন্তানদের কথা ভেবে বারবারই স্বামী মোহাম্মদ আলী ওই স্ত্রীকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের বুদ্ধিতে স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাতের আঁধারে পরকীয়া প্রেমিকের কাছে তুলে দেয় স্ত্রী মুন্নি বেগম। এরপর একটি পুকুর থেকে গতকাল স্বামী মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রাড়ী কান্দি এলাকায় স্বামীর বাড়িতে বসে এভাবেই মোহাম্মদ আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করছিলেন স্ত্রী মুন্নি বেগম। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবর (৪০) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন মাদবরের ছেলে। পেশায় তিনি একজন সিএনজি চালক ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে মোহাম্মদ আলী মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হয় মুন্নি বেগমের। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মুন্নি বেগম প্রায়ই তার পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদারের সঙ্গে পালিয়ে চলে যেত। কিছুদিন আগেও মুন্নি বেগম মামুনের সঙ্গে পালিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু ছোট সন্তানদের কথা ভেবে মোহাম্মদ আলী মাদবর তার স্ত্রী মুন্নিকে আবার ফিরিয়ে আনে। এরপরও পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার বিভিন্ন ভাবে মুন্নি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করত। গত বুধবার রাতে মোহাম্মদ আলী মাদবর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদ আলীর স্বজনরা জানতে পারে মোহাম্মদ আলী ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। এরপর বাড়িতে এসে মুন্নি বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন ও তার সঙ্গীদের কাছে তুলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মুন্নি বেগম। এরপর মুন্নি বেগমকে আটক করে থানা পুলিশ খবর দেয় এলাকাবাসী।
নিহত মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নি বেগমের বলেন, আমি চলে গিয়েছিলাম। এরপর ঝামেলা করে আমাকে আবারও এনেছিল মোহাম্মদ আলী। এই বাড়িতে আসার পরেও মামুনের সঙ্গে আমার মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছিল। মামুন আমাকে বলেছিল, মোহাম্মদ আলী আমার (মামুনের) নামে মামলা করেছে। মামলা যদি চলমান থাকে তাহলে মোহাম্মদ আলীর ক্ষতি করব। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, মোহাম্মদ আলী মামলা তুলে ফেলবে, ক্ষতি করার দরকার নেই। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি বরং আমাকে ভয় দেখিয়ে বলেছে, ‘আজ ঘুমের ওষুধ দিয়ে যাব, এই ওষুধ মোহাম্মদ আলীকে খাওয়াতে হবে। নয়ত তোমার মেয়েদের মেরে ফেলব।’ মামুনের এমন কথায় আমি মোহাম্মদ আলীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়েছি। এরপর মামুন এসে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে গেছে। মামুন যখন মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যায়, তখন ওর সঙ্গে আরো দুইজন ছেলে ছিল কিন্তু আমি তাদের চিনি না। যখন মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন মোহাম্মদ আলী অজ্ঞান ছিল।
নিহতের ভাতিজা আসিফ মাদবর বলেন, কাকী দুই তিন বার চলে গিয়েছিল। কাকায় শিশু মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বারবার ফিরিয়ে এনেছে। কিন্তু কাকী ভালো হয়নি। গত বুধবার রাতে প্রথমে কাকার কাছ থেকে সব টাকা পয়শা নিয়ে নেয় কাকী। এরপর কাকাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া প্রেমিক মামুনের কাছে তুলে দেয়। মামুন আমার কাকাকে মেরে ফেলছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নিহতের বড় বোন আয়েশা বেগম বলেন, বারবার চলে যাওয়া সত্ত্বেও আমার ভাই মুন্নিকে এনেছিল। কিন্তু বুধবার রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে মুনি। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, নিহত মোহাম্মদ আলীর পরিবারে দাম্পত্য কলহ ছিল। বিষয়টি নিয়ে থানায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেছিল স্বজনরা। বিষয়টি থানা পুলিশ টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএস
শরীয়তপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। তীব্র দাবদাহে যখন মানুষ এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে শরীয়তপুরকে।
গত কয়েক বছরে সরকারি ভাবে কাটা হয়েছে কয়েক হাজার গাছ। এত পরিমাণ গাছ কাটা হলেও রোপণে নেওয়া হয়নি তেমন কোনো উদ্যোগ। গত তিন অর্থবছরে একটি গাছও রোপণ করেনি বনবিভাগ। পাশাপাশি বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে বর্ষার ভরা মৌসুমেও স্বাভাবিক বৃষ্টি না হওয়ায় সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে চাষাবাদ। একসময় এখানে ছিল পর্যাপ্ত গাছপালা ও ঝোপঝাড়। এগুলো এখন প্রায় নিঃশেষ।
নদী বেষ্টিত শরীয়তপুর জেলা, এ জেলা চারপাশে রয়েছে পদ্মা ও মেঘনা নদী। তবুও তীব্র গরমে এ বছর নাজেহাল শরীয়পুরবাসী। চলতি অর্থবছরে জেলার ১৯ কিলোমিটার সড়কে প্রায় ১৭শ গাছ অপরিকল্পিতভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। এতে করে তীব্র গরম প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। জেলার হাসপাতাল গুলোতেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক গাছ রোপনের দাবি সচেতন মহলের।
প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের তাপদাহ। একটানা তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে দক্ষিণের জনপদ শরীয়তপুরের মানুষ। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে।বাইরে আগুনে পোড়া গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষ। যেখানে সেখানে ছায়া নেই, পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে পেশাজীবী মানুষের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। সব মিলিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহে প্রভাব ফেলছে জীবনযাত্রায়।
বন বিভাগের তথ্য মতে, শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলায় চলতি অর্থবছরে ১৯ কিলোমিটার সড়কের পাশে দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতাধীন প্রায় ১৭শ গাছ অপরিকল্পিতভাবে টেন্ডার করে বিক্রি করেছে বন বিভাগ। এরমধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলার পুরাতন মোল্লার বাজার হতে বাংলা বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, চরপায়াতলি হতে হাকিম আলি ব্রিজ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, সদর উপজেলার বাংলা বাজার হতে গোড়ার ঘাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার, আটং ডিসি রোড হতে পম লাকার্তা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার। ডামুড্যার স্বনির্ভর হতে কুতুবপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার। গোসাইরহাটের দপ্তরি বাড়ি হতে মলংচরা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার গাছ কাটা হয়েছে। এছাড়াও বিপুলসংখ্যক গাছে বিক্রির অপেক্ষায় মার্ক করে রেখেছে বন বিভাগ। এতে করে আরো বাড়ছে প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের তাপদাহের তীব্রতা।
অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে গত কয়েকদিনে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কয়েক শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। যাদের মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, খিচুনিসহ নানান রোগের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ ইকবাল হোসেন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, শরীয়তপুরে প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এর প্রতিকার পেতে হলে সকলের গাছ লাগিয়ে তা পরিচর্যা করে বড় করতে হবে। এর জন্য সকল শ্রেণির মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমি জেলা পরিষদের পক্ষে থেকে সবাইকে বলবো সবাই বেশি করে গাছ লাগান এতে পরিবেশর ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
সমাজ সেবক ও সচেতন নাগরিক এডভোকেট তৌহিদ কোতোয়াল সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, তিব্র গরমে শরীয়তপুরের জনজীবনে বিপদগ্রস্থ। বর্তমান শরীয়তপুরের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধমান রয়েছে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারন হল জলবায়ু পরিবর্তন। এই জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, শরীয়তপুরের বন বিভাগ নতুন করে সরকারি বিভিন্ন জমিতে রাস্তার পাশে গাছ লাগাবেতো দূরের কথা, তারা এই গত অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৯শ গাছ কেটেছে। সরকারি একটা সংস্থা যদি তাদের যেই দায়িত্ব ছিলো, তা সঠিক ভাবে পালন না করে, গাছ না লাগিয়ে, নতুন করে গাছ কাটে। তা পরিবেশের ভারসাম্য যদি নষ্ট করে তাহলে এই তাপদাহ আর কমবে না আরো বারবে।
শরীয়তপুর ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো: সালাহউদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমরা এই বছরের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতাধীন ১৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ১ হাজার সাতশো গাছ কর্তন করা হয়েছে। ১০ বছরে হলেই আমরা এই গাছ কর্তন করে ফেলি। তবে আমরা চুক্তিশর্ত অনুযায়ী এই বছর আমরা ১৯ হাজার পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগাবো। তবে গত তিন অর্থবছরের কেন গাছ লাগানো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, গাছগুলো যে কেটে ফেলা হয়েছে সেই বিষয়টা দেখছি। নতুন করে গাছ লাগাবে কিনা জানতে চাইলে বলেন আপাতত আমরা কাজ চালাচ্ছি পরে জানাবো বলে তিনিও এড়িয়ে গেছেন।
শরীয়তপুরবাসীর দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন গাছ রোপন করলে তীব্র তাপদাহের থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা নেবে বন বিভাগ এমনটাই প্রত্যাশা এই অঞ্চলের মানুষের।
এফএস
গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। ছেলে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো ইসরাফিল। সেখানে থাকা অবস্থায় রোকেয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে ইসরাফিল ও রোকেয়া বিয়ে করে। পরে ইসরাফিল স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসা থেকে চলে যায়। একপর্যায়ে তার পরিবারের লোকজন ইসরাফিলকে তার স্ত্রীসহ আবার বাসায় ফিরিয়ে আনে।
পরে পাশে বহুতল ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করে ইসরাফিল ও রোকেয়া দম্পতি। ইসরাফিল একটি ওয়ার্কশপে এবং রোকেয়া পোশাক কারখানায় কাজ করতো। শুক্রবার সকালে তাদের পরিবারের লোকজন তাদের ফ্ল্যাটে দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ইসরাফিলের ঝুলন্ত মরদেহ এবং খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। পুলিশে খবর দেওয়া হলে তার ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।
মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পিএম
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরনের জন্য সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ ফসলের মাঠ পরিদর্শন, ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব ও মহাপরিচালক (বীজ) বীজ অনুবিভাগ মো. আবু জোবায়ের হোসেন বাবলু বলেন, লবনাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন কোন বাধা হতে পারেনা যদি লবন ক্ষয়িষ্ণু বীজ রোপন করা যায়৷ দক্ষিণাঞ্চলে এ মৌসুমে ৩৫ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। এ অনাবাদি জমি আবাদিতে রুপান্তর করতে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রাক সিড। ব্রাকের উৎপাদিত সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে এনে নিজেদের উৎপাদিত তেল নিজেরা ব্যবহার করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ।
শুক্রবার (২৬এপ্রিল) বিকেলে ব্র্যাক সিড অ্যাড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে মোয়াজ্জেমপুরে সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ ফসলের সূর্যমুখী উৎপাদন পরবর্তী প্রক্রিয়াজাতকরন উদ্যোগ, এডাপটেশন ক্লিনিক পরিদর্শন,সূর্যমুখী মাঠ পরিদর্শন, ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসির সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) মো. মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ও বিএডিসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান,বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান, বরিশাল এসিআই সীড বিজনেস ডাইরেক্ট সুধীর চন্দ্র নাথ, এ্যডভান্টা সীড ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি ম্যানেজার ডঃ এবিএম জিয়াউর রহমান, পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরাফাত হোসাইনসহ প্রমূখ।
উপজেলার তথ্যমতে, এ উপজেলার প্রায় ১হাজার ৯৫০হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী আবাদ হয়েছে। সে হিসাবে প্রায় ১৩৬৫ মেট্রিকটন তেল উৎপাদন হবে। প্রতি কেজি ৩’শত টাকা করে মূল্য নির্ধারণ করলে সেক্ষেত্রে ৪০ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার তেল কৃষকরা বিক্রি করবে।
লতিফপুরের স্থানীয় কৃষক মো. নুর ইসলাম আকন বলেন, এবারি প্রথম ২.৫ বিঘা জমিতে হাইব্রিড হাইসান ৩৩ এর বীজ রোপন করলাম। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি ২০ থেকেন ২২ মন বীজ পাব। বীজ থেকে যে তৈল পাব তা দিয়ে আমার সংসারের পুরো বছরে আর তৈল ক্রয় করতে হবে না।
মো. নেওয়ামুর নাসির বলেন, ব্রাকের অর্থায়নে আমাদের পতিত জমিতে লবন ক্ষয়িষ্ণু হাইব্রিড হাইসান ৩৩ বিজ দিয়েছি। আমাদের জমি সারা বছরে একবার ফসল উৎপাদন করতে পারি কিন্তু এবারেই প্রথম ব্রাকের সহায়তায় আমি ১০ বিঘাজমিতে হাইব্রিড হাইসান ৩৩ চাষ করে প্রায় ৫০ মনের বেশি বীজ পাব। যা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারব।
বিশেষ অতিথি বিএডিসির সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিজটি এই অঞ্চলের জন্য আর্শীবাদ। লবনের সাথে যুদ্ধ করে বেড়ে উঠে। আমাদের আর যেন তেল আমদানি না করা লাগে। সেই লক্ষে সূর্যমুখীর চাষ বেড়ে গেছে। আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি যোগান দিবে।
এফএস
বরগুনার তালতলীতে স্লুইস গেট থেকে পানিতে লাফ দিয়ে তরিকুল ইসলাম (১১) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছকিনা এলাকায় এ দুঘটনা ঘটে। নিহত তরিকুল ইসলাম একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছকিনা এলাকার বাড়ির সামনের স্লুইস গেটে বাবার সঙ্গে গোসল করতে যায় তরিকুল ইসলাম। এ সময়ম স্লুইস গেটের উপর থেকে পানিতে লাফ দেয় তরিকুল। পানিতে পড়ে বুকে আঘাত পেয়ে তলিয়ে যায় সে। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএস
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপদাহ , ঝাঁঝালো রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ কুয়াকাটার উপকূলীয় খেটে খাওয়া মানুষ। প্রখর রোদ আর অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেন মুসুল্লিরা। নামাজ শুরুর পূর্বে ইমাম সাহেব সকলকে তার পরনের পোশাক উল্টিয়ে নিতে বলেন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টায় নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারি। নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।
পিএম
বরগুনায় যুগান্তর পত্রিকার ষ্টাফ রিপোটার (আমতলী) মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার, তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ছোটবগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকুজ্জামান তনুসহ ৮ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুনীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে গত ১২ এপ্রিল তালতলী থানার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান স্বাক্ষী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পঁচাকোড়ালিযা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের নগ্ন ও ওই তরুনীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ গত ১৮ এপ্রিল রাতে ভাইরাল হয়। ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান রাজ্জাক একেবারে নগ্ন অবস্থায় মোবাইল নিয়ে বিছানায় শুইয়ে আছেন। ৫২ সেকেন্ডের আরো একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান ওই তরুনীর পা টিপছেন। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ওই তরুনীকে চেয়ারম্যান বাহুডেরা করে হাস্যজ্জল অবস্থায় শুইয়ে আছেন। এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
চেয়ারম্যানের এমন ঘটনা দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুব্দ হয় চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনুকে প্রধান আসামী করে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসিকে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্য আসামীরা হলো তারিকুজ্জামান তারেক, মোঃ আরিফ হোসেন, যুগান্তর পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার জসিম উদ্দিন সিকদার, শফিকুল ইসলাম ইমন, মিলন গাজী, ফারুক, তশরিফ আহম্মেদ জুয়েল।
যুগান্তর পত্রিকার ষ্টাফ রিপোটার মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, চেয়ারম্যান রাজ্জাকের নগ্ন ভিডিও ভাইরালের ছবি যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় আমাকে হয়রানী করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার প্রধান আসামী তালতলী উপজেলার আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, নিজের অপরাধ ঢাকতে চেয়ারম্যান রাজ্জাক হাওলাদার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
বরগুনা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোঃ বশির আলম বলেন, এখনো মামলার নথি পাইনি। নথি পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে।
এফএস
পিরোজপুরের কাউখালীতে ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চিরাপারা পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের নিলতী হাফিজিয়া নুরানী মাদ্রাসার মাঠে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে প্রচন্ড তাপদাহ থেকে পরিত্রান পেতে খোলা আকাশের নিচে মুসল্লিরা এই বিশেষ সালাত আদায় করেছেন।
এসময় শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই নামাজে অংশ নেয়। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠ ঘাট কৃষি জমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গরমে অতিষ্ঠ হয় উঠেছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এই নামাজ আদায় করা হয়।
এ সময় মাঠে মুসল্লিদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে। তারা মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির প্রার্থনা করে নামাজ আদায় করে। নামাজের ইমামতি করেন নীলতী হাফিজিয়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নজরুল ইসলাম।
এমআর
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বোরো ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে ওমর আলী ওরফে ওমর মিস্ত্রি (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম বাতকুচি টিলাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওমর মিস্ত্রি ওই গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অন্যান্য দিনের মতো ওমর রাতে তার উঠতি বোরো ধানক্ষেত পাহারা দিতে যান। তবে অন্যান্য রাতে আশপাশে স্থানীয় অনেক কৃষক থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একাই পাহাড়ের ভেতরে ধানক্ষেতে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে একদল বন্যহাতি পাহাড় থেকে নেমে এসে ওমরের ওপর আক্রমণ চালায়। এসময় তাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মেরে ও পায়ে পিষ্ট করে হত্যা করে হাতির দল। কিছুক্ষণ পর এলাকাবাসী ওমরকে দেখতে না পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
স্থানীয়রা জানান, দিনভর চৌকিদার টিলা ও সমেশ্চুড়াসহ আশপাশের পাহাড়ে বন্যহাতির দল বিচরণ করছিল।
এদিকে, খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণা হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে আগুন লেগে ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত অপরজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইভ সাপোর্টে রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) ভোরে ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রাইভেটকার চালিয়ে ত্রিশালে আসার পথে নুরুর দোকান নামক স্থানে পিছন দিক থেকে অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ধুমরে মুচড়ে গেলে আগুন লেগে গঠনস্থলে উপজেলা যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ (৩৫ ) নিহত হয়। প্রাইভেটকারে থাকা দীপক গুরুত্ব আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি লাইভ সাপোর্টে রয়েছেন।তার অবস্থা আশঙ্কা জনক।
শামীম পারভেজ ত্রিশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পাঁচবারের নির্বাচিত কমিশনার আজহারুল ইসলামের বড়। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহ- ৭ ত্রিশাল আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সকালে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়। নিহতের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শোয়েব আল হাসান সজলকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রলীগ। সেই সাথে কেনো তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত শাস্তিমুলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ আগামী তিনদিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে স্বহস্তে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। এই নিয়ে ২য় বারের মত অব্যাহতি পেলেন শোয়েব আল হাসান সজল।
জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে ১৬ আগস্ট শোয়েব আল হাসান সজলকে প্রথমবার সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর তার অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেয় জেলা ছাত্রলীগ। প্রত্যাহার পত্রে ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সতর্ক করা হয় তাকে। এই নিয়ে দুইবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা।
শোয়েব আল হাসান সজলের ভাষ্য, তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বা দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত না। কি কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা জানেননা তিনি। এরপরেও জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত মেনে লিখিত ভাবে জবাব দিবেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এআই
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে নেত্রকোনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলার পৌর শহরের ঐতিহাতিক মোক্তারপাড়া ঈদ গা মাঠে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা।
নামাজের ইমামতি করেন মুফতি তাহের কাছেমি। পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন এবং খুতবা শেষে দোয়া করেন। দোয়ার মধ্যে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়।
নামাজ আদায় শেষে আলহুদা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আহমুদ বিন আব্দুল খালেক বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এছাড়া উপস্থিত স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ইসতিসকার নামাজ আমাদের বিশ্ব নবীর সুন্নত। তীব্র গরমে বৃষ্টির আশায় আমরা নেত্রকোনাবাসী বিশ্ব নবীর সুন্নত দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এই নামাজে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চারাও এসে উপস্থিত হয়েছে। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে যেন সারা দেশে আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হয়। যে বৃষ্টি মানুষ পশুপাখি গাছপালাসহ সকলের জন্য উপকার হবে।
পিএম
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঐদিন সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুগার্পুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচানঁ ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজ্বী জামাল উদ্দিন মাস্টার। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকা থেকে হাজ্বী জামাল উদ্দিন মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে ওইদিন বিকেলে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মাঝিয়াইল মোড় থেকে আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচানঁকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরবর্তিতে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি তদন্ত মাহফুজ আলম জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার মামলায় তাদের দুই জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
এআই
দিনাজপুরের হিলিতে গরুবাহী ভটভটির (শ্যালোচালিত ইঞ্জিনের) ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে হিলি-বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহীর হলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাকিমপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভুট্টা বোঝায় ট্রাকের সঙ্গে সার বোঝায় ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভুট্টার ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীর নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ছয়টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাক চালকের নাম গোলাম রাব্বী (৩৮)। সে জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা। চালকের সহকারীর রেজওয়ান (৩২) একই এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে উপজেলার টিএন্ডটি মোড়ে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
এফএস
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের পরিকল্পনা করার অভিযোগে একই কলেজের এক ইংরেজি প্রভাষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এতে সহযোগিতাকারী এ কলেজের পিয়নকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ছে।
শিক্ষক ও ছাত্রী প্রেম করে ওই পিয়নের বাড়িতে গোপনে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। মেয়ের অভিভাবকরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা শহরে অবস্থিত ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন। এ সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে দিতে রাজি হন দুজনই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল কলেজের পিয়ন জিয়ার সহযোগিতায় তার বাড়িতে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে যান প্রভাষক।
এরপর কাজী এসে বিয়ে পড়ার মুহূর্তে ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, ঘটনার দুই দিন পর ওই প্রভাষক ও পিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলেজ সভাপতি ও অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় দুজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘ফুলবাড়ী উপজেলার কলেজে এ ধরনের ঘটনা আমরা আশা করিনি। আমাদের মেয়েরাও এই কলেজে লেখাপড়া করে। মেয়েদের নিয়েও আমরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইংরেজি প্রভাষক বলেন, ‘আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার কাছে জবাব চেয়েছে আমি বিষয়টিতে জবাব দেব।
ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু জানান, অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আজিজার রহমান মাস্টার বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে।
এফএস
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (২০) লালমনিরহাট উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম।
সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এফএস
দিনাজপুরে দশ মাইল মোড়ে একটি পেট্রোল পাম্পে ভয়াবহ আগুন। একঘন্টাারো বেশি সময় কাজ করে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনতার ক্ষোভে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের উপর হামলা। উত্তেজিত এই জনতার হামলায় কারণ সার্ভিস স্টেশনের অফিসার ইনচার্জসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হানপাতালে নিয়া যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন স্থানীয় এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে দিনাজপুর দশ মাইল মোড়ে আরিফ ফিলিং স্টেশন পেট্রোল পাম্পে অতর্কিত ভাবে আগুন লাগে। পাম্পের ট্যাংকিতে জ্বালানি তেল থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বিশাল রূপ ধারণ করে। খবর পেয়ে দিনাজপুর শহরের ফায়ার সার্ভিস, কাহারোল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসেসহ মোট ৩ টি ইউনিট একঘন্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিযন্ত্রসে আনে। পাম্পে থাকা দুটি ট্রাকেও আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দশ মাইল মোডে পেট্রোল পাম্পে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস টিম দেরিতে আসায় স্থানীয় জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে আগুন নেভাতে আসা তিনটি ইউনিটের সদস্যরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বর্তামানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে।
দিনাজপুর কাহারোল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের টিম লিডার আব্দুল খালেক পাম্পটিতে আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আহতে সদস্যদের ব্যাপারে তিনি এ মূহুর্তে কিছুই জানাতে পারেননি।
এফএস
তীব্র তাপদাহে জনজীবন যখনে অতিষ্ঠ তখন জনজীবন ও ফসলসহ কীটপতঙ্গ রক্ষায় বৃষ্টি কামনা করে রংপুর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, বদরগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ মাঠসহ, রংপুর নগরীর আল হেরা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গন সহ অন্যান্য উপজেলায় নামাজ আদায় করেন শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী।
এসময় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালা'র কাছে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লীরা। বৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেন তারা ।
এমআর
নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। এর আগে দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হন। এ নিয়ে নিহত বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা মামাতো-ফুফাতো ভাই।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাওহার আমিন লাদেনের মৃত্যু হয়।
তিনি বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল ধামানিয়াপাড়া গ্রামে বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন জাওহার আমিন লাদেন, আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির। নিহতরা মামাতো-ফুফাতো ভাই।
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে জাওহারসহ তিন ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই আহত হন। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে তিনজনই মারা যান।
এফএস
প্রকৃতির সাথে যে বিরুপ আচরণ করা হয়েছে তার ফল এখন হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করা হচ্ছে। বৈষ্যিক উষ্ণতা বাড়ছে। দিন দিন পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে চলেছে। হিট স্ট্রোকে আকান্ত হচ্ছে মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। নওগাঁয় জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষা, নদী-খাল-বিল দখল ও দুষণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৬এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীণ ভয়েজ ও একুশের পরিষদ নওগাঁর উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য ও একুশে পরিষদ নওগাঁ’র সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি’র সভাপতিত্বে একুশে পরিষদের সহ-সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল, সহসাধারণ সম্পাদক নাইচ পারভীন, শাকিরুল ইসলাম রাসেল, সুবল চন্দ্র মন্ডল, নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা একুশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামিম, বাপা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
বাপার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন- আন্দাসুরা বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুলকে বিভিন্ন ভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বিলের লিজ বাতিল করা প্রয়োজন। আলতাদীঘি শালবনে ৮বার আগুন লেগেছে। উন্নয়নের নামে প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিভাবে আগুন লেগেছে বা লাগানো হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য আমরা জানিনা। এগুলো তদন্ত করা প্রয়োজন।
নওগাঁ জেলা বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন- আজ প্রকৃতির বিরুপ প্রভাপ পড়েছে। যা আমাদেরই সৃষ্টি। যেসব প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী দুষণ ও দখলমুক্ত রক্ষা করা হোক। প্রকৃতিগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। শুধু মানববন্ধন করলেই হবে না তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যতদুর যাওয়ার দরকার হবে আমরা যেতে চাই।
একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি বলেন- একসময় ছোট যমুনা নদীতে পালতোলা নৌকা ও লঞ্চ চলতো। বিভিন্ন জেলা থেকে বণিকরা ব্যবসা করার জন্য আসতো। নদী দখল-দুষণ ও পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় সেই নৌকা আর আসেনা। নদী দুষণের ফলে জীববৈচিত্র আজ হুমকির মুখে। নদী আমাদের মা। নদী বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচলে জীববৈচিত্র রক্ষা সহ নদীর ওপর নির্ভরশীলদের জীবন জীবিকা ও কর্মসংস্থান বাড়বে। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা বন ও পদ্মফুল রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য-নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঐতিহ্য আন্দাসুরা বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নিয়েছে পদ্মফুল। পদ্মফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয় এটি ঔষধিগুন সম্পন্ন। পদ্মফুল পানি স্বচ্ছ রাখাসহ জীব বৈচিত্র রক্ষা করে। প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা এ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আসছেন। বিলটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে বিলটি সরকারি ভাবে লিজ দেয়া হচ্ছে। এতে ইজারাদার মাছ চাষের জন্য পদ্মফুল বিভিন্ন ভাবে ধ্বংসের চেষ্টা করছে। আলতাদীঘি শালবনে বিভিন্ন সময় আগুন লাগছে। কিভাবে আগুন লাগছে তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। বনে আগুন লাগা বা লাগানো মানব সৃষ্টি কিনা তা তদন্ত করা প্রয়োজন। আন্দাসুরা বিলের পদ্মফুল রক্ষার লিজ বাতিল এবং আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে আগুন লাগিয়ে উদ্ভিদ ধ্বংস, নদী-খাল-বিল দখল ও দুষণের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সামাজিক সংগঠনগুলো।
পিএম
নাটোরের গুরুদাসপুরে অবৈধ পুকুর খননকারী ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বামনকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, মশিন্দা চরপাড়া এলাকায় তিন ফসলী জমিতে অবৈধভাবে একটি পুকুর খনন চলছিল। সেই পুকুর কেটে মাটি বহন করার ফলে পাশের বামনকোলা গ্রামের রাস্তায় মাটি পড়ে অনেক ধুলার সৃষ্টি হয়। এতে গ্রামবাসি চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ভোগান্তি দুর করতে ঐ গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন ধুলা থেকে রক্ষা পেতে রাস্তাটিতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে থাকে। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় অভিযোগ এনে পুকুর খননকারী হাফিজুল দলবল সহ গিয়ে এসে তাদের পানি দিতে নিষেধ করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নজরুলের উপর হামলা চালায় তারা। এরই এক পর্যায়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে লাঠিসোটার আঘাতে চার নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলা হওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পিএম
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বিএনপি সভানেত্রী সামিমা আখতার ওরফে বেদেনাকে।
তিনি জয়পুরহাট জেলা মহিলা দলের সদস্য ও ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলা দলের সহসভাপতি এবং ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীকের প্রার্থী। এছাড়া তিনি সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গতকাল বুধবার দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
এমআর
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাবদাহ ও খরা। তীব্র তাবদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছেন। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোট কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে।
এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।
পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।
সাপাহার উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওই মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক। পোরশা উপজেলার নিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাপানিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা হযরত আলী।
ধামইরহাট উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা আস-আদুল্লাহ। রানীনগর উপজেলার শেরে বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা মোস্তফা আলামিন।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।
নামাজে অংশ নেয়া আশরাফুল ইসলাম ও বেল্লাল হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাবদাহ বইয়ে চলছে। অসহ্য গরমে জনজীবন হাসফাস অবস্থা। কোথায় গিয়ে স্বস্থি মিলছে না। শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকা নামাজে অংশ নিয়েছে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ জমিন শীতল করে দিবেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।
এআই
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাড়ির গোয়াল ঘরের মলমূত্র চলাচলে নালা নিয়ে ঝগড়ার সময় আব্দুল হাকিম (৬৫) নামে এক ব্যাক্তি মারা গেছেন। তিনি চৌমুহনী ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ভাতিজা মাহাবুব ইসলাম (৩২), ভাতিজি সুলেমা বেগম (৩৫) ভাবী সুন্দর বানু (৫৫) কে আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাকিমের গোয়ালঘরের মলমূত্র ভাতিজা মাহাবুব ইসলামের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে চা ভাতিজার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার নালা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
কাসিমনগর ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক জানান, ঝগড়ার সময় আব্দুল হাকিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আব্দুল হাকিমকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এআইশায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় দেড় হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করেছেন টানা চতুর্থবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় সার গুদাম মাঠে উপজেলার প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই প্রণোদনা বিতরণ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার মিতা এতে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি প্রমুখ।
উপকারভোগী কৃষকদের মাঝে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে ৫৫০, নুরপুর ইউনিয়নে ৩৫০ জন, ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়নের ৪০০ জন ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা আরও ২০০ জন। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ কেজি আউশ ধানের বীজ ও ২০ কেজি করে রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়।
এআই
মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর করেছে কতিপয় শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর রাজনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। গত ২১ এপ্রিল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জিডি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ২১ এপ্রিল দুপুরে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ চলাকালিন সময়ে কতিপয় যুবক ফরম পূরণের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বেতন কমানোর দাবি তোলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মানায় কলেজের সম্পদ ভাঙচুর করে।
অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর বলেন, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে বেতন কমানোর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য কলেজের পক্ষ থেকে একটি কমিটি ঘটন করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ২টায় ওই কমিটির সদস্যরা এসব শিক্ষার্থীদের সাথে বসার কথা ছিল। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও শিক্ষার্থীরা না আসায় ওই দিন বসা হয়নি।
পরবর্তীতে ঘটনার দিন বসার আগেই কতিপয় যুবক আমার কক্ষে হামলা করে গ্লাস, চেয়ার, বোর্ড সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এমআর
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের হাছননগর এলাকার বুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুরেশ রবি দাস (৪০)নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি সিএনজি অটো রিকশার যাত্রী ছিলেন ও ওয়েজখালী এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে হাছননগর এলাকার ভুবির পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,শহরের হাছননগর এলাকার সিএনজি চালক জীবন মিয়া(২০) ও ইব্রাহীমপুরের কৃষ্ণ রবি দাস (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভবন নির্মাণের সাটারিংয়ের মালপত্র নিয়ে মাহিন্দ্র ট্যাকটি বুড়ির স্থল এলাকার দিকে যাচ্ছিল, একেই সময় বুড়িস্থল থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসার পথে ভুবির পয়েন্টে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুরেশ রবি দাস (৪০) মারা যায়। গুরুত্বর আহত সিএনজি চালক ও অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী বলেন,ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমআর
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আত্তার ইয়াছিন (১০) ও নেত্রকাণার বারহাট্রা থানার নৈহাটি গ্রামের ইউসুফ রুহান (১১)। সম্পর্কে তারা ফুফাতো ও মামাতো ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার।
ইয়াছিন ও রুহান দুজনেই বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ইউসুফ রুহানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ময়নুলের বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সদরের তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে ইয়াছিন ও রুহান পড়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তাদের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এআই