এইমাত্র
  • ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
  • স্টার্ক তোপে লন্ডভন্ড ইংলিশ শিবির
  • বন্দুকধারীদের গুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুসহ নিহত ১১
  • বেনাপোল বন্দরে আটকা রপ্তানিমুখী ১৫০ ট্রাক, দৈনিক লোকসান ৩ লাখ টাকা
  • ভারতীয় বানরের উৎপাতে অতিষ্ট পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী শহরের বাসিন্দারা
  • রংপুরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
  • তফসিল চূড়ান্তে ইসি’র বৈঠক আগামীকাল
  • ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর পাকিস্তানে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা
  • হত্যার ৮ দিন পর বাংলাদেশী যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
  • চার তালেবান কর্মকর্তার ওপর অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা
  • আজ শনিবার, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বরিশাল বিভাগের ৫ টি আসনে প্রার্থী দিলেন গণসংহতি আন্দোলন

    আরিফ হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (বরিশাল) প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
    আরিফ হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (বরিশাল) প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম

    বরিশাল বিভাগের ৫ টি আসনে প্রার্থী দিলেন গণসংহতি আন্দোলন

    আরিফ হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (বরিশাল) প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম

    আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোনায়েদ সাকির দল গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ) নামে একটি দল ৯৩ টি আসনে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। তবে দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬ আসন থেকে লড়বেন।

    এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের ২৫টি সংসদের আসনের মধ্যে ৫টি আসনে তাদের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। বাকি আসন গুলোতে কোন প্রার্থী দেয়নি দল গণসংহতি আন্দোলন।

    বরিশাল বিভাগের ৫ টি আসনে যাদের নাম ঘোষনা করা হয়েছে।

    তারা হলেন, বরিশাল-১ আসন: গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাফিন, বরিশাল সদর-৫ আসন: গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু, পটুয়াখালী-২: আমজাদ হোসেন, ঝালকাঠি-২: আবদুল কাদের খান, পিরোজপুর-৩: অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলামকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে তাদের নাম ঘোষনা করা হয়।

    তবে বরিশাল সদর-৫ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীতা ঘোষণার পর দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু বলেন, “দীর্ঘদিনের দুঃশাসনের পর দেশ একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগোচ্ছে। মানুষের মধ্যে রাষ্ট্র পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। একাত্তর থেকে চব্বিশের লড়াইয়ের প্রত্যাশা পূরণ এবং জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশালে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা এই দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।”

    তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের সঙ্গে নির্বাচন প্রসেসে অংশগ্রহণ করে সমাজ ও এলাকার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব।”

    গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রার্থী সমর্থকদের সঙ্গে সমন্বয় সভা ও মতবিনিময় শুরু করেছে। দলের লক্ষ্য বরিশালে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

    অন্যদিকে বরিশাল সদর-৫ আসনে দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু প্রার্থী দেওয়ায়

    শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও একটি মিছিল বের করা হয়।

    তবে মিছিলটি অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজার, লাইন রোড প্রদক্ষিণ শেষে পূর্নরায় টাউন হলের সামনে একটি সমাবেশ করেন গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্ধরা।

    সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন(জিএসএ) বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ও বরিশাল ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হোসেন মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাফিন ও রুবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

    সভাপতির বক্তব্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বলে আসছেন বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই দেশের জন্য একটি নতুন ‘জাতীয় সনদ’ ও একটি প্রকৃত ‘গণতান্ত্রিক ক্ষমতা-কাঠামো’ প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে, এবং ছাত্র ফেডারেশনের শাকিলসহ বহু আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ এর প্রমাণ।

    তিনি জানান, গত এক বছরে আমাদের দল ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি’ নিয়ে কাজ করছে, যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সংসদকে সংবিধান সংশোধনের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করা জরুরি। সামনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন হওয়া উচিত ‘সংবিধান সভার নির্বাচন’ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন উভয়ই একসাথে।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শ্রমিক, কৃষক ও খেটে–খাওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানুষের সঠিক হিস্যা নিশ্চিত করতে হলে এমন প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাতে হবে, যারা সত্যিকারের জনগণের দাবি তুলে ধরবে। আমরা সবসময় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতি করি, দলীয় স্বার্থকে নয়।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ম, জাতীয়তা বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের মর্যাদা হানি করা যাবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমান মর্যাদা দিতে হবে। আগামী দিনের সরকার হতে হবে “জনমানুষের সরকার”।

    ‘বিগত শাসনামলগুলোর বঞ্চনা, বৈষম্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি আর দলবাজির অভিশাপ আমরা অনেক দেখেছি। এই দেশের মানুষ পরিশ্রম করে, ঘাম ঝরিয়ে সম্পদ সৃষ্টি করে, কিন্তু সেই সম্পদের মালিকানা, ন্যায্য অংশীদারিত্ব, নাগরিক অধিকার এসব কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছায় না। জনগণ শুধু ভোট দেয়, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পায় না। আমরা এই কাঠামো ভাঙা রাষ্ট্রেকে জনগণের ক্ষমতার উৎসে পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আজ পর্যন্ত আমরা এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেখেছি যেখানে দল ক্ষমতায় এলে জনগণ দূরে সরে যায়, আর দলগুলো রাষ্ট্রকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। এই রাজনীতি আমরা ভাঙতে চাই। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধির জবাবদিহির কাঠামোর মধ্যে থাকবে এবং প্রতিনিধিরাও জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। গণতন্ত্র মানে শাসকের ইচ্ছা নয় গণতন্ত্র মানে মানুষের মুক্ত সিদ্ধান্ত।’

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…