রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে বাসায় কাজ করতেন গৃহকর্মী আয়েশা। পরিবারের ধারণা, গৃহকর্মী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খোঁজা হচ্ছে আয়েশাকে।
আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিজা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বাসায় প্রবেশ করছেন গৃহকর্মী আয়েশা। তাঁর গায়ে ছিল কালো বোরকা। এরপর বের হোন ৯টা ৩৬ মিনিটে। তখন তার গায়ে দেখা যায় স্কুল ড্রেস।
নিহতের স্বামী আজিজুল জানান, আজ ১১টার পরে দিকে বাসায় ঢুকে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তিনি বাসার মেঝে ও দেয়ালে দেখা যায় রক্ত।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তারা জানান, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিজা পড়তো মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে। সোমবার ছিল তার শেষ বার্ষিক পরীক্ষা। সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন তারা।
তেজগাঁও জোনের ডিসি ইবনে মিজান জানান, পুলিশ আসার আগেই নাফিজাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সন্দেহ করা গৃহকর্মী আয়েশাকে চার দিন আগেই ওই বাসায় কাজের জন্য নেওয়া হয়। তিনি বিহারী ক্যাম্পে থাকেন। তাকে নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে কোনো তথ্য নেই।
এইচএ