পপুলার টি ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত ও একের পর এক অসঙ্গতির প্রেক্ষিতে অবশেষে রাজস্ব ফাঁকির দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে পঞ্চগড় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সার্কেল। ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ লিখিত জবাব দাখিল করলেও তা সন্তোষজনক না হওয়ায় জরিমানা আরোপ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটি জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে কাস্টমস সূত্র।
কাস্টমস জানায়, ১২ বস্তা (৬০০ কেজি) চা সুন্দরবন কুরিয়ারে বুকিং দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে কারখানা পরিদর্শনের পর প্রাথমিক পর্যায়ে আট হাজার ৬০০ কেজি চায়ের রাজস্ব ফাঁকির তথ্য পাওয়া যায়। যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। এ অভিযোগের ভিত্তিতেই কারখানা কর্তৃপক্ষকে জবাব দাখিলের জন্য নোটিশ প্রদান করে কাস্টমস।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কুরিয়ারের মাধ্যমে চা পাচারের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নামে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড। পরিদর্শনে কুরিয়ার এজেন্সির প্রদর্শিত কাগজপত্রে অসঙ্গতি এবং ফ্যাক্টরির বিক্রয় রেজিস্টার ও মূসক ৬.৩ চালান না থাকার প্রমাণ মেলে। পরে বিষয়টি লিখিতভাবে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগকে জানানো হলে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে কাস্টমস।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৯ ডিসেম্বর কাস্টমস অভিযান চালিয়ে পপুলার টি ফ্যাক্টরির কারখানার বাইরে পরিবহনরত অবস্থায় ১৩ হাজার কেজি চা জব্দ করে এবং জাল নথি ব্যবহারের প্রমাণে ৫ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করে। পরবর্তীতে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চা বোর্ড কারখানার অনুমোদন ও নিবন্ধন স্থগিত করে সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়। পরে মালিকপক্ষের আবেদন এবং চাষিদের দুর্ভোগ বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রম চালু রাখার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
এসআর