দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার জনজীবন তীব্র শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে । ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এর আগে সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের প্রকোপ চরম আকার ধারণ করছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলছে।
শীতের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। এই মৌসুমে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ, অপর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মাসের শেষের দিকে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এইচএ