সেচ প্রকল্পের চরবাগাদী পাম্প সংস্কারের অপেক্ষায় চাঁদপুরের ছয় উপজেলার কয়েক লাখ কৃষক। ইরি মৌসুমে সেচের পানি সরবরাহ এবং বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ভরসা এই পাম্প হাউসটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ যন্ত্রাংশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পুরো ব্যবস্থাপনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাম্পগুলোর কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় সময়মতো পানি না পাওয়ায় ফসল চাষাবাদে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষকরা। আবার বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে বিলম্ব হলে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা তৈরি হয়।
১৯৭৮ সালে বাস্তবায়িত এই সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২২ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা এবং প্রায় ৫৩ হাজার হেক্টর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে আসছে।
পাম্প হাউসে কর্মরত মেকানিকরা জানান, পাম্প মেশিনগুলো বহুদিনের পুরনো হওয়ায় একটি বিকল হলে অন্যগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে একের পর এক পাম্প নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা পুরো সেচ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। পুরানো পামগুলো পূর্ণাঙ্গ ভাবে চেঞ্জ করে নতুন পাম্প স্থাপন না করা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব এগুলোও নতুনভাবে স্থাপন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, “ইরি মৌসুমে সঠিক সময়ে পানি না পাওয়ায় চাষাবাদে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আবার বর্ষায় পানি অপসারণে দেরি হলে জলাবদ্ধতার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত এই পাম্প নতুন করে সংস্কার না হলে আমাদের ফসল উৎপাদন টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।এদিকে দ্রুত পাম্প হাউস সংস্কার করে লাখো কৃষকের পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহল।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক শাখা) মো. রুহুল আমিন জানান, চরবাগাদী পাম্প হাউস সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ২৩৬ কোটি টাকার একটি ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসআর