শীতের ধাপটে কুয়াশার চাদরের আড়ালে ঘুমিয়ে আছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। বাতাসে হিমেল ছোঁয়া আর ঘন কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, সবকিছু যেন শীতের স্থবির হয়ে গেছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, সকাল ৯টায় চূড়ান্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে ঘন কুয়াশা ও আর্দ্রতার যুগলবন্দি শীতকে করেছে আরও তীব্র। সড়কগুলোতে মানুষের কম উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাঁরা বের হয়েছেন, তারা মোটা শীতবস্ত্র, টুপি আর গলায় মাফলার জড়িয়ে চলছেন। অনেক দোকানপাট খোলার কিছু সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শীতের প্রভাবে। অন্যদিকে দিনমজুর, রিকশাচালক ও কৃষিশ্রমিকরা পড়েছেন সবচাইতে বেশি বিপাকে। তারা ঠান্ডার কারণে তাদের কাজ থেকে বিরত রয়েছেন, এতে করে তাদের দৈনন্দিন আয় ব্যাহত হচ্ছে।
খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় ভোরবেলা বাইরে দাঁড়ানোই কঠিন। এই শীতে কাজ চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব।”
একই উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বেলতলী গ্রামের কৃষক আবু তাহের ও জয়নাল আবেদিন জানান,“ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে সকাল থেকেই মাঠে নামা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কৃষিকাজেও বড় ধরনের ব্যাঘাত পড়েছে।”
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “দিনাজপুরে শীত ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। আজ চূড়ান্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীত আরও তীব্র মনে হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বরের শেষভাগে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দিনের বেলায় কুয়াশা ধীরে ধীরে কমতে পারে।”
পিএম