এইমাত্র
  • নোয়াখালীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী দেলু গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পূজার্তীর মৃত্যু
  • বড়দিনের বর্ণিল সাজে সজ্জিত ইতালি
  • ইকবালকে বাদ দিয়ে এহসানুল হুদাকে মনোনয়ন, রেলপথ অবরোধ
  • বেনাপোল স্থলবন্দরে কেমিক্যাল শেডের নিরাপত্তা ঝুকি নিয়ে ৭ নির্দেশনা
  • পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরুল হক নুরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
  • দালাল সিন্ডিকেটের কবলে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  • ত্রিশালে জমি দখলের অভিযোগে থানায় মামলা
  • টাঙ্গাইল-২ আসনে শাকিল উজ্জামানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন
  • বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ
  • আজ বুধবার, ১০ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    সরকারি সেবা নিতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেন নোয়াখালী-কুমিল্লার মানুষ

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

    সরকারি সেবা নিতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেন নোয়াখালী-কুমিল্লার মানুষ

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    দেশে সরকারি সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দেওয়ার প্রবণতায় শীর্ষে উঠে এসেছে নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা। একই সঙ্গে আয়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে ধনী জনগোষ্ঠীই তুলনামূলকভাবে বেশি ঘুষ দিচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

    বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।

    জরিপ অনুসারে, গত ১২ মাসে যারা সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে জাতীয়ভাবে গড়ে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে জেলা পর্যায়ে এই হার অনেক ক্ষেত্রে গড়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এক্ষেত্রে শীর্ষে নোয়াখালী—এখানে সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগকারী নাগরিকদের ৫৭ দশমিক ১৭ শতাংশ ঘুষ দিয়েছেন। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে কুমিল্লা (৫৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ)। এরপর ফরিদপুর (৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ), ভোলা (৪৯ দশমিক ০১ শতাংশ) ও সিরাজগঞ্জ (৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ)। এসব জেলায় ঘুষ প্রদানের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।

    অন্যদিকে, তুলনামূলকভাবে কম ঘুষ দেওয়া জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ—এখানে হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এরপর মাগুরা (১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ), লালমনিরহাট (১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ), গাজীপুর (১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ) ও সিলেট (১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ)। এই পাঁচ জেলায় ঘুষ দেওয়ার হার জাতীয় গড়ের অনেক নিচে।

    আয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ আরও ভিন্ন এক বাস্তবতা সামনে এনেছে। জরিপে দেখা যায়, সবচেয়ে ধনী (Richest) শ্রেণির ৩৫ দশমিক ১৬ শতাংশ মানুষ ঘুষ দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণিতে এই হার ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। মধ্যম আয়ের ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার হার ৩২ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের ক্ষেত্রে ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুষ দেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে।

    এই তথ্য সাধারণ ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। প্রচলিতভাবে মনে করা হয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীই বেশি ঘুষ দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু বিবিএসের জরিপ বলছে, উচ্চ আয়ের মানুষ সরকারি কাজ দ্রুত করাতে বা সুবিধা নিশ্চিত করতে তুলনামূলকভাবে বেশি ঘুষ দিচ্ছেন—অথবা তাঁদের কাছ থেকেই বেশি ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্নীতি কেবল দারিদ্র্যজনিত সমস্যা নয়; এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ও আচরণগত সংকট হিসেবেই স্পষ্ট হচ্ছে।

    বিবিএস জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের ৬৪ জেলার ৪৫ হাজার ৮৮৮টি খানা থেকে ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ৮৪ হাজার ৮০৭ জন নারী–পুরুষ এই জরিপে অংশ নেন। নাগরিকদের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার ও বৈষম্য—এসডিজি ১৬–এর ছয়টি লক্ষ্যের অগ্রগতি মূল্যায়নে এই জরিপ পরিচালিত হয়।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…